৮ আগস্ট দায়িত্ব নিয়েছেন নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ক্রমেই স্বাভাবিক হয়ে আসছে পারিপার্শ্বিক পরিবেশ। অফিসে, বিপণিবিতানে মানুষের পদচারণ বাড়ছে। রাস্তাঘাটে বাড়ছে যান চলাচল। গত কয়েক সপ্তাহের অস্থিরতা থেকে মুক্তি পেয়ে এখন অনেকটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে দেশের সাধারণ মানুষ। বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমছে। পাড়া-মহল্লায় চুরি, ডাকাতি, লুণ্ঠন ও নৈরাজ্য কমে গেছে। ক্রমে জননিরাপত্তার উন্নতি হচ্ছে। শান্তি ফিরে আসছে জনজীবনে।
মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধান, শান্তি ও অর্থনৈতিক সুস্থিরতা এখন আমাদের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার। দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। ভয় ও সামাজিক চাপমুক্ত একটি পরিবেশ গড়তে হবে। এখনো আমাদের পাড়া-মহল্লায় ছাত্রছাত্রীরা দল বেঁধে পাহারা দিচ্ছে। পথের ময়লা পরিষ্কার করছে। রাজপথে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছে। বাজার মনিটরিং করছে। এ অবস্থা হয়তো খুবই সাময়িক। অচিরেই অনানুষ্ঠানিক বিভিন্ন দায়িত্ব ছেড়ে ছাত্রছাত্রীরা তাদের পড়ার টেবিলে ফিরে যাবে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে সামাজিক শৃঙ্খলা। ডাকাতি, নাশকতা, অতর্কিত আক্রমণের শঙ্কা থেকে মুক্তি পাবে সাধারণ মানুষ। যত তাড়াতাড়ি জনজীবনে স্বস্তি ফিরে আসবে ততই সফল হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যাত্রা।
অনেক রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে সূচিত হয়েছে স্বপ্নের এক নতুন অভিযাত্রা। ১৯৭১ সালের পর এত হত্যা, এত সম্পদহানি আর কখনো হয়নি। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের বুক পেতে গুলি নেয়ার দৃশ্য যেমনি মানুষকে কাঁদিয়েছে তেমনি তাদের উদ্দীপ্ত করেছে ও প্রেরণা জুগিয়েছে সর্বাত্মক আন্দোলনে। বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে শাহাদত বরণ করে নিয়েছে শত শত ছাত্র-জনতা। মন্ত্রের সাধন করার জন্য তারা শরীরের পাতন ঘটিয়েছে। এটি এক বড় ধরনের অভ্যুত্থান। এর আগে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান হয়েছিল ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের পতনের জন্য। এবার সংঘটিত হলো বাংলাদেশের দ্বিতীয় গণ-অভ্যুত্থান। অনেকে একে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতা বলে আখ্যায়িত করছেন। আক্ষরিক অর্থে এ শব্দগুলোর ব্যবহার বিভ্রান্তিকর। ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশ নিয়েছিলেন তারাই শুধু বলতে পারেন তার ভয়াবহতা ও নৃশংসতা কত বেশি ছিল। কত ধ্বংসযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছিল এই বাংলাদেশে। যারা তখন জন্মগ্রহণ করেনি বা যারা তখন বিদেশে অবস্থান করছিল তাদের পক্ষে তা অনুধাবন করা সম্ভব নয়। এ দেশের বীর বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধ করেছে ওই একবারই। গণ-অভ্যুত্থান অতীতে হয়েছে, এবারো হলো। প্রয়োজনে ভবিষ্যতেও হয়তো বা হবে। তাতে যারা আত্মাহুতি দিয়েছে এবং দেবে তাদের নাম লেখা রবে অশ্রুজলে।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে আছেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দেশে-বিদেশে তিনি একজন খ্যাতিমান পুরুষ। তার খ্যাতির মতো কীর্তিও অনেক বেশি। গত সরকারের আমলে তিনি অনেক বিব্রত হয়েছেন, কষ্ট ভোগ করেছেন। এখন তিনি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন। তাকে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বে নিয়ে আসায় বহির্বিশ্বেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। তার উপদেষ্টা পরিষদে দু-তিনজন মেধাবী, দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তি আছেন। সরকারের আর্থিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় তারা বেশ সহায়ক হবেন। তবে উপদেষ্টামণ্ডলীর অনেক সদস্যই বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা থেকে এসেছেন। নিঃসন্দেহে তারা সরকার পরিচালনায় অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন। বিগত সরকারের আমলে সংসদে ও মন্ত্রিসভায় অধিকাংশ সদস্য ছিলেন ব্যবসায়ী। তারা দায়িত্ব গ্রহণ করার পরও তাদের শ্রেণীচরিত্র বিসর্জন দিতে পারেননি। যে কারণে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়ন ও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। পরিণামে দারুণ কষ্ট ভোগ করেছে দেশের সাধারণ মানুষ। ফলে গত সরকারের প্রতি তাদের ক্ষোভ বেড়েছে। সেদিক থেকে বর্তমান উপদেষ্টামণ্ডলীর চেহারা ভিন্ন। সুতরাং দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে তাদের পক্ষে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হবে।
নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। দুই বছর ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কাল অতিক্রম করে আসছে বাংলাদেশ। গত জুনে সমাপ্ত বছরের গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল প্রায় পৌনে ১০ শতাংশ। এরই মধ্যে দেশের মুদ্রা ও রাজস্ব নীতিতে কিছু পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু তাতে তেমন ইতিবাচক প্রভাব রাখা সম্ভব হয়নি। ব্যাংকগুলোর ওপর মানুষের আস্থা কম। খেলাপি ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের কারণে অনেক ব্যাংক লাটে ওঠার উপক্রম। ছোট আমানতকারীরা তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ছুটে বেড়াচ্ছে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে। সরকারের রাজস্ব আহরণের পরিমাণ কম। আর্থিক খাতের সংস্কার ও ভালো ব্যবস্থাপনা ছাড়া অবস্থার উন্নয়ন সম্ভব নয়। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক্ষেত্রে বড় অবদান রাখার সুযোগ আছে।
কভিড-১৯, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ক্রমাগত যুদ্ধবিগ্রহ ও সামাজিক অস্থিরতার কারণে আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হয়েছে। সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে এর মাত্রা বেড়েছে। শাটডাউন, ভার্চুয়াল শাটডাউন, সন্ত্রাস, হত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ, কারফিউ এবং জেল-জুলুমের কারণে মানুষের মনোজগতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। বেকারত্ব বেড়েছে ও খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। এক হিসাবে দেখা যায়, সাম্প্রতিক অস্থিরতায় সরাসরি আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। এর সঙ্গে আছে পরোক্ষ ক্ষতি। বিদেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সুনাম ও ভাবমূর্তি হারানো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ অবস্থা থেকে দ্রুত উত্তরণ দরকার।
আমাদের কল-কারখানা ও কৃষিতে উৎপাদন বাড়ানো দরকার। দৈনন্দিন কাজে মানুষের আস্থা ও আগ্রহ ফিরিয়ে আনা দরকার। দুই বছর ধরে অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে তেমন সুখবর ছিল না। ব্যতিক্রম ছিল কৃষি খাত। ক্রমাগত উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে খাদ্যনিরাপত্তা অনেকটাই নিশ্চিত ছিল। বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হয়নি। তবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পতনের কারণে অন্যান্য কৃষিপণ্যের আমদানি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়েছে। ফলে বাজারে কিছুটা সরবরাহ সংকট এবং খানিকটা উপকরণের মূল্য বৃদ্ধিজনিত কারণে পণ্যমূল্য ভোক্তাদের ক্রয়সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এর সঙ্গে করপোরেট সংস্কৃতি ও বাজার সিন্ডিকেট মানুষকে অনেক ভোগান্তিতে ফেলেছে। সামনের দিনগুলোয় উৎপাদন বাড়াতে হবে। প্রতি ইউনিট উৎপাদন খরচ কমাতে হবে। এখন ফসল খাতে রোপা আমনের উৎপাদন মৌসুম চলছে। দেশে রাসায়নিক সার সংকট। ডলার সংকটের কারণে আমদানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের সার কারখানাগুলোয় প্রয়োজনীয় গ্যাস সরবরাহের অভাবে উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। দ্রুত এর প্রতিকার দরকার। নতুবা বর্তমান আমন ও সামনের বোরো মৌসুমেও এর নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হবে।
