কিছু জিনিস গ্যাস্ট্রোপেরেসিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। যেমন
- সার্জারির কারণে ভ্যাগাস নার্ভে আঘাত লাগলে
- থাইরয়েড হরমোনের অভাবে (হাইপোথাইরয়েডিজম)
- ভাইরাল পেট সংক্রমণ (গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস)
- মাদকদ্রব্য ও কিছু অ্যান্টিডিপ্রেশেন্ট জাতীয় ওষুধ সেবনে
- পারকিনসন রোগ হলে
- মাল্টিপল স্কলেরোসিসে আক্রান্ত হলে
- বিরল কিছু রোগ যেমন অ্যামাইলয়েডোসিস (টিস্যু ও বিভিন্ন অঙ্গে প্রোটিন ফাইবার জমা হওয়া) এবং স্কলেরোডার্মা (একটি সংযোগকারী টিস্যু ব্যাধি, যা ত্বক, রক্তনালি, কঙ্কালের পেশি ও অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোকে প্রভাবিত করে)
গ্যাস্ট্রোপেরেসিস জটিলতা
গ্যাস্ট্রোপেরেসিস কিছু সমস্যা হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
- ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ বাড়ে।
- ডিহাইড্রেশনে ভোগার আশঙ্কা থাকে, যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খাওয়া হয়।
- ক্ষুদ্রান্ত্রে বাধার সৃষ্টি হয়, যার কারণে খাবার পরিপাকে সমস্যা হতে পারে।
আক্রান্ত ব্যক্তি পুষ্টির অভাবে ভুগে থাকেন। এজন্য পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ও সহজে হজম হয়, এমন খাবার গ্রহণ করা জরুরি। ফ্যাট ও ফাইবারের পরিমাণ কম, এমন ডায়েট অনুসরণ করা উচিত। ব্রকলি, বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম ও বিনসের মতো ফাইবারসমৃদ্ধ সবজি এড়িয়ে চলা উচিত। ফল এবং সবজির বীজ ও খোসা এড়িয়ে চলতে হবে। চিজ, ক্রিম, অতিরিক্ত তেল ও মাখনের মতো ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত নয়। খাবার খাওয়ার পরে হালকা শারীরিক কসরত করতে হবে। কার্যকরভাবে উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য হাঁটতে হবে।
- খাবার যখন পাকস্থলী থেকে ক্ষুদ্রান্ত্রে প্রবেশ করে, তখন শরীরের সুগার লেভেল বেড়ে যায়। গ্যাস্ট্রোপেরেসিস আপনার রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন করে তোলে।
গ্যাস্ট্রোপেরেসিস রোগীর জীবনের সামগ্রিক মানকেও প্রভাবিত করতে পারে। এ রোগের কারণে সৃষ্ট সমস্যাগুলো দৈনন্দিন জীবনকে কঠিন করে তোলে।