দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হোক আনন্দঘন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে

বর্ষা শেষে আদিগন্ত আকাশজুড়ে যখন মেঘের নৌকা পাল তুলে ঘুরে বেড়ায়, নদীতীরে কাশফুল ফোটে, খাল-বিল শাপলা ও পদ্ম ফুলে ফুলে ভরে উঠে, যখন ঘাসের ডগায় জমে মুক্তার মতো বিন্দু বিন্দু শিশির, শেফালি ফুলের গন্ধে বাতাস ভরে ওঠে, যখন কৃষক শীতকালীন শস্য বোনার প্রস্তুতি গ্রহণ করে, তখনই স্বামীগৃহ কৈলাস থেকে পিতৃগৃহে মা দুর্গার আগমন ঘটে এ মর্ত্যে। মায়ের আগমনে পৃথিবীর গাছ-পালা, বৃক্ষ-লতা, নদ-নদী, পাহাড়-পর্বত, পশু-পাখি, এমনকি ক্ষুদ্র কীট-পতঙ্গের মধ্যে প্রাণচাঞ্চলের সৃষ্টি হয় এবং অপূর্ব সাজে সজ্জিত হয় প্রকৃতি।

পূজার এক মাস আগে থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়ি-ঘরে উৎসবের আমেজ শুরু হয়ে যায়। হিন্দু রমণীরা তাদের ঘরদোয়ার পরিষ্কার এবং কাপড়-চোপড় ধোয়ার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তারা পূজার জন্য মুড়ি, খই, চিড়া ভাঁজার মতো কাজগুলোর পূজার সাত-আটদিন আগেই শেষ করে ফেলেন। আর পূজা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে হিন্দুবাড়িতে মুড়ির নাড়ু, নারকেলের নাড়ু, তক্তি, তিলের নাড়ু, ক্ষীরের নাড়, ভেটের নাড়ু তৈরির ধুম পড়ে যায়। পূজার সময় বাড়িতে অতিথি এলে তাদেরকে এসব নাড়ু, তক্তি, চিড়া, মুড়ি ও নানা রকমের মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। এটা বাঙালি হিন্দুদের অতিথি আপ্যায়নের হাজার বছরের আবহমান ঐতিহ্য। নতুন জামা, জুতা, শাড়ি, গহনা, প্রসাধনী সামগ্রী এ উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ। ধনী, গরিব নির্বিশেষে সবাই দুর্গা পূজা উপলক্ষে নতুন কাপড় তৈরির জন্য ভিড় করেন দর্জির দোকানগুলোয়। এখন যুগ পাল্টে গেছে। মানুষের রুচি ও অভ্যাসের পরিবর্তন হয়েছে। আয় বেড়েছে। তাই হিন্দু সম্প্রদায় এখন পূজার পাঞ্জাবি, পাজামা, শার্ট-প্যান্ট, মেয়েদের সালোয়ার কামিজ ও মহিলাদের শাড়ি কেনার জন্য ফ্যাশন হাউজগুলোয় ভিড় জমান । ফ্যাশন হাউজগুলোও পূজা উপলক্ষে তাদের পণ্যমূল্যের ওপর আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট ঘোষণা দেয়। বিকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মহিলারা দল বেঁধে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ ঘুরে ঘুরে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জন্য কাপড়-চোপড়সহ প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করেন। কেউ কেউ পূজা উপলক্ষে সোনার গহনাও কেনেন। যাদের সামর্থ্য নেই তারা কেনেন ইমিটেশনের গহনা। এ বছর সারা দেশে ৩২ হাজার ৬৬৬টি মন্দিরে আনন্দঘন পরিবেশে দূর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৩২ হাজার ৪৬০টি মন্দিরে দুর্গা পূজা।

দুর্গা পূজার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এবার প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। সম্প্রতি দুর্গা পূজায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ, র‍্যাব, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের টহল জোরদার, গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য কঠোরভাবে নজরদারির ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একগুচ্ছ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধের পূর্বপ্রস্তুতি রাখতে হবে। অপ্রত্যাশিত কোনো ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দুর্গা পূজা চলাকালে স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো মন্তব্য বা গুজব ছড়ানোর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ইত্যাদি।

শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপনের জন্য সারা দেশে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় নেতা, সাংবাদিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে কমিটি। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে চলছে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিমূলক সভা।

সম্প্রতি ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলায় এ ধরনের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় পূজাসংশ্লিষ্ট উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা, যেমন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পিডিপি ও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির প্রতিনিধি, আনসার-ভিডিপি অফিসার, সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক। পূজা উদযাপন পরিষদ ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা এবং সব পূজামণ্ডপের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল আহমেদ জানান, যুগ যুগ ধরে ত্রিশালে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাই সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে, মহাধুমধামের সঙ্গে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবারো তার কোনো ব্যতিক্রম হবে না। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, পূজার পাঁচটি দিন প্রশাসন ও আমাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে। দিন-রাত মণ্ডপগুলোয় পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে। উপজেলা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাদের বক্তব্য থেকে জানা যায়, তারা প্রতিটি মণ্ডপে ওই এলাকার নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা অনুষ্ঠানের জন্য কমিটি গঠন করে কমিটিপ্রধানের মোবাইল নম্বর পূজা কমিটির কাছে লিখিত আকারে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। কোনো সমস্যা হলে ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কমিটির আহ্বায়ক তার সদস্যদের নিয়ে সহযোগিতার জন্য মন্দিরে হাজির হবেন। এবার ত্রিশালে ৬৩টি মণ্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে, যদিও গত বছর অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৭৫টি মণ্ডপে। সভায় উপস্থিত অংশীজনরা তাদের বক্তব্যে বলেন—

১. এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। এজন্য প্রতিটি থানায় একটি সুসজ্জিত স্ট্রাইকিং ফোর্স গঠন করতে হবে। যাতে কোনো অবাঞ্চিত ঘটনা ঘটার সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সেখানে দ্রুত পৌঁছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

২. সমগ্র থানা এলাকার ইউনিয়ন ও পৌরসভার সংখ্যার ভিত্তিতে ১০-১২টি উপ-এলাকায় ভাগ করে একজন সাব ইন্সপেক্টরকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্ব দিতে হবে।

৩. প্রত্যেক মণ্ডপের গেটের সামনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এসি ল্যান্ড, থানার ওসি, আর্মি ক্যাপ ইনচার্জ, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিভাগ, মেডিকেল অফিসার, কাউন্সিলর এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মোবাইল নম্বর-সংবলিত ব্যানার টানাতে হবে।

৪. ভিড় এড়াতে মহিলা ও পুরুষদের প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য আলাদা গেটের ব্যবস্থা করেতে হবে।

৫. প্রত্যেক মন্দিরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং সেগুলো সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।

৬. কর্তব্যরত আনসারদের কোনো অবস্থাতেই মণ্ডপের বাইরে অবস্থান করা চলবে না।

৭. প্রত্যেক মণ্ডপে হিন্দু যুবকদের সমন্বয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করে একজন দলনেতার নেতৃত্বে ২৪ ঘণ্টা পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে।

৯. মণ্ডপ এলাকার প্রবীণ ও গণমান্য হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের পূজা চলাকালীন কমপক্ষে প্রতিদিন তিন-চারবার মন্দিরে আসতে হবে এবং কমিটিকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে হবে।

১০. প্রতিটি মণ্ডপে নিজ নিজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নিয়মিত পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করতে হবে এবং মন্দিরে মন্দিরে গ্রাম পুলিশ নিয়োজন করতে হবে।

১২. পূজামণ্ডপের আশপাশে কোনো অপরিচিত লোকের সন্ধান পেলে তাকে আটক করে থানা পুলিশকে জানাতে হবে।

১৩. মন্দির কমিটিকে মণ্ডপ এলাকার রাজনৈতিক দলের নেতাদের সহযোগিতার জন্য সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে হবে।

১৪. নামাজ শুরুর ৮-১০ মিনিট আগে এবং নামাজের সময় সব ধরনের মাইক ও ঢাক-ঢোল বাজানো বন্ধ রাখতে হবে।

১৫. মন্দির কমিটিকে স্থানীয় মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে মতবিনিময় করে তাদের সহযোগিতা চাইতে হবে।

১৬. পূজামণ্ডপে ধর্মীয় গান, দেশাত্মবোধক গান ও চণ্ডীপাঠ ছাড়া অন্য কোনো কুরুচিপূর্ণ গান বাজানো যাবে না।

১৭. রাত ১০টার মধ্যেই আরতিসহ পূজার সব কাজ শেষ করতে হবে।

১৮. পূজাসংক্রান্ত কোনো ছোটখাটো ঝগড়া-বিবাদের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করার আগে বিষয়টি প্রশাসনকে জানাতে হবে।

১৯. প্রতিমা বিসর্জনের রোড ম্যাপ ও স্থান থানা প্রশাসনকে আগেই জানাতে হবে। যাতে তারা যানজট নিরসন ও বিসর্জন স্থানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেন।

২০. দশমীর দিন সূর্য ডোবার আগেই প্রতিমা বিসর্জনের কাজ শেষ করতে হবে।

দুর্গা পূজা হলো দেবী দুর্গাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় উপমহাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। দুর্গা পূজা বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ওডিশা, বিহার, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড ও উত্তরপ্রদেশে বেশ জাঁকজমকের সঙ্গে পালিত হয়। বাংলা বর্ষপঞ্জির আশ্বিন মাসের শুল্কপক্ষে অনুষ্ঠিত হয় দুর্গা মায়ের পূজা। মহালয়া থেকে শুরু করে বিসর্জন পর্যন্ত দুর্গা পূজা মূলত ১০ দিনের উৎসব। তার মধ্যে শেষ পাঁচদিনই খুব তাৎপর্যপূর্ণ।

আনন্দের কথা, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ‘কলকাতার দুর্গা পূজা’ নামে ইউনেস্কোর অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত করা হয় দুর্গা পূজাকে। বর্তমানে দুর্গা পূজা ভারত, বাংলাদেশ ছাড়াও নেপালসহ বিশ্বের বহু দেশে পালিত হচ্ছে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ওমান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ডেনমার্ক, স্পেন, বেলজিয়াম, দক্ষিণ কোরিয়া ইত্যাদি। ২০০৬ সালে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামের গ্রেট হলে ‘ভয়েস অব বেঙ্গল মরসুম’ নামে একটি সাংস্কৃতিক প্রদর্শনীর অঙ্গ হিসেবে স্থানীয় বাঙালি সনাতনী অভিবাসীরা ও জাদুঘর কর্তৃপক্ষ একটি বিরাট দুর্গা পূজার আয়োজন করে। ডেনমার্কে প্রতি বছর প্রবাসী বাঙালিরা দুর্গা পূজার আয়োজন করে। আমেরিকার দুর্গা পূজার ইতিহাস অনেক দশকের পুরনো। বর্তমানে বিশেষ করে নিউইয়র্ক ও নিউজার্সি হয়ে উঠেছে আমেরিকার দুর্গা পূজার প্রাণকেন্দ্র। শুধু আমেরিকা কেন? বেলজিয়াম, বার্লিন, অস্ট্রেলিয়া ও স্পেনেও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

এবার দেবী মর্ত্যে আসবেন পালকি করে এবং পুত্র-কন্যাদের নিয়ে কৈলাসে ফিরে যাবেন হাতিতে আসীন হয়ে। পালকিতে আসার কারণে মহামারী, ভূমিকম্প, খরা ও যুদ্ধের ফলে অতিমৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে। শাস্ত্রমতে দেবী ফিরবেন হাতিতে, যা দেবীর প্রস্থানের অন্যতম বাহন। এ কারণে মর্ত্যলোক ভরে উঠবে সুখ-সমৃদ্ধিতে। পূর্ণ হবে ভক্তদের মনোবাঞ্ছা। পরিশ্রমের ফসল পাবে মর্ত্যলোকের অধিবাসীরা। অতিবৃষ্টি বা অনাবৃষ্টি নয়, ঠিক যতটা প্রয়োজন ততটাই বৃষ্টি হবে।

২০২২ সালে কুমিল্লায় একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বানানো ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ৪৫টি পূজামণ্ডপে এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্বশুর বাড়ি পীরগঞ্জের মাঝিপাড়ায় দুর্গা পূজা কেন্দ্র করে পূজামণ্ডপে ও হিন্দুদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে, এবার যেন ওই ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে—এটাই দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ সচেতন ও প্রগতিশীল মানুষের একান্ত প্রত্যাশা।

নিতাই চন্দ্র রায়: সাবেক মহাব্যবস্থাপক (কৃষি), বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন

আরও