কৃষি ও শিল্পপণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি, নিত্যপণ্যের আমদানি হ্রাস, রফতানি সম্প্রসারণ, রেমিট্যান্স আয় বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের পতন ঠেকানো এবং ক্রমাগতভাবে টাকার মানের অবচয় রোধ করা আমাদের আসন্ন অগ্রাধিকার। এর জন্য জনজীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা জরুরি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেশের জনগণের বাহিনী হিসেবে পাশে থাকা, বিচার বিভাগকে স্বাধীনভাবে কাজ করা এবং সরকারি কর্মচারীদের জনকল্যাণে নিয়োজিত থাকার পরিবেশ তৈরি করার এখনই উপযুক্ত সময়। একটি দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনের জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে এখনই। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে সুশিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা। নতুন সরকার দেশের জনগণের কল্যাণে এবং কষ্ট লাঘবে পাশে থাকার ও জন আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করার দৃশ্যমান অগ্রগতি প্রদর্শনে সক্ষম হলে আত্মসুখ অনুভব করবে দেশের সাধারণ মানুষ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন ঘটিয়েছে। এসেছে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর কাছে প্রত্যাশা অনেক। সব ধরনের আর্থিক ও সামাজিক বৈষম্য পরিহার করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ার জন্য যে সময় দরকার তা এ সরকারের নেই। তবে তার শুভসূচনা এখনই হতে পারে। যে সংবিধানের শপথ নিয়ে এ সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছে, সে সংবিধানেই সরকারের স্থায়িত্বকাল বলে দেয়া আছে। একটি সংসদ ভেঙে দেয়ার পর নতুন সংসদ নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করে দেয়া আছে আমাদের সংবিধানে। তা মানতে হবে। রাষ্ট্র মেরামতের বৃহত্তর দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে আগামী দিনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ওপর। কারণ জনসংশ্লিষ্টতা ও দায়বদ্ধতা থাকে কেবল নির্বাচিত প্রতিনিধিদেরই। এরই মধ্যে দেশের ছাত্ররা এক বড় পরিবর্তন সাধন করেছে। ভবিষ্যতে এর সুবিধাভোগী হবে তারাই। এ দেশ পরিচালিত হবে তাদেরই মাধ্যমে। এখন তাদের ফিরে যেতে হবে পড়ার টেবিলে। মেধা ও মননে তারা গড়ে উঠবে উত্তম নাগরিক হিসেবে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ শেষে আমরা অতি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে গিয়েছিলাম। পড়াশোনায় মনোনিবেশ করেছিলাম। নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান শেষেও ছাত্ররা রাজপথ ছেড়ে চলে গিয়েছিল তাদের শ্রেণীকক্ষে। তবে এত বড় পরিবর্তনের কারিগর যে ছাত্ররা, তারা সবসময়ই সরকারের ব্যবস্থাপনার বিষয়ে উৎসুক ও সংশ্লিষ্ট থাকতে পারে। আশা করি, দেশের জনগণ এবারের অভ্যুত্থানে ছাত্রদের অবদান যথার্থভাবে মূল্যায়ন করবে। প্রত্যেকটা হত্যার বিচার হবে। আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের সুব্যবস্থা হবে। নিহত ও আহতদের জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমরা ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে অনেক প্রতিশ্রুতি দিই। সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করি। প্রকৃতপক্ষে তার অনেকখানিই বাস্তবায়ন করতে পারি না। গণতন্ত্র ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পর্কে অনেক কথা আমরা অহরহই শুনি, কিন্তু তার বাস্তব প্রতিফলন প্রায়ই দেখতে পাই না। গণতন্ত্রের লেবাস পরে এ দেশে অনেক সরকার এসেছে। কিন্তু কালক্রমে তা রূপ নিয়েছে স্বৈরতন্ত্রে। ক্ষমতার মোহ কোনো কোনো মানুষকে এতই আকর্ষণ করে যে তা অনেকেই ছাড়তে চায় না। ছলে-বলে-কৌশলে তা আঁকড়ে ধরে রাখতে চায়। তার পরিণতি হয় দুঃখজনক। ক্রমেই সরকার জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তার সাজানো ক্ষমতার বলয় তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায়। সম্প্রতি শেখ হাসিনা সরকারের পতন থেকে আমরা এ শিক্ষাই গ্রহণ করি। আমাদের জীবন খুবই সংক্ষিপ্ত, তার চেয়েও সংক্ষিপ্ত আমাদের কর্মকাল। এ সময়ের মাঝে যত বেশি সম্ভব জনকল্যাণে কাজ করা উচিত। সুখ-শান্তির জন্য কাজ করে তাদের মাঝে নন্দিত হওয়ার চেষ্টা করা উচিত।
বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মানুষকে রক্ষা করাই হবে তার সরকারের প্রধান কাজ। জনগণের পাশে থেকে তাদের সুখ-শান্তির জন্য কাজ করা এবং তাদের রক্ষা করার মতো বড় প্রতিশ্রুতি আর কিছুই হতে পারে না। তার সঙ্গে রয়েছে দেশের ১৭ কোটি মানুষ। আছে লাখ লাখ ছাত্র-যুবক। এদের তিনি সংগঠিত করবেন। নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাবেন এক স্বপ্নের পথযাত্রায়। তাতে নাগরিক জীবনে উন্নতির ছোঁয়া লাগবে। সমৃদ্ধ হবে দেশ। নতুন সরকারের কাছে এই আমাদের প্রত্যাশা।
ড. জাহাঙ্গীর আলম: কৃষি অর্থনীতিবিদ; পরিচালক, ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকস এবং প্রাক্তন উপাচার্য, ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজ