পর্যালোচনা

পেশাভিত্তিক জোটবদ্ধ ক্ষুদ্র উদ্যোগ বনাম আমাদের নগর পরিকল্পনা

অতিরিক্ত জনসমাগম হয় না, এমন নানান ধরনের ছোট পারিবারিক বা জোটবদ্ধ ব্যবসা এবং সৃজনশীল মেধা ও পেশাভিত্তিক নতুন নতুন তরুণ উদ্যোগ ও বিনিয়োগের জন্য শহরের যেকোনো এলাকার (কূটনৈতিক এলাকা ব্যতিরেকে) আবাসিক ভবনের নিচের দুই থেকে তিনতলা পর্যন্ত ছোট এসব বিনিয়োগ উদ্যোগের জন্য অনতিবিলম্বে অনুমোদনযোগ্য করে দেয়া

অতিরিক্ত জনসমাগম হয় না, এমন নানান ধরনের ছোট পারিবারিক বা জোটবদ্ধ ব্যবসা এবং সৃজনশীল মেধা পেশাভিত্তিক নতুন নতুন তরুণ উদ্যোগ বিনিয়োগের জন্য শহরের যেকোনো এলাকার (কূটনৈতিক এলাকা ব্যতিরেকে) আবাসিক ভবনের নিচের দুই থেকে তিনতলা পর্যন্ত ছোট এসব বিনিয়োগ উদ্যোগের জন্য অনতিবিলম্বে অনুমোদনযোগ্য করে দেয়া উচিত, তাহলে দেশের অর্থনীতিতে অভাবনীয় সুবিশাল পরিবর্তন আসবে। এগুলো হতে পারে যেমন আইনজ্ঞদের অফিস, সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান, ডাক্তার/ডেন্টিস্টের চেম্বার, ফিজিওথেরাপি বা কেয়ার গিভার সেন্টার, পার্লার, বুটিক ফ্যাশন হাউজ, কারুপণ্য হস্তশিল্প শোরুম, হারবাল অর্গানিক খাদ্য পরিবেশক, প্রকৌশলীদের চেম্বার, স্থপতি/প্ল্যানার/ইন্টেরিওর ডিজাইনারদের অফিস, বিভিন্ন কনসাল্টিং অফিস, পাবলিশার হাউজ, বুকশপ, আর্টিস্ট বা বিজ্ঞাপন ফার্ম, আর্ট গ্যালারি, ছোট পারিবারিক রেস্টুরেন্ট, গ্রাফিকস ডিজাইনারদের স্টুডিও, ফটো স্টুডিও, ছোট ছোট দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ ধরনের অন্য ছোট ছোট উদ্যোগ। পূর্বের দিকে তাকান। সেখানে দেখবেন তারা যে ভবনে থাকেন, সেখানেই জীবিকা নির্বাহ করেন। মা ব্যবসা করতে করতে তার শিশুকে খাওয়াচ্ছেন, আদর করছেন, শিশুটি খেলনা নিয়ে খেলছে, বাবা ব্যবসার হিসাবনিকাশ করতে করতে তার সন্তানদের হোমওয়ার্ক করাচ্ছেন। আর সন্তানরাও ফার্মের মুরগির মতো মানুষ হচ্ছে না, তারাও ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন স্তরের জনসংযোগের মুখোমুখি হওয়ার কারণে আস্তে আস্তে জীবনকে সাহসের সঙ্গে মোকাবেলা করতে শিখছে এবং অনেক বেশি যুগ সচেতন, সৃজনশীল সক্ষম হচ্ছে। থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, চীন, হংকং, কোরিয়া থেকে একদম পূর্বে জাপান পর্যন্ত দক্ষিণপূর্ব সমগ্র পূর্ব এশিয়ার প্রতিটি দেশেই এই ছোট ছোট পারিবারিক মেধাবী পেশাজীবী বিনিয়োগকারীই সে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অসাধ্য সাধন করেছেন এবং অত্যন্ত কম পুঁজি নিয়ে শুরু করা এদের প্রায় সবারই প্রাথমিক বিনিয়োগ উদ্যোগটি ছিল তাদের আবাসিক ভবনকে কেন্দ্র করে। যদি প্রথমেই জোটবদ্ধ একদল স্বপ্নবান তরুণকে বা একটি পরিবারকে একটি উচ্চমূল্যের অনুমোদিত বাণিজ্যিক স্পেস অগ্রিম দিয়ে ভাড়া নিয়ে তাদের ব্যবসা শুরু করতে হতো তাহলে জীবনেও তারা সে পুঁজি জোগাড় করতে পারতেন না এবং আবাসস্থল থেকে কর্মক্ষেত্র অনেক দূরে হওয়ায় নারী উদ্যোক্তারা কখনই দৈনন্দিন পারিবারিক দায়িত্ব এড়িয়ে সে উদ্যোগে অংশগ্রহণ করতে পারত না।

নিজ বাসস্থানসংলগ্ন স্থানের মধ্যে অতিসহজেই একটা ছোট জোটবদ্ধ পেশাভিত্তিক বা পারিবারিক ব্যবসা শুরু করতে যেখানে মাত্র - লাখ টাকা হলেই হয়, সেখানে তার বা তাদের কমবেশি ৫০ লাখ টাকা লাগে শুধু একটি বাণিজ্যিক স্পেস ভাড়া নিয়ে নতুন একটা ব্যবসা শুরু করতে এবং আইনের কারণেই লাখ লাখ মেধাবী নতুন নতুন উদ্ভাবনী শক্তিসম্পন্ন বিশাল সব সম্ভাবনাময় উদ্যোগ আমাদের দেশে জীবনেও আলোর মুখ দেখতে পায় না, প্রাথমিক উচ্চ বিনিয়োগের কাছে সৃজনশীল উদ্যোগগুলো অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে আমাদের অর্থনীতিতে ছোট ছোট পারিবারিক বা জোটবদ্ধ ইনফরমাল বিনিয়োগ পুঞ্জীভূত হয়ে বিশাল বিনিয়োগে পরিণত হতে পারছে না। কম পুঁজির মেধাবী তরুণরা স্বকর্মসংস্থানের উদ্যোগ থেকে ছিটকে পড়েছেন আর অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালীরা আরো বেশি ক্ষমতাবান হচ্ছেন। ফলে সমাজে বেকারত্ব অসাম্য আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আইনের সহযোগিতা থাকলে এসব ছোট উদ্যোগের মধ্য দিয়ে মাত্র - লাখ টাকা বিনিয়োগে -১০ জন মানুষের কর্মসংস্থান সম্ভব। যার অর্থ, মাত্র লাখ টাকারও কম বিনিয়োগে একজন তরুণের কর্মসংস্থান হচ্ছে। বিনিয়োগ কর্মসংস্থানের এই আনুপাতিক হার হাজার হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্পগুলোর আনুপাতিক হারের চেয়ে অনেক বেশি সাশ্রয়ী টেকসই। তাই রাষ্ট্রের উচিত আর্থিক সামাজিকভাবে দুর্বল পারিবারিক তরুণ মেধাভিত্তিক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এসব পুঁজিকে আইন পরিকল্পনা সহায়তার মাধ্যমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পুঞ্জীভূত বিকশিত হতে দেয়া এবং বিন্দু বিন্দু পুঁজিগুলোকে জাতীয় অর্থনীতির সঙ্গে সংযুক্ত করা। মনে রাখতে হবে বিন্দু বিন্দু বালুকণা জমাট বেঁধেই বিশাল বদ্বীপ গড়ে ওঠে। তাই অমিয় সম্ভাবনার এই মহাসড়ককে আমাদের খুলে দিতেই হবে। মনে রাখতে হবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিনিয়োগের মতো মেগা প্রকল্পগুলো কখনো বড় পরিসরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে না।

আমরা দেশীয় বিশ্বপরিসরে প্রতিনিয়ত শুনছি গ্রিন লিভিং, সাসটেনেইবেল লিভিং, লোয়ার কার্বন ফুটপ্রিন্ট।

একই ভবনে আবাসন কর্মক্ষেত্রের জীবন জীবিকার এই সম্মিলিত পদ্ধতি সব দিক দিয়েই উল্লিখিত তিনটি বিষয়ের সাপেক্ষেই অত্যন্ত অনুকূল সম্পূরক। আবাসনের সঙ্গেই কর্মক্ষেত্র হলে প্রতিদিন কর্মক্ষেত্রে যাওয়া-আসা বাবদ ঘণ্টা করে গড়ে মোট ঘণ্টা সময় বেঁচে যাবে, তার মানে মাসে ১২০ ঘণ্টা, অর্থাৎ বছরে হাজার ৪৪০ ঘণ্টা, বছরে ৬০ দিন বা দুই মাস সাশ্রয় হবে। তার মানে মা-বাবা তার সন্তান পরিবারের সঙ্গে অনেক বেশি সময় দিতে পারবেন, যার পারিবারিক আর্থসামাজিক মূল্য সীমাহীন এবং জীবন উচ্চ উৎপাদনশীলতার নিরিখে এটা অনেক বেশি টেকসই। এছাড়া ঘরের কাছে কর্মক্ষেত্র হওয়ার কারণে মোটরযান প্রয়োজন না হওয়ায় বিশাল মাত্রার কার্বন ইমিশন থেকে এই নগর, এই দেশ তথা বিশ্বকে বাঁচাতে পারে ধরনের নগর পরিকল্পনা।

