জুলাই-আগস্ট

ভোমরা বন্দরে মসুর ডাল আমদানি বেড়েছে ১৩ গুণের বেশি

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে চলতি অর্থবছরের দুই মাসে মসুর ডাল আমদানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ গুণের বেশি বেড়েছে।

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে চলতি অর্থবছরের দুই মাসে মসুর ডাল আমদানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ গুণের বেশি বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের বাজারে চাহিদা বাড়ায় ডালপণ্যটির আমদানি বেড়েছে।

ভোমরা শুল্কস্টেশনের রাজস্ব শাখা সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) বন্দর দিয়ে ৫৬০ টন মসুর ডাল আমদানি হয়েছে, যার মূল্য কোটি ১০ লাখ টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে আমদানির পরিমাণ ছিল ৪১ টন, যার মূল্য ছিল ৬২ লাখ টাকা। হিসাবে গত দুই মাসে ৫১৯ টন আমদানি বেড়েছে। অন্যদিকে মূল্য হিসাবে কোটি ৪৮ লাখ টাকার আমদানি বেড়েছে।

তবে আমদানি বাড়লেও দেশের বাজারে এখনো বাড়ছে এর দাম। তিন-চার সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে কেজিতে ১০-১২ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, আমদানি খরচ বাড়ায় মসুর ডালের দাম কমছে না।

গত রোববার জেলা সদরের বৃহৎ মোকাম বড় বাজারের মেসার্স ঠাকুর স্টোরে নেপাল থেকে আমদানীকৃত মসুর ডাল বিক্রি হয়েছে কেজিতে ১৪০ টাকায়। ১৫-২০ দিন আগেও ডাল ১২৮-১৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

একইভাবে ভারতীয় মসুর ডালের দাম ছিল কেজিপ্রতি ১১০ টাকা। এছাড়া দেশী মসুর ডাল বিক্রি হয় ১০৫ টাকা কেজি দরে। তবে দুই সপ্তাহ আগেও প্রতিষ্ঠানে ভারতীয় মসুর ডাল প্রতি কেজি ১০০-১০৫ এবং দেশী মোটা জাতের মসুর ৯৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

ঠাকুর স্টোরের স্বত্বাধিকারী দুলাল চন্দ্র সাহা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মধ্যে সারা বছরই সব ধরনের ডালের চাহিদা থাকে। সম্প্রতি মসুর ডালের চাহিদা বেড়েছে। পণ্যটির আমদানি খরচ বেড়েছে। ফলে আমদানিনির্ভর হওয়ায় এর দাম কিছুটা বেড়েছে।

শহরের কাটিয়া সরকারপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল বারী জানান, বাজারে মাছ-মাংসের দাম বাড়তি থাকায় সেগুলো নিম্নবিত্ত পরিবারের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। ডাল নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের আমিষের অন্যতম প্রধান উৎস। এর দাম সহনশীল পর্যায়ে রাখা উচিত।

আরও