আলোকপাত

বোরো ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে সফলতা অর্জন কেন গুরুত্বপূর্ণ

খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) ১৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সভায় চলতি বোরো মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহের নীতিমালা গৃহীত হয়। অনুমোদিত নীতিমালা অনুযায়ী, এবার বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টন ধান ও চাল কিনবে সরকার। এর মধ্যে চার লাখ টন ধান এবং ১২ লাখ ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল। প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০

খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) ১৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সভায় চলতি বোরো মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহের নীতিমালা গৃহীত হয়। অনুমোদিত নীতিমালা অনুযায়ী, এবার বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টন ধান ও চাল কিনবে সরকার। এর মধ্যে চার লাখ টন ধান এবং ১২ লাখ ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল। প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা। আর সিদ্ধ চাল প্রতি কেজি ৪৪ টাকা। এ মূল্য গতবারের (২০২১-২২) তুলনায় ধানের কেজিতে ৩ টাকা এবং সিদ্ধ চালের কেজিতে ৪ টাকা বেশি। ৭ মে সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে এবং ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তা চলবে। এবারের বোরো মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহে সাফল্য অর্জন সরকারের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ, তা আলোচনা করাই এ নিবন্ধের উদ্দেশ্য।

যে বিষয়গুলো অনেক বছর ধরে সরকারকে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন থেকে ধান ও চাল সংগ্রহে প্রভাবিত করে আসছে, সেগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো—এক. ধান কাটা ও ঘরে তোলার মৌসুমে বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখা। আমাদের দেশে ধানচাষীদের বেশির ভাগই ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক। তারা ধারদেনা করে ফসল ফলান। তাদের সংসারে নানা অভাব-অনটন লেগেই থাকে। ফলে ধান কাটার পর পরই বহু কষ্টে ফলানো ফসল বিক্রি করতে বাজারে নিতে হয়। মৌসুমের শুরুতে ধানচাষীরা যাতে ধানের ন্যায্য দাম পান, তা যতটা সম্ভব নিশ্চিত করতে সরকার মাঠপর্যায়ে চাষীদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনে। দুই. সরকারি গুদামে চালের নিরাপত্তা মজুদ গড়ে তোলা। সরকারি খাদ্যগুদামে যথেষ্ট পরিমাণে ধান-চাল মজুদ থাকলে তা চালকল মালিক ও চাল ব্যবসায়ীদের চালের দাম বাড়াতে নিরুৎসাহিত করে। তিন. বাজারে চালের দাম বাড়লে সরকারি মজুদ থেকে খোলাবাজারে (ওএমএস) ও ন্যায্যমূল্যের দোকানে চাল বিক্রির মাধ্যমে এর দাম স্থিতিশীল রাখা। তাছাড়া সরকারি গুদামের মজুদ থেকে সরকার নির্দিষ্টসংখ্যক হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে স্বল্পমূল্যে চাল বিতরণ করে আসছে। এটি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নামে পরিচিত। চার. খাদ্যশস্যের (চাল, গম) সরকারি মজুদ থেকে সরকারের লক্ষ্যমুখী খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা। এসব কর্মসূচির মধ্যে দুস্থ জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন (ভিজিডি), দুস্থ জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্যসহায়তা (ভিজিএফ) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

দেশে চাল উৎপাদনে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বোরো। বছরে মোট উৎপাদিত চালের কম-বেশি ৫৫ শতাংশ পাওয়া যায় বোরো থেকে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বোরোর উৎপাদন বছরে যখন ১ কোটি ৯০ লাখ টন থেকে ২ কোটি ৩ লাখ টনের মধ্যে সীমাবদ্ধ, তখন দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা আমন উৎপাদনের পরিমাণ বছরে ১ কোটি ৪০ লাখ টন থেকে ১ কোটি ৫৫ লাখ টনের মধ্যে রয়েছে। আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা আউশের বছরে উৎপাদনের পরিমাণ সীমাবদ্ধ রয়েছে ২৫ লাখ থেকে ৩০ লাখ টনের মধ্যে (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২১)। বোরো সবচেয়ে বেশি ধান-চাল উৎপাদনকারী ফসল হওয়ায় সরকারের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে এটি সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়ে আসছে। তবে এটিও সত্য, বোরো চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা মোটামুটি পূরণ হলেও ধান সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছেও পৌঁছায় না। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, গত বোরো মৌসুমে সাড়ে ছয় লাখ টন ধান এবং ১৩ লাখ ৬১ হাজার টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল সরকার। সংগ্রহ হয়েছিল ২ লাখ ৬৮ হাজার ২৪৮ টন ধান এবং ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৪৭৯ টন চাল। 

