ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সাইট্রাস ফল রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। কমলা, লেবু ও জাম্বুরাও এ তালিকায় রয়েছে। পেঁপে, আম ও পেয়ারার মতো পুষ্টিকর ফলে ফোলেট, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন এ, সি ও কে থাকে। এ ধরনের ফলও বেশি খাওয়া যায়।
এ সময় আক্রান্তদের পালংশাক, গাজর, বেল মরিচ ও ব্রকলির মতো শাকসবজি খেতে হবে। এছাড়া যেসব শাকসবজিতে আয়রন, ক্যালসিয়ামসহ অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে, তা খাওয়া দরকার। এগুলো শরীরের নিরাময় প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে।
ভাইরাসে আক্রান্ত টিস্যু মেরামত ও পুনর্নির্মাণে প্রোটিন সাহায্য করে। পর্যাপ্ত প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করলে দ্রুত সুস্থ হওয়া যায় এবং জটিলতা কমাতে পারে। চিকের পক্স হলে সেদ্ধ মুরগি ও মাছ খাওয়া যায়। এগুলো হজম করা সহজ। মসুর ডাল ও মটরশুঁটিতেও প্রচুর প্রোটিন রয়েছে।
দুগ্ধজাত পণ্য যেমন দুধ, পনির ও বাটারমিল্ক কোষের বৃদ্ধি এবং নতুন কোষ সৃষ্টিতে অবদান রাখে।
বাদাম, আখরোট, ফ্ল্যাক্সসিড, চিয়া বীজ এ তালিকায় রাখা যায়।
চিকেন পক্সের সময় হাইড্রেটেড থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিনি ছাড়াই প্রচুর পানি, ভেষজ চা ও তাজা ফলের রস পান করতে হবে। ডাবের পানিতে প্রচুর ইলেকট্রোলাইট থাকে। এটি শরীরে পানির অভাব পূরণ করে।
চিকেন পক্সের সময় কোন খাবারগুলো এড়ানো উচিত—
যদিও এ রোগের জন্য একটি নির্দিষ্ট খাদ্য নেই, তবু কিছু খাবার উপসর্গ বাড়িয়ে তুলতে এবং নিরাময় প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে এ ধরনের খাবার খাওয়া জরুরি।
- মসলাযুক্ত ও তৈলাক্ত খাবার এড়ানো জরুরি। এগুলো ত্বকের জ্বালাপোড়া আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে। মসলাযুক্ত খাবারে ক্যাপসাইসিন থাকে, যা ত্বকের জ্বালা বাড়িয়ে দেয়। তেলে ভাজা খাবার, চর্বিযুক্ত তরকারি ও ভারী মসলাযুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো।
- অ্যাসিডিক, নোনতা খাবারও এড়ানো উচিত, বিশেষ করে যদি ঠোঁটে, মুখে বা জিহ্বায় ঘা হয়। এগুলো জ্বালাপোড়া বাড়িয়ে দেয়, অস্বস্তি সৃষ্টি করে এবং নিরাময় প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়।
- চিনির পরিমাণ বেশি এমন খাবার কম খাওয়া। যেমন কোক, প্যাকেটজাত ফলের জুস। এছাড়া বিভিন্ন মিষ্টিজাতীয় খাবার যেমন কেক, কুকিজ, আইসক্রিম, চকোলেট এগুলো এড়িয়ে চলা।
- চিকেন পক্সে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অ্যালার্জি আছে, এমন খাবার এড়ানো উচিত।