হাড় ক্ষয়

পুরুষের তুলনায় কেন নারীরা বেশি আক্রান্ত হয়?

হাড় ক্ষয় বয়স্ক পুরুষ ও নারীদের মাঝে বেশ সাধারণ একটি রোগ। তবে তা কম বয়সেও হতে পারে।

হাড় ক্ষয় বয়স্ক পুরুষ ও নারীদের মাঝে বেশ সাধারণ একটি রোগ। তবে তা কম বয়সেও হতে পারে। নারী বা পুরুষের বয়স ৫০ অতিক্রম করার পর নতুন হাড় গঠনের চেয়ে হাড়ের ক্ষয়ের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে হাড়ের ঘনত্ব কমে গিয়ে হাড় ক্ষয় হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।। পুরুষের তুলনায় নারীদের মধ্যে হাড় ক্ষয়ে আক্রান্তের হার বেশি। কারণ নারীদের হাড়ের গঠন এমনিতেই পুরুষদের চেয়ে কিছুটা দুর্বল। এছাড়া মেনোপজ পর্যায়ে (মাসিক সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যাওয়া) পৌঁছার পর ইস্ট্রোজেনের অভাবে দ্রুত হাড় ক্ষয় হতে থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পঞ্চাশোর্ধ্ব প্রতি তিনজন নারীর একজন এবং প্রতি পাঁচজন পুরুষের একজন হাড় ক্ষয়ে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। বয়স বাড়ার কারণে হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি ছাড়াও আরো কিছু কারণ আছে। যেমন নিত্যদিনের খাবারে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, প্রোটিন ইত্যাদি কম গ্রহণ করা, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা, ধূমপান, মদ্যপান, শরীরে ইস্ট্রোজেন (নারীদের ক্ষেত্রে) এবং টেস্টোস্টেরনের (পুরুষদের ক্ষেত্রে) মাত্রা কমে যাওয়া ইত্যাদি।

হাড় ক্ষয়ের প্রাথমিক পর্যায়ে সাধারণত কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ থাকে না। হাড় বেশি দুর্বল হয়ে গেলে যেসব লক্ষণ দেখা যায়—পিঠে ব্যথা অনুভব করা, উচ্চতা কমে যাওয়া (চার সেন্টিমিটার বা তার চেয়েও বেশি কমে যাওয়া), হাঁটার সময় কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা (পাশের দিকে বেঁকে যাওয়া বা সামনের দিকে ঝুঁকে যাওয়া), শ্বাসকষ্ট অনুভব করা (সামনের দিকে ঝুঁকে যাওয়ার কারণে ফুসফুসের সক্ষমতা কমে যাওয়া)।

হাড় ক্ষয় একটি নীরব ঘাতক রোগ। বেশকিছু ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে হাড় ক্ষয় প্রতিরোধ করা সম্ভব। যার মধ্যে অন্যতম হলো ক্যালসিয়াম গ্রহণ। নারীদের ক্ষেত্রে ৫০ বছর বয়স হলে এক হাজার মিলিগ্রাম এবং ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে হলে প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা জরুরি। ৭০ বছর বয়সের কম হলে প্রতিদিন ১০০ এবং ৭০ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে হলে প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে হবে।

আরও