সরকারের বোরো ধান সংগ্রহের সফলতা যেসব ফ্যাক্টরের ওপর নির্ভরশীল সেগুলো হলো—

১. ভালো উৎপাদন: কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক সম্প্রতি আশা প্রকাশ করেছেন, এ বছর ২ কোটি ১৫ লাখ টন বোরো চাল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২ কোটি ২০ লাখ টন উৎপাদন হতে পারে। তার এ আশাবাদ সম্পর্কে এ মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, খরা, অতি উচ্চতাপমাত্রাসহ নানা কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানসহ সব ফসলের উৎপাদন কম হবে গড়ে ৩০-৪০ শতাংশ (যুগান্তর, ১৯ এপ্রিল)। গত বছর ২ কোটি ৯ লাখ ৫১ হাজার টন বোরো চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল দুই কোটি টনের নিচে। বিদায়ী আমন মৌসুমে চালের উৎপাদন ১ কোটি ৬৩ লাখ টনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আশা প্রকাশ করেছিল। তবে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) এক পূর্বাভাসে এ উৎপাদন ১ কোটি ৪১ লাখ টনে দাঁড়াবে বলা হয়েছে। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২২ লাখ টন কম আমন চাল উৎপাদন হবে। এরও আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) হিসাব মতে, দেশে চালের উৎপাদন দাঁড়ায় ৩ কোটি ৮৭ লাখ টনে। আর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব মতে, ওই অর্থবছরে দেশের চালের প্রকৃত উৎপাদন ছিল ৩ কোটি ৬৬ লাখ টন। বিবিএসের হিসাবের সঙ্গে ডিএইর হিসাবের পার্থক্য দাঁড়ায় প্রায় ২১ লাখ টন। তাই চলতি বোরো মৌসুমে চাল উৎপাদনের সঠিক পরিমাণ জানার জন্য আমাদের আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। 

২. ধান উৎপাদন খরচের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত দাম সংগতিপূর্ণ হওয়া: সরকার নির্ধারিত ধানের দাম নিয়ে ধানচাষীদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। ধানচাষীদের বক্তব্য হলো—সার, শ্রমিক, সেচ ইত্যাদি বাবদ ধান উৎপাদনে যে খরচ হয়েছে, সরকার নির্ধারিত ধানের দামে তা পোষায় না। গত আট মাসে দুবার সারের দাম বাড়ানো হয়েছে। গত আগস্টে ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়িয়ে ২২ টাকা করা হয়। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে সরকার ডিলার ও কৃষক পর্যায়ে কেজিতে সারের দাম আরো ৫ টাকা বাড়িয়েছে। ফলে একজন কৃষককে ইউরিয়া, ডিএপি, টিএসপি ও এমওপি সার বেশি দামে কিনতে হয়েছে। অথচ এবার সরকারের বোরো সংগ্রহ অভিযানে যখন গত বোরো মৌসুমের তুলনায় কেজিপ্রতি ধানের দাম ৩ টাকা বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হলো, তখন চালের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে প্রতি কেজি করা হলো ৪৪ টাকা। বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন, সরকার নির্ধারিত দরে ধান বিক্রি করলে ধানচাষীদের পোষাবে না। সেক্ষেত্রে ধানের দাম কেজিপ্রতি ১ টাকা বাড়ানো বিবেচনা করা যেতে পারে। অন্যথায় চাষীরা সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি করতে আগ্রহী হবেন না। 

৩. সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে ধান সরবরাহে মাননির্দেশক বিনির্দেশ পালনের জটিলতার সমাধান: সরকারি নীতিমালায় ধান সংগ্রহে আর্দ্রতার পরিমাণ, বিজাতীয় পদার্থের মিশ্রণ, চিটার পরিমাণ ইত্যাদি নির্ধারণ করে দেয়া হয়। খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, ধান দিতে এসে কৃষক যেন ফেরত না যায় সেটা খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিশ্চিত করতে হবে। তবে তিনি এটাও বলেছেন, ধানের আর্দ্রতার পরিমাণ ১৪ ভাগের ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া যাবে না। উল্লেখ্য, সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে চাষীদের ধান সরবরাহে যেসব মাননির্দেশক বিনির্দেশ পালনের কথা, সেগুলো তাদের আগে তেমন অবহিত করা হয় না। ফলে অনেক সময় তাদের ধানে আর্দ্রতার পরিমাণ বা বিজাতীয় পদার্থের মিশ্রণ বা চিটার পরিমাণ নীতিমালায় নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি থাকে। মাঠপর্যায়ে খাদ্য অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ ধরনের ধান নিতে আপত্তি জানালে ধানচাষীদের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদের সৃষ্টি হয়। এতে ধানচাষীরা সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। বহুল প্রচারের মাধ্যমে কৃষকদের এ বিষয় সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। 

