নেফ্রোটিক সিনড্রোমের ঝুঁকি বাড়াতে পারে এমন কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে—
এমন কিছু রোগ যার কারণে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যেমন ডায়াবেটিস। এ ধরনের রোগের কারণে নেফ্রোটিক সিনড্রোমের আশঙ্কা বাড়ে।
কিছু ওষুধ যেমন ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগ, এ ধরনের ওষুধের কারণে এ রোগের আশঙ্কা বাড়ে।
কিছু সংক্রমণ ব্যাধি এ রোগের আশঙ্কা বাড়ায়। যেমন এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি ও ম্যালেরিয়া।
জটিলতা
রক্ত জমাট বাঁধা—গ্লোমেরুলার রক্ত সঠিকভাবে ফিল্টার করতে অক্ষমতার কারণে রক্তের প্রোটিনের ক্ষয় হয়, যার কারণে রক্ত জমাট বাঁধে। এ রোগের কারণে শিরায় রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
রক্তে কোলেস্টেরল ও রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়ে, যখন রক্তে প্রোটিন অ্যালবুমিনের মাত্রা কমে যায়, তখন লিভার বেশি মাত্রায় অ্যালবুমিন তৈরি করে। ফলে লিভার আরো কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড নিঃসরণ করে।
অপুষ্টি—রক্তে প্রোটিনের অত্যধিক ক্ষয় অপুষ্টির কারণ হতে পারে। ফলে ওজন কমতে পারে। রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। রক্তে প্রোটিনের মাত্রা কম এবং ভিটামিন ডির মাত্রা কম থাকতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ—গ্লোমেরুলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে শরীরে তরল জমা হয় এবং রক্তচাপ বেড়ে যায়।
কিডনি রোগ—গ্লোমেরুলার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কিডনি রক্ত ফিল্টার করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এটি ধরা পড়লে রোগীর ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়।
দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ—নেফ্রোটিক সিনড্রোমের কারণে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিডনি তার কার্যকারিতা হারাতে থাকে। যদি কিডনির কার্যকারিতা যথেষ্ট কমে যায়, তাহলে ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হতে পারে।
সংক্রমণ—নেফ্রোটিক সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।