গ্যাস্ট্রোপেরেসিস

পাকস্থলীর সুস্থতায় করণীয়...

মানসিক চাপ কমাতে হবে

স্ট্রেস বা মানসিক চাপ থেকেও অনেক ক্ষেত্রে পাকস্থলীতে সমস্যা দেখা দেয়। এর কারণ হলো স্ট্রেস, উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তার মতো মানসিক অবস্থা হজমের প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায়।

মানসিক চাপ হজমের প্রক্রিয়ার ওপর বিভিন্ন ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন কারো কারো ক্ষেত্রে খাবার পরিপাক হতে সময় লাগে। তখন পেট ফাঁপা, পেট ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা দেয়। আবার এর বিপরীত চিত্রও দেখা যায়। অনেকের ক্ষেত্রে পরিপাকতন্ত্রের গতিও বেড়ে যায়। এতে পাতলা পায়খানা হয়। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে খাওয়ার রুচি একেবারেই কমে যায়। মানসিক চাপের কারণে পরিপাকতন্ত্রের কিছু রোগ বেড়ে যেতে পারে।

ধূমপান বা মদ্যপানের অভ্যাস বাদ দেয়া

ধূমপান করলে মানুষের খাদ্যনালির নিচের অংশের পেশি দুর্বল হয়ে যায়। ফলে পাকস্থলীর অ্যাসিড উল্টো পথে খাদ্যনালি দিয়ে ওপরের দিকে উঠে আসতে পারে। এ কারণে অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া বুক জ্বালাপোড়াও হয়। সাধারণত খাওয়ার পরে এমন হয়ে থাকে। বুকে ব্যথা হয়, পেট ফাঁপা ভাব, গলায় টক বা ঝাঁজালো স্বাদের খাবার বা তরল ওপরে উঠে আসা ছাড়াও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে পাকস্থলীর আলসার ও পরিপাক নালির (অন্ত্রের) বিভিন্ন অংশে প্রদাহ বা জ্বালাপোড়া হতে পারে। আগে থেকেই এসব সমস্যা থাকলে অবস্থা আরো গুরুতর রূপ ধারণ করতে পারে।

ধূমপানের কারণে পেটের এসব সমস্যার পাশাপাশি পাকস্থলীর ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এ কারণে মদ্যপান ও ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে।

নিয়মিত খাবার খাওয়া

নিয়মমাফিক খাবার না খাওয়া, দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকা এসব কারণে পাকস্থলীর বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। এ ধরনের খাদ্যাভ্যাস পরিপাকতন্ত্রের ক্ষতিকর প্রভাব রাখতে পারে। সে কারণে খাবার খাওয়ার সময়ে তাড়াহুড়ো করা যাবে না। খাবার ভালো করে চিবিয়ে খেতে হবে। ওভার ইটিং বা অতিভোজন করা যাবে না। তিন বেলা খাবার খাওয়ার সময়ে কতটুকু খাবার খাচ্ছেন সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। সময়মতো খাবার খেতে হবে। রাতে শোয়ার আগে ভারী অথবা অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। সাধারণত একজন সুস্থ, পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক ছয়-আট গ্লাস পানি পান করা উচিত।

অতিরিক্ত ওজন কমানো

ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে পেটে জমা হওয়া মেদ-চর্বি পাকস্থলীর ওপর চাপ সৃষ্টি করে। ফলে বুক জ্বালাপোড়া করে।বিএমআই অনুযায়ী সঠিক ওজন জেনে সে অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা।

আরও