৪. বেআইনিভাবে ধান মজুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ: চালকল মালিক, ব্যবসায়ী, বড় কৃষক যেন বেআইনিভাবে ধান মজুদ করে রাখতে না পারে তা সরকারকে মনিটর করতে হবে। অবশ্য কিছুদিন আগে খাদ্যমন্ত্রী ধান ও চালের অবৈধ মজুদদারি কঠোরভাবে মনিটর করার জন্য খাদ্য অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে মন্ত্রীর এ নির্দেশ কতটা বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। 

লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহের ব্যাপারে সন্দেহ থাকলেও চালকল মালিকদের কাছ থেকে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চাল সংগ্রহে সরকারের কোনো সমস্যা হবে বলে মনে হয় না। কারণ চালকল মালিকদের কাছ থেকে সংগ্রহতব্য চালের যে দাম সরকার নির্ধারণ করেছে তা নিয়ে চালকল মালিক সমিতি এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে বলে জানা যায়নি। সরকার গতবারের তুলনায় কেজিপ্রতি চালের দাম ৪ টাকা বৃদ্ধি করায় চালকল মালিকদের খুশি হওয়ারই কথা। আমন ও বোরো উভয় মৌসুমে সংগ্রহতব্য চালের মূল্য নির্ধারণে সরকার চাল সরবরাহকারী চালকল মালিকদের প্রতি একটু বেশি সদয় থাকে। 

প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, গত এক বছরে দেশের কমবেশি ৭০ শতাংশ মানুষের প্রধান খাদ্য মোটা চালের দাম বেড়েছে ১৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর নাজিরশাইলসহ সরু চালের দাম বেড়েছে গড়ে ২০ দশমিক ২৯ শতাংশ। চালের উচ্চমূল্যস্ফীতির জন্য যেসব কারণকে দায়ী করা হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—ক. জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের তুলনায় খাদ্যশস্যের উৎপাদনশীলতা তথা উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি হার হ্রাস পাওয়া। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) ‘ফিফটি ইয়ার্স অব রাইস ব্রিডিং ইন বাংলাদেশ-জেনেটিক ইল্ড ট্রেন্ডস’ এবং ‘রাইস ভিশন ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক দুটি গবেষণা রিপোর্ট অনুযায়ী যখন চালের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির বার্ষিক হার দশমিক ৮২ শতাংশ, তখন গত এপ্রিলে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২১’ অনুযায়ী দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ফলে দেশে উৎপাদিত চাল চাহিদা মেটাতে পারছে না। খ. চালের উৎপাদন দেশের চাহিদা মেটাতে সক্ষম না হওয়ায় পণ্যটি আমদানি করা ছাড়া আমাদের অন্য কোনো বিকল্প উপায় থাকছে না। এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার প্রভাব, দেশে ডলারের মূল্যবৃদ্ধিতে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়া, ডলার সংকট ইত্যাদি কারণে চাল আমদানিতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। কিছুদিন আগে এক অনুষ্ঠানে রাখা খাদ্যমন্ত্রীর বক্তৃতায় এর সমর্থন পাওয়া যায়। গ. সরকারের দুর্বল খাদ্য ব্যবস্থাপনার সুযোগ নিয়ে ধান-চালের সবচেয়ে বড় মজুদদার চালকল মালিকরা সিন্ডিকেশনের মাধ্যমে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন। 

উপর্যুক্ত কারণে বোরোর ভরা মৌসুমেও চালের উচ্চমূল্যে কোনো নিম্নগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। গত বছরের মাঝামাঝি থেকে যখন দেশে খাদ্যপণ্য ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের উচ্চমূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে, তখন গত বছরে (২০২২) দেশে প্রকৃত মজুরি কমেছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত বছর দেশে প্রকৃত মজুরি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ঋণাত্মক শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ (বণিক বার্তা, ১ মে)। চালসহ নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। সরকারি গুদামে যথেষ্ট পরিমাণে ধান-চাল মজুদ থাকলে তা চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীদের চালের দাম বাড়াতে নিরুৎসাহিত করবে। তাই বোরো ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে সফলতা অর্জন সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডলার সংকটের কারণে চাল আমদানিতে অসুবিধা বিবেচনায় চলতি মৌসুমে বোরো ধান-চাল সংগ্রহের পরিমাণ বৃদ্ধির বিষয়টিও সরকার বিবেচনা করতে পারে।

মো. আবদুল লতিফ মন্ডল: সাবেক খাদ্য সচিব

আরও