দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ

আমাদের একজন আলাউদ্দিন খলজি দরকার

কয়েকটি পণ্যের সরকার নির্ধারিত দর কার্যকর না হওয়ার বিষয়টি দেশের গণমাধ্যমে গুরুত্বসহকারে প্রকাশ হয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই সপ্তাহ আগে সরকার আলু, দেশী পেঁয়াজ ও ডিম এ তিন পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছিল। এখনো বাজারে পেঁয়াজ ও আলুর দাম কার্যকর হয়নি। ডিমের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল বাজারের তখনকার দরের সামান্য কমে। এখন কোনো কোনো

কয়েকটি পণ্যের সরকার নির্ধারিত দর কার্যকর না হওয়ার বিষয়টি দেশের গণমাধ্যমে গুরুত্বসহকারে প্রকাশ হয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই সপ্তাহ আগে সরকার আলু, দেশী পেঁয়াজ ও ডিম এ তিন পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছিল। এখনো বাজারে পেঁয়াজ ও আলুর দাম কার্যকর হয়নি। ডিমের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল বাজারের তখনকার দরের সামান্য কমে। এখন কোনো কোনো বাজারে সেই দরে পাওয়া যাচ্ছে। তবে ছোট বাজার ও পাড়ার মুদি দোকানে বাড়তি দামেই ডিম বিক্রি হচ্ছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাজারে অভিযান চালাচ্ছে। তবে তাতে কাজ হচ্ছে না। বরং সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হওয়ার অভিযোগ উঠছে। আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের বাইরে চিনি, সয়াবিন তেল ও তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) নির্ধারিত দর রয়েছে। এর মধ্যে শুধু সয়াবিন তেল নির্ধারিত দামে পাওয়া যাচ্ছে; চিনি ও এলপিজি নয়। পত্রিকাটি এসব পণ্যের সরকার নির্ধারিত দাম এবং ২৭ সেপ্টেম্বরের দামের একটি তুলনামূলক বিবরণীও প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, আলু কেজিপ্রতি সরকার নির্ধারিত দাম ৩৫-৩৬ টাকার পরিবর্তে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৬ টাকায়। প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ সরকারি দর ৬৪-৬৫ টাকার স্থলে ৮৫-৮৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের ডিম প্রতি হালি সরকারি দাম ৪৮ টাকার পরিবর্তে বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকায়। সয়াবিন তেল (বোতলজাত) সরকার নির্ধারিত ১৬৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা চিনি প্রতি কেজি সরকার নির্ধারিত ১৩০ টাকার স্থলে ১৩৫-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রান্নার গ্যাস (১২ কেজি) বিক্রি হচ্ছে সরকারি দাম ১ হাজার ২৮৪ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ৩৫০ থেকে ১ হাজার ৪৫০ টাকায়। প্রথম আলোর প্রতিবেদনে উল্লিখিত ২৭ সেপ্টেম্বরের দাম তো কমেনি, বরং কোনো কোনো খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। ‘দেশী ও আমদানি করা উভয় ধরনের পেঁয়াজের দামই বাজারে গত কয়েক দিনে বেড়েছে। দেশী পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা ছুঁয়েছে’ (প্রথম আলো, ৮ অক্টোবর)। খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক কেজি আলু ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের নির্ধারিত দাম বাস্তবায়নে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করেছে সরকার। ‘বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সরকার যে লক্ষ্য নিয়ে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল, তা অর্জন হয়নি’ (যুগান্তর, ৭ অক্টোবর)। এর আগে ৬ অক্টোবর যুগান্তরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, সিন্ডিকেট করে আলুর কোল্ড স্টোরেজগুলো সাধারণ মানুষের টাকা শুষে নিয়েছে। আমরা অসহায় হয়ে দেখেছি, কিচ্ছু করতে পারিনি।’

মুক্তবাজার অর্থনীতিতে সাধারণত সরকার থেকে পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয়ার কথা নয়। তবে প্রশ্ন উঠতে পারে, আন্তর্জাতিক বাজারে কোনো পণ্যের দাম কমে যাওয়ার পর ওই পণ্যের দাম যখন দেশের বাজারে কমছে না বা কমার পরিবর্তে দাম বেড়েছে, অথবা আন্তর্জাতিক বাজারে কোনো পণ্যের দাম যে হারে বেড়েছে, দেশের বাজারে সে পণ্যের দাম এর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি হারে বেড়েছে কিংবা দেশের গ্রামাঞ্চলে উৎপাদক পর্যায়ে কোনো খাদ্যপণ্য যে দামে বিক্রি হচ্ছে, ঢাকা মহানগর বা অন্যান্য মহানগরীতে তা তিন থেকে চার গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, তখন পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কার? 

একবিংশ শতাব্দীতে মুক্তবাজার অর্থনীতির প্রচলন থাকা অবস্থায় একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামোয় বাস করে মধ্যযুগীয় একজন স্বেচ্ছাচারী সুলতানের নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে অনুসরণীয় হিসেবে গ্রহণ করায় যদিও সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তথাপি ইতিহাস থেকে শিক্ষা লাভের জন্য এবং অপরিহার্য কারণে বর্তমানেও ওই ব্যবস্থার কতটা প্রয়োগ সম্ভব, তা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।

সরকারের কতিপয় নিত্যপণ্যের মূল্য নির্ধারণের সিদ্ধান্ত মধ্যযুগের স্বেচ্ছাচারী সুলতান আলাউদ্দিন খলজির খাদ্যপণ্য, বস্ত্র, দাস-দাসী, পশু এবং অন্যান্য দ্রব্যের বাজারদর বেঁধে দেয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। মধ্যযুগে খলজি বংশের শ্রেষ্ঠ সুলতান আলাউদ্দিন খলজি (শাসনকাল ১২৯৬-১৩১৬ খ্রিস্টাব্দ) প্রায় গোটা ভারতবর্ষে তার কর্তৃত্ব স্থাপন করেছিলেন। তার বিশাল সাম্রাজ্যের স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা, বিশেষ করে মোঙ্গলদের আক্রমণ থেকে সাম্রাজ্য রক্ষার জন্য তাকে একটি বিরাট সেনাবাহিনী পুষতে হতো। এ বিরাট সেনাবাহিনীকে স্বল্প বেতনে পোষণ, সাম্রাজ্যের আর্থিক স্থিতিশীলতা ও উন্নতি এবং জনগণের সুবিধার জন্য আলাউদ্দিন খলজি গম, বার্লি, চাল, চিনি, ডাল, লবণ, গুড়, ঘিসহ সব ধরনের খাদ্যপণ্য, বস্ত্র, দাস-দাসী, পশু এবং অন্যান্য দ্রব্যের বাজারদর বেঁধে দেন।

আলাউদ্দিন খলজি কেবল খাদ্যদ্রব্য, বস্ত্র, দাস-দাসী, পশু এবং অন্যান্য দ্রব্যের মূল্য নির্ধারণ করেই ক্ষান্ত হননি, তিনি দ্রব্যাদির চাহিদা অনুসারে সরবরাহেরও ব্যবস্থা করেন। অজন্মা বা অন্য কোনো কারণে খাদ্যঘাটতি পূরণ করার উদ্দেশ্যে দিল্লির উপকণ্ঠে এবং রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে শস্যভাণ্ডার গড়ে তোলা হয়। উৎপাদনকারীকে ১০ মণের অধিক খাদ্যশস্য নির্ধারিত মূল্যে সরকারের কাছে বিক্রি করতে হতো। এটি আমাদের কৃষকের কাছ থেকে কাটা-মাড়ার মৌসুমে সরকারের ধান-চাল ও গম কেনার মতো। তবে পার্থক্য হচ্ছে, আলাউদ্দিন খলজি প্রবর্তিত নিয়মের মতো আমাদের কৃষকরা নির্ধারিত পরিমাণের বেশি সব ধান-চাল ও গম সরকারের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য নন। দ্রব্যাদির সরবরাহ সুনিশ্চিত করতে সুলতান আলাউদ্দিন খলজি সুষ্ঠু পরিবহন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। দুর্ভিক্ষ ও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় রেশনিং প্রথার প্রবর্তন করা হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে রেশনিং প্রথার প্রবর্তন আলাউদ্দিন খলজির অভিনব প্রতিভার স্বাক্ষর বহন করে।

খাদ্যদ্রব্য, বস্ত্র, দাস-দাসী, পশু এবং অন্যান্য দ্রব্যের সরবরাহ, বাজারদর পর্যবেক্ষণ এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুলতান আলাউদ্দিন খলজি সরকারি দপ্তর প্রতিষ্ঠা করেন। এসব দপ্তরে ব্যবসায়ীদের তালিকাভুক্ত করা হতো। বাজার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা দুজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার পদবি ছিল দিউয়ান-ই-রিয়াসাত এবং শাহানা-ই-মান্ডি (আরসি মজুমদার: অ্যান অ্যাডভান্সড হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়া)। ইতিহাসবিদরা লিখেছেন, আলাউদ্দিন খলজির বাজার নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি মধ্যযুগের রাষ্ট্রনীতির অঙ্গনে অন্যতম বিস্ময়কর ব্যাপার ছিল। এ ব্যবস্থা কেবল তার প্রধান উদ্দেশ্য সাধনে অর্থাৎ স্বল্প খরচে বিরাট সেনাবাহিনী পোষণে সহায়তা করেনি, এটি জনগণের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যও বৃদ্ধি করেছিল। শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে আলাউদ্দিন খলজির বক্তব্য ছিল—‘এটা আইনসংগত কি বেআইনি, তা আমি জানি না; যা রাষ্ট্রের জন্য মঙ্গলকর এবং জরুরি অবস্থার জন্য আবশ্যক মনে করি, তদনুসারেই আমি আদেশ জারি করি।’

