চিকেন পক্স

গর্ভাবস্থায় আক্রান্ত হলে করণীয়

ভ্যারিসেলা জোস্টার নামের ভাইরাসের সংক্রমণে মানুষ চিকেন পক্সে আক্রান্ত হয়। শীত ও বসন্তকালে এর প্রাদুর্ভাব বেশি হয়।

ভ্যারিসেলা জোস্টার নামের ভাইরাসের সংক্রমণে মানুষ চিকেন পক্সে আক্রান্ত হয়। শীত ও বসন্তকালে এর প্রাদুর্ভাব বেশি হয়। সব বয়সী মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে গর্ভবতী নারীরা আক্রান্ত হলে একটু বিশেষ যত্ন নেয়া লাগে। ঝুঁকির পরিমাণও বেশি থাকে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, গর্ভধারণের প্রথম ২০ সপ্তাহে জলবসন্ত হলে ৩-৪ শতাংশ ক্ষেত্রে গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া শিশুর চোখ, মস্তিষ্ক ও হাত-পায়ের জন্মগত ত্রুটির ঝুঁকিও থেকে যায়। গর্ভাবস্থায় মায়েদের ক্ষেত্রে সংক্রমণের তীব্রতা বেশি হলে তা থেকে অন্যান্য জটিলতারও সৃষ্টি করতে পারে। যেমন নিউমোনিয়া, হেপাটাইটিস, মস্তিষ্কের প্রদাহ, চামড়ায় ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ। এমনকি মায়ের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সন্তান জন্মদানের পাঁচদিনের মধ্যে মা আক্রান্ত হলে নবজাতকের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

আক্রান্ত হলে করণীয়

  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা
  • জ্বর ও চুলকানি কমাতে ওষুধ সেবন
  • চামড়ায় সংক্রমণ বেশি হলে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ক্রিম বা ক্ষেত্রবিশেষে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন
  • নিয়মিত গোসল করা
  • নখ দিয়ে ফোসকা খোঁটা বা উঠিয়ে না ফেলা
  • আলাদা ঘর ও বিছানার ব্যবহার
  • প্রতিদিন অন্তত দুবেলা কাপড় বদলানো ও সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে।

তবে তীব্র জ্বর ও গায়ে ব্যথা, বুকব্যথা বা শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যথা, বমি, সারা গায়ে অতিমাত্রায় ফোসকা বা র‍্যাশ অথবা যোনিপথে রক্তপাত হলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।

একবার আক্রান্ত হলে পরবর্তী সময়ে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় নেই। যদি নিশ্চিত হওয়া যায় আগেই জলবসন্ত হয়েছে, তবে গর্ভাবস্থায় ঘাবড়ে যাওয়ার কোনো কারণ নেই। নিশ্চিত না হতে পারলে টিকা নেয়া যেতে পারে। তবে টিকা নেয়ার তিন মাসের মধ্যে গর্ভধারণ করা যাবে না।

আরও