করোনারি হার্ট ডিজিজ

পর্যাপ্ত ঘুম হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

স্বাস্থ্যকর ঘুম হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। সম্প্রতি ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নালের নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

স্বাস্থ্যকর ঘুম হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। সম্প্রতি ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নালের নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দুই থেকে পাঁচ বছর টানা স্বাস্থ্যকর ঘুমিয়েছে তাদের কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি হ্রাস পেয়েছে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের গড় বয়স ছিল ৬৬ এবং ৫৮ শতাংশ নারী ছিল। গবেষণায় যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদের কারো কার্ডিওভাসকুলার রোগ ছিল না।

গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের কিছু সাধারণ প্রশ্ন দেয়া হয়। যেমন নিয়মিত ঘুমানোর সময়, কতক্ষণ ঘুমায়, ঘুম কেমন হয় এবং দুপুরে ঘুমায় কিনা।  প্রশ্নোত্তরের ভিত্তিতে গবেষক দল নির্ধারণ করে তাদের ঘুম পর্যাপ্ত নাকি অপর্যাপ্ত।  

অংশগ্রহণকারীদের পর্যাপ্ত ও ভালো মানের ঘুম হয় কিনা তা জানার জন্য চারটি প্রশ্ন করা হয়। সেগুলো হলো প্রতিদিন রাত ৭টা বা ৮ ঘণ্টা ঘুমানো এবং ১০টার মধ্যে বিছানায় যাওয়া। ১ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দুপুরে না ঘুমানো। 

প্রশ্নপর্বের পাশাপাশি স্ট্রোক ও করোনারি হৃদরোগের ঝুঁকির কারণগুলো বিশ্লেষণের জন্য অংশগ্রহণকারীদের জিনগত বৈশিষ্ট্যগুলোও বিশ্লেষণ করা হয়। বংশগত কারণে কারা এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে তা জানার জন্য।

শেষ পর্যন্ত গবেষক দল জানায়, যারা নিয়মিতভাবে স্বাভাবিক ঘুমের অভ্যাস ছিল তাদের করোনারি হৃদরোগ, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ এবং স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি কম ছিল। 

যারা গবেষণায় উভয় পয়েন্টে অনুকূল ঘুমের অভ্যাসের কথা জানিয়েছেন তাদের করোনারি হৃদরোগের ঝুঁকি ১৬ শতাংশ কম এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩৪ শতাংশ কম ছিল। পর্যাপ্ত ঘুম হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

অংশগ্রহণকারীদের জন্য যারা উভয়েই নিয়মিতভাবে ঘুমিয়েছিলেন এবং তাদের জেনেটিক ঝুঁকি কম ছিল, অন্য প্রান্তের লোকদের তুলনায় করোনারি হৃদরোগের ঝুঁকি ৩৫ শতাংশ কম ছিল এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি ৫২ শতাংশ কম ছিল। তবে যারা কার্ডিওভাসকুলার রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে ছিলেন তাদের বেশির ভাগের ঘুম অনিয়মিত ছিল।  

গবেষণার সঙ্গে জড়িত একজন ডাক্তার আশিস সররাজু বলেন, ‘ভালো ঘুম কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমায়, এটা অবাক করার মতো কোনো বিষয় নয়। তবে প্রাপ্ত ডাটাগুলো আমাদের গবেষণার কাজে আসবে। তবে এ গবেষণায় উঠে এসেছে যাদের করোনারি হৃদরোগের বংশগত ঝুঁকি রয়েছে, ভালো ঘুমের অভ্যাস তাদেরও এ রোগের ঝুঁকি কমায়।’

কীভাবে ভালো ঘুম পেতে: ভালো ঘুম হওয়ার নির্দেশিকাগুলোর মধ্যে রয়েছে দিনের বেলা ব্যায়াম করা, শোবার আগে ভারী খাবার, ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল এড়ানো, একটি শান্ত, অন্ধকার ও শীতল ঘরে ঘুমানো এবং ঘুমানোর ৩০ মিনিট আগে স্ক্রিন এড়ানো।

আরও