একই ভবনের মধ্যে আবাসন পারিবারিক ব্যবসার এই বিনিয়োগবান্ধব প্ল্যানিং কনসেপ্টি কিন্তু বহু প্রাচীন। পূর্ব দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার প্রধান অপ্রধান প্রায় সব শহরেই এর অনেক অনেক সফল প্রাণবন্ত উদাহরণ চোখে পড়ে। হাজার হাজার এমন Successful Mixed Use বা Shop House এলাকার উদাহরণ থেকে গুটি কয়েকের কথা এখানে বলা যেতে পারে, যেমন চীনের বিখ্যাত গুয়াংজু শহরের পানফু লু, সান ইয়ান লি বা ইউশিউ ডিস্ট্রিক্ট এলাকা, সিংগাপুরের সেরাংগুন, বুগিস বা জালান বাসার এলাকা, কুয়ালালামপুরের বুকিট বিনতাং এলাকা, ব্যাংককের বিখ্যাত সুকুমভিত, নানা, প্রাতুনাম, জাওরাথ, পাওরাথ, চাতুচাক এলাকা।

গুলশান, বনানী, বারিধারাসহ এসব এলিট এলাকা ছোট ছোট পারিবারিক বিনিয়োগ থেকে তথাকথিত নিষ্কলুষ রেখে কী লাভ হয়েছে? জনক্রোধ থেকে নিরাপদ দূরত্বে গড়ে তোলা এসব জীবনবৈচিত্র্য সহমর্মিতাহীন তথাকথিত Puritan Neighbourhood জাতিকে কী দিয়েছে? দেশের ভালো ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসব এলাকার কয়টি ছাত্রকে দেখা যায়? শুধু এলিফ্যান্ট রোডে সংলগ্ন গমগমে মিক্সড ইউজ এরিয়া (যে এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়ির নিচে বহুকাল থেকেই জমজমাট দোকান ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চলছে) থেকে যত ছাত্র এক বছরে বুয়েট বা ডিএমসিতে ভর্তি হয়, ২০ বছরেও ওইসব এলিট এলাকা থেকে তত ছাত্র ভর্তি হতে পারে না। এটাই মডেলের করুণ বাস্তবতা।

একমাত্র পুরান ঢাকাতেই পারিবারিক ব্যবসা আবাসিক বসবাসের সম্মিলিত সাফল্যজনক এই সিনথিসিসটি এখনো কিছুটা বর্তমান আছে (তবে আবাসিক এলাকায় বিপজ্জনক দ্রব্য গুদামজাত কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়) এবং সে কারণেই এখানকার তরুণরা এখনো ব্যবসা বিনিয়োগে দেশের অন্যান্য এলাকার চেয়ে অনেক এগিয়ে এবং দেশী-বিদেশী বহু উচ্চ প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রিধারীর চেয়েও তাদের ব্যবসায়িক সৃষ্টিশীলতা অনেক বেশি। বাসস্থান ব্যবসাক্ষেত্র একত্রে থাকার কারণে  ছোটবেলা থেকেই তারা সহজাতভাবে অনেক দক্ষতা অর্জন করে বাপ-চাচাদের কাছ থেকে এই মাটি মানুষের সঙ্গে সম্পর্কিত এমন অনেক খুঁটিনাটি বাস্তব কৌশল বিনিয়োগ বিশ্লেষণ ক্ষমতা শিখে নেয়, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের বইয়ে খুঁজেও পাওয়া যাবে না।

পুরান ঢাকার জমজমাট পাড়াগুলোর মধ্যে যে সৃষ্টিশীল প্রাণচাঞ্চল্য, জীবন জীবিকার যূথবদ্ধ যে অনন্য শক্তি বৈচিত্র্য, মানুষে মানুষে প্রজন্মব্যাপী যে গভীর যোগাযোগ সহমর্মিতা, তার ছিটেফোঁটাও নেই এসব বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো প্রাণহীন, সহমর্মিতাহীন, রসকষহীন তথাকথিত ডিজাইনড এলিট এলাকাগুলোয়। মজার কথা হলো, এই পুরান ঢাকার এমন অনেক ধনাঢ্য পরিবার আছে, যারা গুলশান, বনানী, বারিধারা, উত্তরাসহ ওইসব এলিট এলাকায় একাধিক সুরম্য বাড়িঘরের মালিক কিন্তু তারা নিজেরা পুরান ঢাকার অপরিসর কোলাহলমুখর গলিতে অবস্থিত তাদের অপেক্ষাকৃত ছোট বাড়িটি ছেড়ে কখনো কিন্তু সেইসব বিরাট বাড়িঘরে বসবাসের কথা ভুলেও চিন্তা করেন না, কেননা পুরান ঢাকা তাদের যা দিতে পেরেছে, বহু জ্ঞানী-গুণী ডিগ্রিধারী দ্বারা ডিজাইনকৃত এসব তথাকথিত সুপরিকল্পিত এলিট এলাকা তাদের তা দিতে পারেনি।

তবে সমস্যা একটাই, বাসস্থান থেকে ব্যবসার স্থান বা স্কুল-কলেজ ১৫-২০ কিলোমিটার দূর না হলে তো গাড়ি বিক্রি হবে না, তাই বাসস্থান থেকে কর্মক্ষেত্র হতে হবে বহুদূরে যেন একটি শহরে লাখ লাখ মোটরগাড়ি দরকার হয়, আর এই গাড়ি প্রস্তুতকারী লবিই দেশে দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সিলেবাসগুলোয় বস্তু খুব সুচতুরভাবে ঢুকিয়ে দিয়েছে। বড় বড় স্কলারশিপ দিয়ে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে ছাত্রদের নিয়ে গিয়ে আমাদের সেই তত্ত্ব গেলানো হচ্ছে। আমাদের চিন্তা প্রক্রিয়ার মধ্যে এই মাইন্ড সেট প্রোথিত করে দেয়া হয়েছে যে মোটরযান এবং তার জন্য প্রয়োজনীয় সড়ক নেটওয়ার্কই হবে আমাদের নগর পরিকল্পনার প্রধানতম নিয়ামক, যুগের পর যুগ ধরে এটা চলে আসছে। প্রক্রিয়ারই প্রতিফল হচ্ছে আমাদের এই অকার্যকর ঢাকা শহর। সে কারণেই একজন স্বপ্নবান তরুণ নগরবাসীকে থাকতে হবে উত্তরায়। আর সেখান থেকে ২১ কিলোমিটার দূরে মতিঝিল বা দিলখুশায় হতে হবে তার কর্মক্ষেত্র যেন মোটরযানে তার অফিসে যেতে আর ফিরতে ঘণ্টা সময় লাগে। শ্রান্ত, অবসন্ন বিধ্বস্ত হয়ে তিনি যখন বাড়ি ফিরবেন তখন দেখবেন তার প্রিয় সন্তানরা সব ঘুমিয়ে গেছে, তার খাবার সব ঠাণ্ডা হয়ে গেছে। রকম একজন বিধ্বস্ত মানুষ কী করে সৃজনশীল হবে? কী করে উদ্যোগী হবে? কী করে কর্মদক্ষ হবে?

নগর পরিকল্পনাসহ আমাদের প্রায় সব নিয়মকানুনই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সৃজনশীল উদ্ভাবন নতুন  বিনিয়োগ ধারণার বিরোধী। পশ্চিমা মোটরগাড়িনির্ভর প্ল্যানিং মাইন্ড সেট নিয়ে এশিয়ার বাস্তবতায় টেকসই উন্নয়ন সহায়ক নগর পরিকল্পনা এবং অর্থনৈতিক উল্লম্ফন বিকাশ সম্ভব নয়।

কম পুঁজির নাগরিক পারিবারিক উদ্যোগ উদ্ভাবনী শক্তিসম্পন্ন তরুণ উদ্যোক্তাদের মেধা কর্মদক্ষতার পথ আমাদের অবারিত করতেই হবে। বিল গেটস বা স্টিভ জবস দুজনেই আমাদের শহরের হাজারো এমনই স্বল্প পুঁজির স্বপ্নবান শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তার মতোই ছিলেন, যারা একেকটা ছোট্ট আবাসিক গ্যারাজে যথাক্রমে বিশ্বখ্যাত মাইক্রোসফট অ্যাপল কোম্পানি শুরু করেছিলেন, বাংলাদেশ হলে আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর গুরুতর অপরাধে রাজউকের উচ্ছেদ নোটিস খেয়ে প্রথম সপ্তাহেই মাইক্রোসফট অ্যাপল বন্ধ হয়ে যেত। বিল গেটস আর স্টিভ জবসকে হয়তো মধ্যম বেতনের কেরানির চাকরি করে বাকি জীবন পার করে দিতে হতো।

শেষমেশ আবারো বলব, Lets look towards the East.

চলুন বাক্সের বাইরে চিন্তা করতে শিখি, বাক্সের বাইরে বেরিয়ে পৃথিবীকে দেখতে চেষ্টা করি।

 

মাহফুজুল হক জগলুল: স্থপতি নগর পরিকল্পনা বিশেষজ্ঞ

আরও