৭৫ বছরে নটর ডেম কলেজ

কিছু স্মৃতি কিছু কথা

বাংলাদেশে আলোর দিশারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপরিচিতদের মধ্যে নটর ডেম কলেজ অন্যতম। ১৯৪৯ সালের নভেম্বরে ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে (বর্তমান পুরান ঢাকা) নটর ডেম কলেজের যাত্রা। শুরুতে এটি সেন্ট গ্রেগরি কলেজ নামে পরিচিত থাকলেও ১৯৫৪ সালে মতিঝিলের বর্তমান অবস্থানে স্থানান্তরিত হয় এবং নটর ডেম কলেজ নামে নতুন পরিচিতি লাভ করে। বিদ্যামন্দিরটি ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন করছে এখন।

বাংলাদেশে আলোর দিশারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপরিচিতদের মধ্যে নটর ডেম কলেজ অন্যতম। ১৯৪৯ সালের নভেম্বরে ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে (বর্তমান পুরান ঢাকা) নটর ডেম কলেজের যাত্রা। শুরুতে এটি সেন্ট গ্রেগরি কলেজ নামে পরিচিত থাকলেও ১৯৫৪ সালে মতিঝিলের বর্তমান অবস্থানে স্থানান্তরিত হয় এবং নটর ডেম কলেজ নামে নতুন পরিচিতি লাভ করে। বিদ্যামন্দিরটি ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন করছে এখন। দেশ ও দেশের বাইরে কত যে প্রথিতযশা ব্যক্তিত্বের আঁতুড়ঘর এই নটর ডেম তার ইয়ত্তা নেই। আমার সৌভাগ্য, নব্বইয়ের দশকের সূচনালগ্নে আমিও ছাত্র হিসেবে নটর ডেম পরিবারের সদস্য হওয়ার সুযোগ পাই। 

ঢাকা থেকে অনেক দূরে মফস্বলের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা আমাকে প্রকৃতির অনেকটা কাছাকাছি হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল। খাল, বিল, নদীনালা, সবুজ প্রকৃতির মাঝে আমার শৈশব কেটেছে এবং চলেছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা গ্রহণ। নটর ডেম কলেজে ভর্তি হওয়ার পর আমাকে ঢাকার জীবনে অভ্যস্ত হতে হলো, যদিও ঢাকার ইট-পাথরের জীবন যখন আমার কাছে দুর্বিষহ মনে হতে লাগল। ফেলে আসা তাজা খাবার, বিশুদ্ধ বাতাস, উন্মুক্ত প্রান্তর আমাকে পেছনে ডাকতে থাকল। কিন্তু পেছনে ফেরার আর পথ কোথায়? তাই নটর ডেম কলেজের স্নিগ্ধ, সবুজ-শ্যামল ক্যাম্পাসে আমাকে শান্তি খুঁজতে হলো। আমার যতটুকু মনে পড়ে নবীনবরণের দিন আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই বিকালে ব্যবহারিক ক্লাস ছিল এবং বিষয়টি আমাকে অবাক করেছিল, সঙ্গে এ সংকেতও দিয়েছিল যে সামনের দিনে নটর ডেম জীবন কেমন হতে পারে। কলেজে ভর্তির সময় একটি পুস্তিকা আমাদের দেয়া হয়েছিল যেখানে কলেজের ইতিহাস থেকে শুরু করে শিখন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি, নিয়ম-কানুনসহ অনেক তথ্য ছিল। মজার ব্যাপার হলো, শুধু এ বইটি ঘিরে একটা কুইজ নেয়া হলো এবং এর মূল্যায়নও করা হলো। মানে দাঁড়াল, যে প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করবে শিক্ষার্থী তার সম্পর্কে না জানলে চলবে কী করে! শুরুতে পড়াশোনার চাপ অনেকটাই বেশি মনে হচ্ছিল এবং স্কুলজীবনের সঙ্গে ছিল অনেকটাই অমিল। কিন্তু নানা সৃষ্টিশীল ক্লাব এবং তাদের মজার সব কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্লাসে শিক্ষকদের অনুপ্রেরণা, শিক্ষাদানে একাগ্রতা আমাকে দিন দিন ইট-পাথরের শহরে নটর ডেমকে আমার খুব কাছের আত্মীয়সম করে তুলল। 

নটর ডেম কলেজে আমার দিনগুলো ছিল চমকপ্রদ, রোমাঞ্চকর এবং নানা অভিজ্ঞতা অর্জনের সময়। আমার স্কুল মফস্বলে হলেও সে স্কুলে ছিল পড়াশোনার বাইরে নানা কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ার সুযোগ। নটর ডেম কলেজে এসে দেখি সে সুযোগ আরো অনেক গুণ বেশি। কলেজের নতুন বন্ধুদের যেমন দেখেছি অত্যন্ত মেধাবী তেমনি পড়াশোনার বাইরে অনেক কর্মকাণ্ডে তাদের ছিল প্রবল আগ্রহ। কলেজের বিজ্ঞান ক্লাব, অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব, ডিবেটিং ক্লাবের সঙ্গে আমার একটা সংযোগ তৈরি হলো। বিজ্ঞান মেলার উৎসবমুখর দিনগুলোর কথা খুব মনে পড়ে। প্রকল্প উপস্থাপন, দেয়াল পত্রিকা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ এবং পুরস্কার পাওয়ার স্মৃতিময় সময়গুলো মনে হলে এখনো আনন্দ অনুভব করি। ঢাকায় এসে বড় বোনের কাছ থেকে পাওয়া ক্যামেরাটি আমাকে কলেজের নানা প্রোগ্রামে ছবি তোলার একটা সুযোগ করে দেয় আর সে সুবাদে কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছবি তোলার দায়িত্বও আমার ওপর বর্তায়। এর ফলে কিছু স্মৃতি ছবি আকারেও থেকে যায়। একটি বিষয় আমাকে এখনো অবাক করে, নটর ডেম কীভাবে কিশোরদের মাঝে বড় বড় স্বপ্ন বুনে দিত। ১৯৯২ সালে রিও ডি জেনেরিওতে যখন ধরিত্রী সম্মেলন হলো তখন বাংলাদেশে নটর ডেম কলেজের ছাত্ররা ছায়া সম্মেলন আয়োজন করল। অবাক হই সেই কিশোরদের চিন্তা ও উপলব্ধির কথা ভেবে। বিজ্ঞান মেলাগুলোয় ছাত্ররা যেসব প্রকল্প উপস্থাপন করত সেগুলো ছিল সে সময়ের তুলনায় অনেক দূর ভবিষ্যতের এবং অনেক প্রকল্প ভাবনা বর্তমান সময়ে বাস্তবে পরিণত হতেও দেখা যাচ্ছে। ব্লু অ্যান্ড গোল্ড (Blue and Gold), ‘ঢাক ঢোল’, চিট চ্যাট এসব ছিল আমাদের সময় নটর ডেম কলেজের প্রকাশনা। বলতে দ্বিধা নেই যে অনেকের লেখালেখির হাতেখড়িও হয়েছে এখান থেকে। 

নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে অধ্যক্ষ ফাদার জোসেফ স্টিফেন পিশোতো ছিলেন সাক্ষাৎ কিংবদন্তি। মার্কিন বংশোদ্ভূত ফাদার পিশোতো যেন এ দেশের মাটি, জল, হাওয়ায় মিশে যাওয়া অসাধারণ এক ব্যক্তিত্ব। আমার খুব মনে পড়ে সেবার কোনো এক পরীক্ষায় গণিতের প্রশ্ন বেশ কঠিন হয়েছিল, বলা চলে অসাধারণ মেধাবীদেরও কপালে ভাঁজ ফেলে দেয়ার মতো। পরীক্ষার পর ছুটিতে আমি বাড়ি ফিরে যাই এবং মনের ভেতর গণিত নিয়ে একটা খচখচানি ভাব রয়েই গিয়েছিল। ছুটি শেষের আগের দিন খুব ভোরে ঢাকায় এসে পৌঁছাই এবং বাসায় না গিয়ে সরাসরি কলেজে হাজির হই নোটিস বোর্ডে পরীক্ষার ফলাফল দেখতে। এখনো মনে পড়ছে, সকাল ৭টা হবে, কলেজের নোটিস বোর্ডে ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছি, হঠাৎ শুনি ভাঙা বাংলায় কেউ বলছেন, ‘পাস করেছ, মিষ্টি খাওয়াবে না’। তাকিয়ে দেখি কলেজের সিঁড়ি দিয়ে নামছেন ফাদার পিশোতো, আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় আমার মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না, আমি তাকিয়ে আছি আর ফাদার আমার কাঁধে একটু হাত রেখে চলে গেলেন ম্যাথুস হাউজের দিকে। আমার জীবনের স্মৃতিতে এখনো উজ্জ্বল হয়ে আছে ঘটনাটি। গণিত নিয়ে সে যাত্রায় আমাকে বিপাকে পড়তে হয়নি। তবে এখনো ভাবি, একজন ভিনদেশী শিক্ষক কতটা শিক্ষার্থী অন্তপ্রাণ হলে এ সাত সকালে তার প্রতিষ্ঠানের ভেতর ঘুরে বেড়াচ্ছেন, জানতে চাচ্ছেন একজন শিক্ষার্থীর অবস্থা সম্পর্কে। দীর্ঘ সময় কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন ফাদার পিশোতো এবং অনেক ক্ষণজন্মা নটর ডেমিয়ানের কাছে তিনি অত্যন্ত শ্রদ্ধার এবং অনুকরণীয়। একবার আমাদের গ্রুপে পদার্থ বিজ্ঞানের ক্লাস নিতে এসেছিলেন ফাদার পিশোতো, সুশান্ত সরকার স্যারের পরিবর্তে। ভাঙা ভাঙা বাংলায় নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে পদার্থ বিজ্ঞানের জটিল এক বিষয়কে এত সুন্দর করে ব্যাখ্যা করলেন যা ছিল অভাবনীয়। 

নটর ডেম কলেজের মাঠ, পুরনো একাডেমিক ভবন (নতুন একাডেমিক ভবন আমাদের সময় ছিল না), মার্টিন হল এবং একাডেমিক ভবনের মাঝের খোলা জায়গা সেখানকার সবুজ ঘাস, ক্যাফেটেরিয়া এখনো স্মৃতিকাতর করে তোলে। যদিও সে মাঠ নতুন ভবনের নিচে হারিয়ে গেছে। কত নতুন নতুন আইডিয়া, পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনায় মেতেছি সেই কিশোর বয়সে এখন ভাবলেও অবাক হই, কীভাবে এতসব মাথায় আসত সে সময়ে! নটর ডেমের শিক্ষার পরিবেশ, আবহ হয়তো এতসব চিন্তাচেতনার খোরাক জোগাত। 

এখনো চোখে ভাসে গ্রুপ ছয়-এ আমার ক্লাস রুম, কানে বাজে গাজী আজমল স্যার, জওহরলাল স্যার, কার্তিক সাহা স্যার, সুশীল স্যার, আফরোজান্নাহার রাশেদা ম্যাডাম, মুখতার আহমেদ স্যার, ফাদার বকুল স্যার, অমল কৃষ্ণ বণিক স্যার, মিজান স্যার, এসি দাশ স্যারসহ আরো অনেক প্রিয় শিক্ষকের কণ্ঠ। আহা, কী এক সময় ছিল! মুখতার আহমেদ স্যার শিখিয়েছেন বাংলা সাহিত্যে কত রস আছে। তিনি লালসালু উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্র যেভাবে ফুটিয়ে তুলতেন মনে হতো মজিদ, জমিলা যেন ক্লাস রুমে বিচরণ করছে। মনে পড়ে কার্তিক স্যারের কথা, তার কাছে গণিত শিখতে যেতাম, কাছে বসিয়ে সুর করে করে বলতেন, ‘দেখি খোকা তোর গণিতে কী কী উন্নতি হলো’। আহা, এমন স্নেহ কী করে ভুলি! দুর্ঘটনায় স্যারের মৃত্যুর খবর আমাকে বিমর্ষ করে তুলেছিল। কী স্বপ্নময় দিন ছিল নটর ডেমে, কী উদ্দাম কৈশোর। কখনো স্রোতে ভেসে যাওয়া, কখনো ভাসিয়ে নেয়া। এখনো মনে হলে রোমাঞ্চিত হই। আমাদের সেসব দিন অনেক স্বপ্নে ভরা আর সেসব স্বপ্ন দেখাতে শিখিয়েছে নটর ডেম কলেজ। ভবিষ্যতের নেতা নির্মাণের কী উপকরণ সেখানে ছিল না! কিশোর সময়ের বন্ধুরা এখনো হঠাৎ করে একত্রিত হই স্মৃতিচারণ করি। 

নটর ডেম কলেজে দুই বছরের ছাত্রজীবনে আমার আনন্দের এবং শ্লাঘার জায়গা ছিল ইন্টারন্যাশনাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং অ্যান্ড রিলেশন ক্লাব গঠন। স্কুলে পড়ার সময় আমার অভ্যাস ছিল নানা দেশে বাংলা ভাষায় প্রচারিত রেডিও প্রোগ্রাম শোনা। ভয়েস অব আমেরিকা, বিবিসি, ডয়চে ভেলে, রেডিও বেইজিং আরো অনেক দূর থেকে ভেসে আসা কণ্ঠ। সেখান থেকে একটা যোগাযোগ তৈরি হলো বিভিন্ন দেশের সঙ্গে। নানা দেশের উপহার স্যুভেনির পেতে থাকলাম। নটর ডেম কলেজে পড়াশোনার বাইরে বিভিন্ন ক্লাবের কর্মকাণ্ড আমাকে খুব আকর্ষণ করত এবং সেখান থেকে মনে হলো, এমন একটি ক্লাব তো নটর ডেম কলেজে হতে পারে যার মাধ্যমে আমরা আন্তর্জাতিক যোগাযোগ স্থাপন এবং জানা শোনার কাজ করতে পারি। বিষয়টি নিয়ে বন্ধু এহতেশাম, রবিন, তানভীর, প্রিন্সসহ অনেকের সঙ্গে আলোচনা করলাম এবং এমন একটি ক্লাব গঠনের অনুমতি এবং সহযোগিতা চেয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলাম। অবশেষে কলেজ থেকে আমাদের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ফাদার বকুল রোজারিওকে ক্লাব মডারেটরের দায়িত্ব দিয়ে ক্লাব গঠনের অনুমতি দেয়া হলো আর আমাকে করা হলো ক্লাবের সভাপতি। কিশোর বয়সের এমন ভাবনা এবং উদ্যোগ এখনো আমাকে বিস্মিত এবং পুলকিত করে। ক্লাবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি অনাড়ম্বর হলেও ছিল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। চীন দূতাবাসের সহায়তায় বইমেলা, স্থিরচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীতে আনন্দঘন উৎসবে পরিণত হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এখনো মনে পড়ে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চীন দূতাবাসের প্রথম সেক্রেটারি ইয়াও বাওলাই। ফাদার বকুল রোজারিও, ফাদার বেনাস, ফাদার বেনেডিক্টসহ আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা ছিলেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। চীনের বিভিন্ন ঐতিহ্য নিয়ে ভিডিও প্রদর্শনী করা হয় অনুষ্ঠানে। সারা দিন একটা উৎসবমুখর পরিবেশে আমাদের সময় কাটে এবং সৃষ্টি হয় নতুন স্মৃতি। ইন্টারন্যাশনাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং অ্যান্ড রিলেশন ক্লাব এখন ডালপালা মেলে মহিরুহ। তিন দশক অতিবাহিত হয়ে গেছে কিন্তু নটর ডেম কলেজ এবং ক্লাব স্মৃতিতে একেবারেই তাজা। সে সময়ে ক্লাবের মডারেটর ফাদার বকুল, কো-মডারেটর মিস রুবি গোমেজের আন্তরিকতা, স্নেহ, পরামর্শ ও নির্দেশনা ছিল অনবদ্য। মনে পড়ে ক্লাবের উপদেষ্টা ফাদার বেনেডিক্টের কথা, তিনি এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন।

নটর ডেম কলেজের সায়েন্স ক্লাব, ডিবেটিং ক্লাব তো বলতে গেলে বাংলাদেশে এমন ধারার সংগঠনের পথিকৃৎ। উদ্যমী কিশোরদের উর্বর চিন্তাচেতনা আর নটর ডেম কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থার ফসল এমন সৃজনশীল সংগঠন যা একেকটি প্রতষ্ঠানও বটে। পড়াশোনার ক্ষেত্রেও দেখেছি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জনই কলেজের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নয়, বরং একজন শিক্ষার্থীকে মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা এবং অর্জিত জ্ঞানকে প্রয়োগ করতে সক্ষম করে তোলার কাজটিই কলেজের মূল লক্ষ্য। আর এ কারণেই দেশ ও দেশের বাইরে কত কীর্তিমান রয়েছেন যাদের প্রথিতযশা হয়ে ওঠার পেছনে রয়েছে নটর ডেম কলেজ। শিক্ষা, চিকিৎসা, প্রকৌশল, শিল্প, রাজনৈতিক নেতৃত্ব, নীতিনির্ধারণ থেকে সব ক্ষেত্রে নটর ডেমিয়ানদের দৃষ্টিকাড়া অবদান রয়েছে। কত দেশে পড়াশোনা করার সুযোগ হয়েছে, কিন্তু নটর ডেম কলেজে মাত্র দুই বছরের স্মৃতি সব কিছুর মাঝে উজ্জ্বল হয়ে আছে। 

এএসএম সাইফুল্লাহ: অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান

এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

আরও