ভোমরা বন্দর

শুকনা মরিচ আমদানি কমেছে জুলাইয়ে

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে শুকনা মরিচ আমদানি কমেছে।

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে শুকনা মরিচ আমদানি কমেছে। বন্দর দিয়ে জুলাইয়ে হাজার ২৬৭ টন শুকনা মরিচ আমদানি হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় দশমিক ২৭ শতাংশ কম। ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা সূত্রে তথ্য জানা গেছে।

আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের দাম বাড়ার পাশাপাশি ভারতের বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় বন্দর দিয়ে শুকনা মরিচ আমদানি কমেছে। তবে আমদানি কমলেও বাজারে মূল্য স্থিতিশীল আছে বলে জানান তারা।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাইয়ে হাজার ৩৯০ টন শুকনা মরিচ আমদানি হয়েছিল, যার আমদানি মূল্য ১৩৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। বছর আমদানি ১২৩ টন কমেছে। জুলাইয়ে বন্দর দিয়ে হাজার ২৬৭ টন শুকনা মরিচ আমদানি হয়েছে, যার আমদানি মূল্য ১৪০ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

বন্দরের মসলাজাত পণ্য আমদানিককারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান বণিক বার্তাকে জানান, গত অর্থবছরের সময়ের তুলনায় সম্প্রতি তার প্রতিষ্ঠানে শুকনা মরিচ কিছুটা আমদানি কমেছে। কারণ হিসেবে তিনি জানান, ভারতের বাজারে শুকনা মরিচের সরবরাহ কমেছে। এছাড়া ডলারের মূল্যও অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ভোমরা বন্দর দেশের অন্যতম বৃহৎ মসলাজাত পণ্যের আমদানিস্থল। বন্দর দিয়ে সারা বছর বিভিন্ন ধরনের মসলাজাত পণ্য আমদানি হয়। এরপর সারা দেশের বাজারে সেগুলো সরবরাহ করেন এখানকার ব্যবসায়ীরা।

সাতক্ষীরা জেলা সদরের সুলতানপুর বড় বাজারে গতকাল শুকনা মরিচ পাইকারিতে ৪২০-৪৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারের পাইকারি মসলা বিক্রয় আড়ত মেসার্স শাওন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. ফজর আলী জানান, অন্তত তিন মাস ধরে একই মূল্য শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারের খুচরা মসলা বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোয় শুকনা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৪৫০ টাকা কেজি দরে।

সাতক্ষীরা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ বণিক বার্তাকে জানান, শুকনা মরিচ আমদানি কমলেও এর বাজার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কেউ দাম বেশি নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও