খাদ্যনিরাপত্তা

আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে গমের উৎপাদন বাড়াতে হবে

গম আমাদের অন্যতম প্রধান খাদ্যশস্য। কিন্তু গম উৎপাদনে আমাদের সক্ষমতা কতটুকু এবং আমাদের কতটুকু আমদানি করতে হয় সেদিকে মনোযোগ দেয়া উচিত। করোনা মহামারী ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে খাদ্যনিরাপত্তা কেমন জরুরি তা তুলে ধরেছে। দীর্ঘদিন ধরে চলা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট আমলে নিয়ে নিজেদের খাদ্য নিজেরা উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তা আরো বেড়েছে। শিল্প কাঁচামাল

গম আমাদের অন্যতম প্রধান খাদ্যশস্য। কিন্তু গম উৎপাদনে আমাদের সক্ষমতা কতটুকু এবং আমাদের কতটুকু আমদানি করতে হয় সেদিকে মনোযোগ দেয়া উচিত। করোনা মহামারী ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে খাদ্যনিরাপত্তা কেমন জরুরি তা তুলে ধরেছে। দীর্ঘদিন ধরে চলা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট আমলে নিয়ে নিজেদের খাদ্য নিজেরা উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তা আরো বেড়েছে। শিল্প কাঁচামাল থেকে শুরু করে খাদ্যপণ্য, জ্বালানি তেল থেকে বিলাসপণ্য—সবকিছুর জন্যই আমরা বড় আকারে আমদানিনির্ভর। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে। অনেক চেষ্টা-তদবির করেও গত দুই বছরে রিজার্ভ ঊর্ধ্বমুখী করা যায়নি। আমরা যদি গমের মতো একটি প্রধান খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও আমদানি ব্যবস্থাপনায় জোর না দিই তাহলে আমাদের খাদ্যনিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। এছাড়া আমদানিনির্ভরতায় আমাদের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হচ্ছে, আমাদের রিজার্ভ কমছে। গত ৪ জুলাই ‘গমের দাম নিয়ে শঙ্কা বাড়াচ্ছে সরবরাহের চ্যালেঞ্জ’ শিরোনামে বণিক বার্তায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বাজারসংশ্লিষ্ট তথ্য ও মূল্যের ডাটা সরবরাহকারী ডিজিটাল প্লাটফর্ম কেম অ্যানালিস্টের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মে মাসের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিকূল আবহাওয়া, সরবরাহ ও চাহিদার প্রভাবগুলোর অস্থিতিশীলতা গমের বাজারদর নিয়ে আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বিশ্বব্যাপী গম সরবরাহ এখন উল্লেখযোগ্য মাত্রায় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।

গত জুনে ওয়ার্ল্ড এগ্রিকালচারাল সাপ্লাই অ্যান্ড ডিমান্ড এস্টিমেটসের এক প্রতিবেদন জানিয়েছে, রাশিয়ার গম উৎপাদন গত বছরের তুলনায় প্রায় ৮৫ লাখ টন কমে প্রায় ৮ কোটি ৩০ লাখ টনে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোয় গমের উৎপাদন ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। ইইউভুক্ত দেশগুলোর গম উৎপাদন গত অর্থবছরের তুলনায় ৩৭ লাখ টন কমে ১৩ কোটি ৫ লাখ টনে দাঁড়িয়েছে। এদিকে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) বরাত দিয়ে ৪ এপ্রিল বণিক বার্তার আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ বিপণন মৌসুমে ভারতে রেকর্ড গম উৎপাদনের পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও সেখানে শস্যটির আমদানি ব্যাপক মাত্রায় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এ মৌসুমে ভারতে গমের চাহিদা স্থিতিশীল থাকবে। কিন্তু এ সময় সরকারি পর্যায়ে শস্যটির মজুদ কমে যেতে পারে। উৎপাদক দেশগুলো থেকে সরবরাহের সীমাবদ্ধতা ও গম আমদানিতে ভারতের সক্রিয় অংশগ্রহণের নিশ্চিত সম্ভাবনা বিশ্বব্যাপী গমের বাজারে প্রভাব ফেলেছে। এতে গমের মূল্য ও ব্যবসায় অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গমের সরবরাহ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ায় যখন পণ্যটির দাম ঊর্ধ্বমুখী, তখন দেশে দুই যুগ আগে উৎপাদিত গমের পরিমাণ বৃদ্ধির পরিবর্তে ড্রাস্টিক্যালি হ্রাস পেয়েছে। গমের চাহিদা মেটাতে দেশ প্রায় পুরোপুরি আমদানিনির্ভর (মোট ৭৫ লাখ টন চাহিদার ৮৫ শতাংশই আমদানি করতে হয়) হয়ে পড়েছে। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ওপর বিরাট চাপ সৃষ্টি হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে গম আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ২ হাজার ২৮ মিলিয়ন ডলার। এর আগের অর্থবছরে (২০২১-২২) এ ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ১৩৫ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা, ২০২৪)। আর ২০০৫-০৬ অর্থবছরে গম আমদানিতে ব্যয় হয়েছিল ৩০১ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১১)। আন্তর্জাতিক বাজারে গম সরবরাহ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লে পণ্যটির  দাম আরো বেড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে গম আমদানিতে আমাদের আরো বেশি পরিমাণে দুষ্প্রাপ্য বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হবে। এ অবস্থা থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়ার উপায় গমের উৎপাদন বৃদ্ধি। কিন্তু এজন্য মুখোমুখি হতে হবে নানা চ্যালেঞ্জের। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে কীভাবে গমের উৎপাদন বৃদ্ধি করা যেতে পারে, তা আলোচনা করাই এ নিবন্ধের উদ্দেশ্য। 

আমাদের খাদ্যশস্যের তালিকায় চালের পরের অবস্থানে অর্থাৎ দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে গম। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে (হায়েস) ২০২২ অনুযায়ী, জাতীয় পর্যায়ে মাথাপিছু দৈনিক গমের ব্যবহার দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৯ গ্রামে। ২০০৫ সালের হায়েসে এ পরিমাণ ছিল ১২ দশমিক ১ গ্রাম। ২০১৬ সালে তা ছিল ১৯ দশমিক ৮ গ্রাম। এ থেকে বোঝা যায় গমের ব্যবহার কীভাবে বাড়ছে। গমের ব্যবহার বাড়ার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে: এক. জনসংখ্যা বৃদ্ধি: জনশুমারি ২০২২ অনুযায়ী, স্বাধীনতার সময়ের সাড়ে সাত কোটি জনসংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৭ কোটিতে। দুই. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ও স্বাস্থ্যসচেতনতা: সময়, আয় ও জীবনযাত্রার মানের পরিবর্তনের দোলা খাদ্যাভ্যাসেও লেগেছে। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত—সব শ্রেণীর ভোক্তার খাদ্য তালিকায় গম তথা আটা-ময়দা গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে নিয়েছে। এক্ষেত্রে আয়ের পাশাপাশি ভূমিকা রাখছে স্বাস্থ্যসচেতনতা। তিন. গমের আটা-ময়দা থেকে তৈরি বিস্কুট, কেক ইত্যাদি শুধু দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাচ্ছে না, বরং রফতানি হচ্ছে ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয়। 

গমের চাহিদা বেড়ে চললেও পণ্যটির উৎপাদন নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকের তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে। সরকারি তথ্য মোতাবেক, ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে দেশে গমের উৎপাদন হয়েছিল ১৯ লাখ ৮ হাজার টন। এটি এ পর্যন্ত বাংলাদেশে গমের সর্বোচ্চ উৎপাদন। এর পর থেকে গমের উৎপাদন কমতে থাকে এবং ২০০৬-০৭ অর্থবছরে উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ লাখ ২৫ হাজার টনে (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০০৯)। এরপর অবশ্য পণ্যটির উৎপাদন কিছুটা বাড়তে থাকে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে গমের উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৭১ হাজার টনে, যা ২০২১-২২ এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল যথাক্রমে ১০ লাখ ৮৬ হাজার ও ১০ লাখ ৮৫ হাজার টন (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা, ২০২৪)।

অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (জুলাই ২০২০-জুন ২০২৫) কৃষি খাতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপখাত শস্য উপখাতের (ধান, গম) চ্যালেঞ্জগুলোর উল্লেখ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো: ১. নিম্ন উৎপাদনশীলতা, ২. জলবায়ু পরিবর্তন, ৩. প্রাকৃতিক সম্পদের ভিত্তির অবনমন ও ভূগর্ভস্থ পানিস্তর হ্রাস, ৪. কৃষিজমির প্রাপ্যতা হ্রাস, ৫. ঋণপ্রাপ্তির সমস্যা, ৬. সংরক্ষণ, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণ। অন্য সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ধীরগতি; সেচ ব্যবস্থার অদক্ষতা, নিম্নমানের ও ভেজাল কৃষি উপকরণ (বীজ, সার ও কীটনাশক) সরবরাহ; ভূগর্ভস্থ পানির স্তরে লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ; ভূমি, শ্রম ও পানির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিকরণ; উৎপাদিত পণ্যের গুণগতমান ও খাদ্যকে নিরাপদ রাখা। বিশেষজ্ঞরা গমের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে কতিপয় চ্যালেঞ্জের উল্লেখ করেছেন। এগুলো হলো: এক. গম উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন দীর্ঘ শীত। একসময় তা ছিল, এখন নেই। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশে শীতের তীব্রতা ও স্থায়িত্ব কমেছে। দুই. কৃষকের কাছে অধিক লাভজনক বিবেচিত হওয়ায় তারা গমের জমিতে ভুট্টা, আলু ও স্বল্পমেয়াদি সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। ফলে গম চাষের জমির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে। তিন. অনেক সময় অক্টোবর-নভেম্বরের অতিবৃষ্টি গম বপনের জমির জো আসার ক্ষেত্রে বিলম্ব ঘটায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফুল অবস্থায় ঝড়ো বাতাসে বা অত্যধিক  উষ্ণতায়  পরাগায়ন বিপর্যয়ে পড়ে। পরিপক্ব থেকে মাড়াইকালে গমের উষ্ণ ও শুষ্ক আবহাওয়া প্রয়োজন। কখনো কখনো এমন পরিবেশ অনুপস্থিত থাকে। অকস্মাৎ কালবৈশাখীও ফলনের ক্ষতি করে। চার. গমের ব্লাস্ট রোগ বাংলাদেশে গম চাষের ক্ষেত্রে একটি অন্যতম প্রধান অন্তরায় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য বলছে, এ রোগে ফলন ২৫-৩০ শতাংশ কমে যায় এবং ক্ষেত্রবিশেষে ফসল প্রায় সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়। গমের উৎপাদনশীলতা হ্রাসে এ রোগের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণে আমাদের প্রথম করণীয় হবে গমের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ও চীনে হেক্টরপ্রতি গম উৎপাদনের হার আমাদের দেশের চেয়ে বেশি। চীনে এ হার ৫ দশমিক ৪ টন। ভারতে সাড়ে তিন টন। আমাদের দেশে তা তিন টনের সামান্য বেশি। প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক, ২০১৬-২০ সময়কালে বিশ্বে হেক্টরপ্রতি গমের গড় উৎপাদন ছিল ৪ দশমিক ৪৮ টন।  আমাদের প্রথম লক্ষ্য হবে ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরের উৎপাদন অবস্থায় ফিরে গিয়ে ২০ লাখ টন গম উৎপাদন করা। এরপর  উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে গম উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি করা। এজন্য উষ্ণ আবহাওয়া-সহনশীল জাতের গম উদ্ভাবনের ওপর জোর দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, গম উৎপাদন অঞ্চল চিহ্নিত করে নিবিড় গম চাষ অঞ্চল গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এজন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হতে পারে। উত্তরাঞ্চলের শীত দেশের অন্যসব অঞ্চল থেকে দীর্ঘতর হয় এবং শীতের প্রকোপও বেশি। সুতরাং গম চাষের জন্য উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল অধিকতর উপযোগী বলে বিবেচিত হতে পারে। তৃতীয়ত, নিবিড় গম চাষ অঞ্চলের চাষীদের হ্রাসকৃত মূল্যে উন্নতমানের গমবীজ, সার ও কীটনাশক সরবরাহসহ সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। উল্লেখ্য, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় শস্য উপখাতের জন্য যেসব চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ঋণপ্রাপ্তি অন্যতম। চতুর্থত, ব্লাস্ট ও অন্যান্য রোগে গমের উৎপাদন যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। পঞ্চমত, বাংলাদেশের আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে গমের উন্নত জাত ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটকে নিরলস প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে বেশকিছু সাফল্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে। ষষ্ঠত, সরকার থেকে গমচাষীদের অতি স্বল্প মূল্যে উন্নতমানের গমবীজ, সার ও কীটনাশক সরবরাহ করা হলে, গমের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পেলে এবং গমচাষীরা তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পেলে তারা গমের জমি অন্য ফসল উৎপাদনে আগ্রহী হবেন না। তখন গম উৎপাদনের পরিমাণ বেড়ে যাবে। 

মো. আবদুল লতিফ মন্ডল: সাবেক খাদ্য সচিব

আরও