শুল্ক

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কযুদ্ধ মোকাবেলা এবং আমাদের বৈদেশিক বিনিয়োগ সম্মেলন

জুলাই অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম একটি পরিপূর্ণ বিনিয়োগ সামিট, ব্যবসায় উদ্যোক্তাদের জন্য আশার আলো নিয়ে এসেছিল। কিন্তু একই সঙ্গে আমেরিকার পাল্টা শুল্ক শুধু বাংলাদেশকে নয়, সমগ্র পৃথিবীকে থমকে দিয়েছে।

জুলাই অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম একটি পরিপূর্ণ বিনিয়োগ সামিট, ব্যবসায় উদ্যোক্তাদের জন্য আশার আলো নিয়ে এসেছিল। কিন্তু একই সঙ্গে আমেরিকার পাল্টা শুল্ক শুধু বাংলাদেশকে নয়, সমগ্র পৃথিবীকে থমকে দিয়েছে। আগস্টে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার এসে নানান ধরনের সংস্কারের প্রচেষ্টা নিয়েছে এবং কিছু ক্ষেত্রে সাফল্যও দেখিয়েছে। বিনিয়োগ সামিট ২০২৫ ঘুরে দাঁড়ানোর একটা সফল প্রচেষ্টা। তবে রফতানিতে এবং বিনিয়োগকারীরা নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার তাগিদে এখন ক্রমাগত সংগ্রাম করছে। তাদের ভরসার জায়গা নিশ্চিত করা বিশেষভাবে দরকার। বিনিয়োগ ও রফতানি একটি আরেকটির সম্পূরক। এ বিনিয়োগ সামিটে এটুকু বোঝা যায় যে বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহ আছে, অনুকূল পরিবেশ দিতে পারলে এখানে বিনিয়োগ হবে।

সামিটে ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যেসব প্রশ্ন ছিল তা নতুন কিছু নয়। যেমন নীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখা, সমন্বয়হীনতার বিষয়টির নিরসন, দুর্নীতি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, শুল্ক ও কর, গ্যাস-বিদ্যুতের সমস্যা নিরসন—মোটাদাগে এগুলোর ব্যাপারে বাংলাদেশের কমিটমেন্ট জোরালো। তবে এগুলো নিরসন যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ এবং এজন্য কঠিন পলিটিক্যাল কমিটমেন্ট ও সময়ের দরকার। আগামী ডিসেম্বরে অথবা সামনের জুনে নির্বাচন দিতে হলে এ স্বল্প সময়ে এগুলো নিরসন ব্যাপক চ্যালেঞ্জের বিষয়। বিডার বক্তব্য অনুযায়ী এযাবৎ এ ধরনের যেসব সামিট বা বিনিয়োগ কনফারেন্স হয়েছে তার সঠিক ফলোআপ হয়নি, যে কারণে যারা বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে পরবর্তী সময়ে তারা আর সামনে এগোয়নি। কেন এগোয়নি তার কারণ জানতেও চাওয়া হয়নি। এবারের বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতিগুলো তারা সঠিকভাবে ট্র্যাক করবে, যাতে বাস্তবে ভালো ফলাফল দেখা যায়—সেটাই এ সামিটের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল।

এবারে সামিটের আর একটি অন্যতম আকর্ষণ ছিল ব্যাপকসংখ্যক স্টার্টআপের উপস্থিতি, তাদের জন্য মেলার ব্যবস্থা, ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে আলোচনা, মতামতের আদান-প্রদান, সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলার সুযোগ, এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোর জন্যও আলাদা ব্যবস্থা ছিল। এ চারদিনের সব কার্যক্রমই বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য দরকার, যা বিনিয়োগ আকর্ষণের প্রথম ধাপ। বিগত সময়ে আমরা ২০৪১ সাল পর্যন্ত আমাদের স্বপ্নের গন্তব্য দেখেছিলাম। এবার দেখলাম ২০৩৫ সাল পর্যন্ত—কীভাবে একটি নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। তবে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনায় যে বিষয়গুলো উঠে এসেছে তা মোটামুটি প্রায় একই। অর্থাৎ সহায়ক বিনিয়োগ পরিবেশ তৈরিতে যা যা দরকার তার তালিকা প্রায় একই ধরনের। অনেকেই বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে, যেমন স্পেনের ইন্ডিটেক্স, লাফার্জ সিমেন্ট, চায়নার হান্ডা ইন্ডাস্ট্রি ইত্যাদি। ডিপি ওয়ার্ল্ডের পক্ষ থেকে তাদের প্রেজেন্টেশন দেখে বোঝা যায় বিনিয়োগ সফলতা একদিনে হয় না, বিভিন্ন চড়াই-উতরাই পেরিয়ে তবেই সফলতা আসে। তাদের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল তৈরির আগ্রহ আমাদের ধরে রাখতে হবে, কারণ বাংলাদেশে লজিস্টিকস সেবা একেবারেই ২০৩৫-এর নতুন বাংলাদেশ গড়ার সঙ্গে সামঞ্জ্যস্যপূর্ণ নয়।

শুল্কসংক্রান্ত বিষয় এবং বর্ডার ট্রেড সম্পর্কে একাধিক উদ্যোক্তা তাদের সমস্যা তুলে ধরেছে এবং এ সমস্যাও নতুন নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার পাল্টা শুল্ক প্রয়োগের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় (ইউএসটিআর) কর্তৃক প্রণীত ফরেন ট্রেড ব্যারিয়ার্স রিপোর্টে বলা হয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন চুক্তি রেটিফাই করেছে ২০১৬ সালে, কিন্তু বাংলাদেশ এখনো আমদানি, রফতানি ও ট্রানজিট রেগুলেশনসংক্রান্ত ট্রান্সপারেন্সি নোটিফিকেশন সাবমিট করেনি, যা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩-এর মধ্যে দাখিল করার কথা ছিল। এ ব্যাপারে বাংলাদেশকে যত্নসহকারে কাজ করতে হবে, যাতে এ নোটিফিকেশন প্রকাশে যেসব কার্যক্রম এখনো সম্পন্ন হয়নি তা দ্রুত সম্পন্ন করা যায় এবং বিদেশী উদ্যোক্তা এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত দেশগুলোকে বলা যায় যে এ রেগুলেশনগুলো নিয়ে আমরা তৈরি।

যে ট্যারিফ নিয়ে এত আলোচনা অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশে তার উচ্চ হারের কথা বলা হয়। বাংলাদেশের এমেফেন অ্যাপ্লাইড ট্যারিফ ১৪ দশমিক ১ শতাংশ (২০২৩), কৃষির ক্ষেত্রে এ হার ১৭ দশমিক ১ শতাংশ এবং নন-এগ্রিকালচারাল পণ্যের ক্ষেত্রে এ হার ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ। ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ ট্যারিফ লাইন বাউন্ড করা হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে গড় বাউন্ড ট্যারিফ হার ১৫৫ দশমিক ১ শতাংশ। চায়নার এমেফেন অ্যাপ্লাইড ট্যারিফ ৭ দশমিক ৫ শতাংশ (২০২৩), বাংলাদেশের চেয়ে কম তবে কৃষিপণ্যের গড় এমেফেন ট্যারিফ ১৪ শতাংশ (২০২৩) এবং নন-কৃষিপণ্যের জন্য ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে তারা ১০০ ভাগ পণ্য বাউন্ড করেছে, যার সিম্পলে গড় ১০ শতাংশ। অন্যদিকে ভারতে অ্যাপ্লাইড এমেফেন প্যারিফ ১৭ শতাংশ (২০২৩)। যা বিশ্বের বড় দেশগুলোর মধ্য সবচেয়ে বেশি, গড় অ্যাপ্লাইড ট্যারিফ ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ (নন-কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রে)। অন্যদিকে কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রে এ হার ৩৯ শতাংশ। এ তুলনামূলক আলোচনায় এটা দেখা যায় যে কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রে সব দেশের নজর বেশি। সব দেশ যার যার দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে চায়। এরই মধ্যে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে ইউএস থেকে আমদানীকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক সুবিধা দেয়ার কথা বলেছে। এগুলোর মধ্যে গাস টারবাইন, সেমিকন্ডাক্টর, মেডিকেল প্রডাক্ট ইত্যাদির ওপর অন্তত ৫০ শতাংশ শুল্ক কমানোর কথা বলা হয়েছে। এমেফেন ট্যারিফের কথা বিবেচনায় রেখে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে এ বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে বিস্তারিত স্টাডি দরকার।

পাল্টা শুল্ক আরোপের আগে ইউএসটিআর ৬০টি দেশের সঙ্গে কী কী ধরনের চুক্তি করেছে, তাদের আমদানি নীতিগুলো কোন ধরনের, শুল্ক ও অশুল্ক বাধাগুলো কী কী, কাস্টমসের ক্ষেত্রে কী ধরনের বাধা রয়েছে, সরকারি ক্রয়ের নীতিগুলো কী ধরনের, মেধাভিত্তিক নীতিগুলো কতখানি সুরক্ষা দিতে পারে, ইলেকট্রনিকস কমার্স ও ডিজিটাল ট্রেড ব্যারিয়ারগুলো কী কী, পারসোনাল ডাটা প্রটেকশন নীতিগুলো কতখানি শক্তিশালী, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাধাগুলো কী কী, সাবসিডি কোন কোন ক্ষেত্রে রয়েছে, শ্রম আইনের বিষয়টি কীভাবে দেখা হচ্ছে এবং সর্বোপরি অন্যান্য বাধা যেমন দুর্নীতি ও গভর্ন্যান্সের বিষয়গুলো কতখানি সঠিকভাবে দেখা হয় তার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে। এ রিপোর্ট ১ মার্চ পাবলিক করা হয়। অর্থাৎ আমেরিকার পাল্টা শুল্ক আরোপের প্রস্তুতি ছিল অনেক দিন থেকেই। আমাদের প্রস্তুতিও তাই সঠিকভাবে পরিচালিত হওয়া দরকার।

পাল্টা শুল্কের ব্যাপারে বিভিন্ন দেশ তাদের অবস্থাভেদে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তিন মাস সময় পেয়ে এ ব্যাপারে সব দেশই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে। তবে এটা বেশি কিছু নয় এবং তিন মাস কোনো বড় সময়ও নয়। এছাড়া যে ১০ শতাংশ গড় বৃদ্ধি রয়ে গেল তা ধর্তব্যে নেয়া হলে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে রফতানীকৃত তৈরি পোশাকের ট্যারিফ দাঁড়াবে ২৫ শতাংশ, যা যথেষ্ট বেশি। এরই মধ্যে ক্রেতারা দরকষাকষি শুরু করেছেন ১০ শতাংশে ভাগাভাগি নিয়ে, অর্থাৎ তাদের অনুরোধ এর ৫ শতাংশের দায়িত্ব যদিও বা তারা নিতে পারে, বাকি ৫ শতাংশ রফতানিকারককে নিতে হবে, অর্থাৎ সর্বনিম্ন কর অন্তত ২০ শতাংশ দাঁড়াচ্ছে। বাংলাদেশ এমনিতেই স্বল্পমূল্যের পোশাকই বেশি রফতানি করে। তার মধ্যে অভ্যন্তরীণ যে প্রতিযোগিতা রয়েছে, এ হার কোনোভাবেই কম হবে, এমন চিন্তা করা যায় না। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ভবিষ্যৎ নতুনভাবে তৈরির ক্ষেত্রে পাবলিক-প্রাইভেট আলোচনা জোরদার করা দরকার।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট সতর্ক করেছেন যে কেউ পাল্টা পদক্ষেপে (রিটালিয়েসন) গেলে তার পরিণতি ভালো হবে না। বরং এর থেকে বিরত থাকলে বরং তাকে পুরস্কৃত করা হবে। এর উত্তর আমরা এরই মধ্যে দেখেছি। চায়নার ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপিত হয়েছে, যা আগে ছিল ৩৪ শতাংশ। বেইজিংও পাল্টা উত্তর দিয়েছে আগের আরোপিত শুল্ক ৮৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে এখন এ হার ১২৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া চীন যুক্তরাষ্ট্রের ১৮টি বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। চীনের প্রেসিডেন্ট ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া এসব দেশ সফরের পরিকল্পনা করছে।

এরই মধ্যে বিভিন্ন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ভবিষ্যৎ বাণিজ্য প্রক্ষেপণ সম্পর্কে বিভিন্ন পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। ইন্টারন্যশন্যাল ট্রেড সেন্টার জানিয়েছে চলমান শুল্কযুদ্ধ বৈশ্বিক বাণিজ্য ৩ থেকে ৭ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে, যা বৈশ্বিক জিডিপির প্রায় শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে। জাতিসংঘের বাণিজ্য পরিচালক রয়টার্সকে বলেছেন যে পাল্টা শুল্ক উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর বিপর্যয়কর প্রভাব দেখতে পাবে, যা বিদেশী সহায়তা থেকেও বড়। ডব্লিউটিও বলেছে, চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য ৮০ শতাংশ কমতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ৫৮২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়, তার মধ্যে চীনের রফতারি ৪৩৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এই একটি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য হ্রাস কী রকম ফলাফল নিয়ে আসতে যাচ্ছে তা কিছুটা আন্দাজ করা যায়।

চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্র যা আমদানি করে তার মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ পণ্যগুলো হলো ইলেকট্রনিকস, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, তৈরি পোশাক, মেডিকেল প্রডাক্ট, কাঠের পণ্য, নির্মাণসামগ্রী, এগ্রো প্রসেসিং পণ্য, সেমিকন্ডাক্টর, ইলেকট্রিক্যাল পণ্য ইত্যাদি। বাংলাদেশ তৈরি পোশাকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ২১ শতাংশ দখল করে আছে চীন। বিজিএমইএ একটি হিসাব করে দেখিয়েছে, চীন থেকে ২ ডলারের একটি কটন টি-শার্ট আমদানিতে মোট শুল্ক দিতে হবে ২ দশমিক ৮৩ ডলার, যেখানে একটি টি-শার্ট বাংলাদেশ থেকে রফতানিতে শুল্ক দিতে হবে শূন্য দশমিক ৫৩ শতাংশ। বাংলাদেশ এখানে একটি সুযোগ নিতে পারে। চীন থেকে কোন কোন ধরনের তৈরি পোশাক যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বেশি প্রবেশ করছিল তার ওপর একটি সুন্দর ধারণা আমাদের থাকা দরকার, যাতে উদ্যোক্তারা এর একটি শেয়ার অর্জনে তৈরি হতে পারে। সরকারকে এ ব্যাপারে সব ধরনের সহায়তা দিতে তৈরি থাকতে হবে। বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক পণ্যের ক্ষেত্রেও চেষ্টা করতে পারে।

এ কথা সত্যি যে বিশ্বের সব দেশই এখন তাদের কৌশল তৈরিতে ব্যস্ত, কে কত দ্রুত এ বাজারে প্রবেশ করতে পারবে এবং তার জন্য কোন কোনভাবে প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব তার জন্য জরুরিভাবে স্পেশালাইজড কমিটি গঠন করা দরকার। চীন এরই মধ্যে বাণিজ্যবিষয়ক শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে, যা সংগ্রহ করে স্টাডি করা দরকার। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) বলছে, পতন আরো বেশি হবে, তবে তারা অর্থায়ন চালু রেখে অর্থনীতি সচল রাখবে। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তরফ থেকেও এ ধরনের ঘোষণা দরকার।

বাংলাদেশ এরই মধ্যে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা সঠিক বলেই মনে হয়, আগামী দিনের জন্য তৈরি হতে কালক্ষেপণের কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশ এখনো বিনিয়োগের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পৃথিবীর বহু দেশে সমাদৃত। বর্তমানের এ বাণিজ্যযুদ্ধ শুধু বাংলাদেশের একার নয়, সবার সঙ্গে বাংলাদেশকেও এ যুদ্ধে জয়ী হতে হবে।

ফেরদাউস আরা বেগম: সিইও, বিল্ড-একটি পাবলিক প্রাইভেট ডায়ালগ প্লাটফর্ম

আরও