মধ্যযুগের একজন স্বেচ্ছাচারী সুলতানের সব ধরনের খাদ্যপণ্য ও অন্যান্য দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি থেকে যে সত্যটি বেরিয়ে এসেছে তা হলো, দেশের সর্বস্তরের জনগণের জন্য ন্যায্যমূল্যে খাদ্যপণ্য ও অন্যান্য দ্রব্যের সরবরাহ নিশ্চিত করা যেকোনো সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। বর্তমানে নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামে বিপর্যস্ত দেশের সাধারণ মানুষ। নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামের জন্য দায়ী কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে—এক. সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের প্রধান প্রধান মুদ্রার বিপরীতে বাংলাদেশী মুদ্রা টাকার মানের আরো অবনতি: ৩ সেপ্টেম্বর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত টাকার বিপরীতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে সুইস ফ্রাঁর ২৮ দশমিক ২৫ শতাংশ। এর পরই রয়েছে ইউরো (২৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ), পাউন্ড স্টার্লিং (২৪ দশমিক ৪ শতাংশ), সৌদি রিয়াল (১৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ), মার্কিন ডলার (১৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ), অস্ট্রেলিয়ান ডলার (১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ), ভারতীয় রুপি (১১ দশমিক ৮৬ শতাংশ), ইয়েন (১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ) এবং ইউয়ান (৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ)। টাকার মানের ক্রমাগত অবমূল্যায়নের জন্য যেসব ফ্যাক্টর দায়ী সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—ক. রেমিট্যান্সে কমতি, রফতানি বৃদ্ধিতে শ্লথগতি। খ. হাই পাওয়ার্ড মানি সৃষ্টি করে (টাকা ছাপিয়ে) সরকারকে ঋণ প্রদান। গ. রফতানির আড়ালে অর্থ পাচার। দুই. জনসংখ্যা বৃদ্ধি হারের তুলনায় খাদ্যশস্য উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি হারে নিম্ন গতি। তিন. বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা। চার. তথ্য-উপাত্তভিত্তিক সিদ্ধান্তের অভাব। 

পৃথিবীর অনেক দেশে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেলেও দেশে তা ঊর্ধ্বমুখী। পৃথিবীর যেসব দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে সেসব দেশের মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হওয়া শ্রীলংকাসহ ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, পাকিস্তান, চীন, যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া রাশিয়া এবং যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ইউক্রেন (যুগান্তর, ২৭ সেপ্টেম্বর)। তাছাড়া সেপ্টেম্বরে খাদ্যপণ্যের মূল্য কমেছে যুক্তরাজ্যে (বণিক বার্তা, ৮ অক্টোবর)। বিশ্বের অনেক দেশে যখন খাদ্যপণ্যের দাম নিম্নমুখী, তখন গত আগস্টে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ, যা গত সাড়ে এগারো বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। অবশ্য সেপ্টেম্বরে তা মাত্র দশমিক ১৭ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। 

খাদ্য মূল্যস্ফীতি সমাজের প্রায় সব শ্রেণীর মানুষের কাছে ভীতিকর এ কারণে যে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে একটি পরিবারের মাসিক আয়ের শতকরা ৫৪ দশমিক ৮১ শতাংশ খরচ হয় খাদ্যে। ২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী দেশের ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে তিন কোটির কিছু বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। খাদ্যের উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে এসব মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। 

বলা হয়ে থাকে, ভারতে ব্রিটিশ সরকার যেমন আলাউদ্দিন খিলজির খাদ্যপণ্যসহ অন্যান্য দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কাছে ঋণী ছিল, তেমনই সময়ে সময়ে এ উপমহাদেশের স্বাধীন রাষ্ট্রগুলোর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত বিভিন্ন সরকার তার কাছে ঋণী। আলাউদ্দিন খলজির মূল্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মাধ্যমে তার রাজ্যের সাধারণ মানুষ যেভাবে উপকৃত হয়েছে, তা আকাশছোঁয়া নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বর্তমান সময়েও যেকোনো দেশের সরকারের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। তাই বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কল্যাণে সরকার কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দেয়ার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। এ উদ্যোগ সফল হোক—এটাই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা।

মো. আবদুল লতিফ মন্ডল: সাবেক খাদ্য সচিব

আরও