স্পন্ডিলাইটিসের সমস্যা দেখা দিলে সবার প্রথমেই কোমর এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে শক্ত ভাব অনুভব হয়। পাশাপাশি তার সঙ্গে ব্যথা হওয়ার লক্ষণ দেখা দেবে। এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে সকালের দিকে। মাথা ঘোরা, বমি ভাব এবং ঘাড়ের যন্ত্রণার মতো লক্ষণও দেখা দেয়। এ রোগ অন্যান্য রোগের ঝুঁকিও বাড়ায়। স্পন্ডিলাইটিসের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ঝুঁকিগুলো হলো—
স্পাইনাল স্টেনোসিস: কেউ যদি দীর্ঘদিন ধরে সার্ভিক্যাল স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকে এবং দীর্ঘ সময় ধরে চিকিৎসা না করে থাকে তাহলে তিনি স্পাইনাল স্টেনোসিসে ভুগতে পারেন। স্পাইনাল স্টেনোসিস বা সার্ভিক্যাল মাইলোপ্যাথি হলে মেরুদণ্ড সরু হয়ে যায়। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব হয়। ধীরে ধীরে মেরুদণ্ড মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তি ঘাড়, বাহু ও কাঁধে একটি ঝাঁজালো সংবেদন অনুভব করে। ভয়াবহতার মাত্রা বাড়লে রোগীর নড়াচড়া করতেও সমস্যা হয়।
স্নায়ু সংকোচন: কেউ যদি সার্ভিক্যাল স্পন্ডিলাইটিসে ভোগে তখন মেরুদণ্ডের স্নায়ুর ওপর অবিরাম চাপ পড়ে। যার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি স্পাইনাল রেডিকুলোপ্যাথি নামক অসুখেও ভুগতে পারে। সার্ভিক্যাল রেডিকুলোপ্যাথি হাত, পা ও কাঁধে অসাড়তা এবং ঝাঁকুনি সৃষ্টি করে। এছাড়া শরীরের অন্যান্য সমস্যাও সৃষ্টি হয়। তীব্র আকার ধারণ করলে আক্রান্ত ব্যক্তি কাঁধ ও বুকে ব্যথা অনুভব করতে পারেন। স্নায়ু সংকোচনের ফলে স্বাভাবিক পেশি সংকোচনের ক্ষতি হয়।
স্থায়ী অক্ষমতা: সার্ভিক্যাল স্পন্ডিলাইটিসের লক্ষণগুলো প্রকাশ পাওয়ার পর দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা জরুরি। দ্রুত সময়ে চিকিৎসা শুরু না করা হলে মেরুদণ্ডের স্থায়ী ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সার্ভিক্যাল মাইলোপ্যাথি এবং সার্ভিক্যাল রেডিকুলোপ্যাথি তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। দৈনন্দিন কাজ পরিচালনা করা কঠিন হয়ে ওঠে। যার ফলে অস্ত্রোপচার করা বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠে।