ভিআইপিদের জন্য রোলস-রয়েসের নতুন প্রাইভেট অফিস

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অতিধনী ক্রেতাদের জন্য প্রাইভেট অফিস খুলেছে রোলস-রয়েস। কারণ ভিআইপি ক্রেতারা সাধারণত গাড়ির গড়পড়তা ডিজাইনে সন্তুষ্ট থাকেন না। এর বদলে তাদের মনোযোগ থাকে পছন্দ

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অতিধনী ক্রেতাদের জন্য প্রাইভেট অফিস খুলেছে রোলস-রয়েস। কারণ ভিআইপি ক্রেতারা সাধারণত গাড়ির গড়পড়তা ডিজাইনে সন্তুষ্ট থাকেন না। এর বদলে তাদের মনোযোগ থাকে পছন্দ অনুযায়ী সাজসজ্জায়। নতুন অফিসটি ডিজাইন স্টুডিও হিসেবে ব্যবহার করবে ব্রিটিশ বিলাসবহুল গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। খবর সিএনবিসি।

ম্যানহাটনের বাণিজ্যিক এলাকায় নতুন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অফিসটি খুলেছে রোলস-রয়েস। প্রতিষ্ঠানটির পরিকল্পনা হলো উৎপাদন না বাড়িয়ে বেশি পরিমাণে কাস্টমাইজ গাড়ি বিক্রির মাধ্যমে অধিক মুনাফা অর্জন।

২০২৩ সালে রোলস-রয়েস ৬ হাজার ৩২টি গাড়ি তৈরি করেছে, যা ইতালির গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফেরারির উৎপাদনের অর্ধেকেরও কম। উৎপাদন কম সত্ত্বেও মূল প্রতিষ্ঠান বিএমডব্লিউর কারণে শক্তিশালী মুনাফা অর্জন অব্যাহত রেখেছে রোলস-রয়েস।

কাস্টমাইজ ডিজাইনের জন্য রোলস-রয়েস ক্রেতাদের বেশ পছন্দের। প্রতিষ্ঠানটির দাবি অনুযায়ী, নতুন প্রাইভেট অফিস কাস্টমাইজেশনকে নিয়ে যাবে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক মাত্রায়। ক্রেতা ডিলারের কাছে গাড়ির অর্ডার দিয়ে প্রাইভেট অফিসে যাবেন এবং ঠিক কতটা পরিবর্তন করতে চান তা সেখানে জানাবেন। অফিসে থাকা ডিজাইনাররা ক্রেতার মতামতের ভিত্তিতে নতুন গাড়িটি সাজাবেন। বিশেষ কোনো রঙ থেকে শুরু করে পছন্দমতো ফ্যাব্রিক, কাঠ, বাতিসহ অন্যান্য উপাদান নির্বাচন করা যাবে।

রোলস-রয়েসের সিইও ক্রিস ব্রাউনরিজ বলেন, ‘গ্রাহক হয়তো রোলস-রয়েসের বাইরের অংশটি তাদের কুকুরের চোখের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে পরিবর্তন করার কথা বলতে পারেন। তারা বিশেষ সংগ্রহে থাকা মাদার অব পার্লের মাধ্যমেও গাড়ির ইন্টেরিয়র সাজিয়ে নিতে পারেন। আমাদের টিমের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে গ্রাহকের চাহিদা বাস্তবে রূপ দেয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে বৈচিত্র্যতার শেষ নেই।’

সম্প্রতি উচ্চ মানের ‘পার্সোনালাইজেশন বেসপোক’ প্রোগ্রামের ঘোষণা দিয়েছে রোলস-রয়েস। এর মাধ্যমে রোলস-রয়েসের এক-একটি গাড়ির মূল দামের সঙ্গে আরো কয়েক লাখ ডলার পর্যন্ত যোগ হতে পারে। প্রতিষ্ঠানটির ফ্যান্টম মডেলের দাম ৫ লাখ ডলারের কম। কিন্তু কাস্টমাইজেশনের মাধ্যমে কিছু গাড়ির দাম ১০ লাখ ডলারেরও বেশি হতে পারে। বেসপোক মূলত প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে দামি প্রোগ্রাম।

নিউইয়র্কে ভবনটি রোলস-রয়েসের তৃতীয় প্রাইভেট অফিস। এর আগে ২০২২ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ও ২০২৩ সালে চীনের সাংহাইয়ে অফিস খুলেছে রোলস-রয়েস। চতুর্থ অফিস খোলা হবে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে।

আরও