বিশ্বকাপ-২০৩০ ঘিরে পর্যটনে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য মরক্কোর

২০২৩ সালে ভূমিকম্পে আক্রান্ত হয় মরক্কো, যা ছিল ৬০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বিপর্যয়কারী। সে স্মৃতি পেছনে ফেলে পর্যটন শিল্পে বিদেশী বিনিয়োগ উৎসাহিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটি।

২০২৩ সালে ভূমিকম্পে আক্রান্ত হয় মরক্কো, যা ছিল ৬০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বিপর্যয়কারী। সে স্মৃতি পেছনে ফেলে পর্যটন শিল্পে বিদেশী বিনিয়োগ উৎসাহিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটি। এর বিশেষ উপলক্ষও রয়েছে, ২০৩০ সালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফিফা বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক মরক্কো। উত্তর আফ্রিকার দেশটি বৈশ্বিক ফুটবল উন্মাদনাকে সামনে রেখে হোটেল থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত অবকাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে এবং বড় আকারের প্রকল্পে বিনিয়োগকারীদের প্রণোদনা সুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২৩ সালে মরক্কো বিনিয়োগ সনদ চালু করেছে, যার লক্ষ্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে প্রণোদনা, ভর্তুকি অনুদানের মাধ্যমে বিনিয়োগে আগ্রহী করে তোলা। প্রণোদনার মধ্যে রয়েছে মোট বিনিয়োগের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ প্রবাহ, ৩৬ মাসের জন্য স্থানীয় মূলধনী উপকরণের ওপর ভ্যাট অব্যাহতি আমদানীকৃত পণ্যের ওপর শুল্ক ছাড়। মরক্কোর পর্যটন শিল্পে বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) বর্তমানে বেসরকারি খাতের মোট বিনিয়োগের ২০ শতাংশ এবং ২০২৬ সালের মধ্যে একে ৩০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য রয়েছে সাংস্কৃতিকভাবে ঋদ্ধ দেশের। মরক্কোর জিডিপির শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস পর্যটন। গত বছর দেশটি রেকর্ড কোটি ৪৫ লাখ পর্যটক পেয়েছে। ২০২৬ সাল নাগাদ কোটি ৭৫ হাজার পর্যটক আকর্ষণ করতে চায় দেশটি। এছাড়া ২০৩০ সালে স্পেন পর্তুগালের সঙ্গে যৌথ বিশ্বকাপের সময় কোটি ৬০ লাখ পর্যটককে পরিষেবা দিতে অবকাঠামো নির্মাণ নিয়েছে একাধিক প্রকল্প। চলতি বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) ৭৪ লাখ পর্যটক পেয়েছে মরক্কো, যা ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি। আশা করা হচ্ছে, বছরের শেষ নাগাদ সংখ্যা কোটি ৫৫ লাখে উন্নীত হবে। এদিকে আরো বেশি আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের আকর্ষণ করতে মরক্কো এভিয়েশন খাতে বড় বিনিয়োগ করছে। জাতীয় এয়ারলাইনস রয়্যাল এয়ার মারোক ২০৩৭ সালের মধ্যে ২০০ উড়োজাহাজের বহরটিকে চার গুণ বড় করার পরিকল্পনা করছে। খবর দ্য ন্যাশনাল

আরও