সমীক্ষার তথ্য

লিখিত চুক্তি ছাড়াই দেশের গার্মেন্টস কারখানার ৯২% শ্রমিক নিয়োগ

দেশের সর্ববৃহৎ রফতানি খাত পোশাক শিল্পের কারখানাগুলোয় ৯২ শতাংশ শ্রমিকই নিয়োগ করা হয় মৌখিক চুক্তিতে।

দেশের সর্ববৃহৎ রফতানি খাত পোশাক শিল্পের কারখানাগুলোয় ৯২ শতাংশ শ্রমিকই নিয়োগ করা হয় মৌখিক চুক্তিতে। নেই কোনো লিখিত চুক্তি। জাতীয় আইন নিয়ন্ত্রিত দেশের আনুষ্ঠানিক খাতগুলোয় কর্মরতদের নিয়োগ একটি লিখিত চুক্তির মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হওয়া আইনগত অধিকার। শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি হিসেবে চুক্তি ছাড়াই নিয়োগ করা হয়, যা জাতীয় আইনের লঙ্ঘন। চাকরির শর্তও নির্ধারিত হয় মৌখিক চুক্তিভিত্তিক, যা অনেকাংশেই সুস্পষ্ট নয়। শ্রমিকদের দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিক হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। কারখানাগুলো সরাসরি শ্রমিকদের নিয়োগ করলেও তাদের নেই কোনো সামাজিক নিরাপত্তা।

সম্প্রতি প্রকাশিত এশিয়ান ফ্লোর ওয়েজ অ্যালায়েন্স পরিচালিতথ্রেডেড ইনসিকিউরিটি: দ্য স্পেকট্রাম অব ইনফরম্যালিটি ইন গার্মেন্টস সাপ্লাই চেইনস শীর্ষক সমীক্ষায় তথ্য উঠে এসেছে। এতে দেখা গেছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ভারতের তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের বেশির ভাগই কোনো লিখিত চুক্তি ছাড়াই নিয়োগ করা হয়।

সমীক্ষায় দেখা যায়, বাংলাদেশে সাক্ষাৎকার নেয়া শ্রমিকদের ৯২ শতাংশ বলেছেন, লিখিত চুক্তি ছাড়াই তাদের নিয়োগ দেয়া হয়। পাকিস্তানে হার ৯০ শতাংশ এবং ভারতের ৬৫ শতাংশ।

তবে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান অবশ্য গবেষণার ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের আরএমজি শিল্পের বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে রয়েছে।

সমীক্ষায় আরো উল্লেখ করা হয়, আনুষ্ঠানিক খাতে অনানুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের মতো ব্যবহারের কারণে নারী কর্মীরা তাদের চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে থাকেন। ফলে তারা অতিরিক্ত চাপ নিয়ে কাজ করতে বাধ্য হন।

এশিয়ান ফ্লোর ওয়েজ অ্যালায়েন্সের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ৬৬ শতাংশ নারীই শারীরিক বা যৌন সহিংসতার হুমকির সম্মুখীন হয় এবং ১৭ শতাংশ প্রকৃত শারীরিক বা যৌন সহিংসতার শিকার হয়।

তবে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশে আরএমজি সেক্টরে অনানুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের ঘটনা খুবই নগণ্য।

তিনি গবেষণার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘কিছু রফতানিমুখী কারখানার মতো কিছু সংস্থাও জরিপ করার জন্য অননুমোদিত সাব-কন্ট্রাক্টর নিয়োগ করে। আমি গবেষণা প্রতিবেদনে বিশ্বাস করি না, কারণ এর ফলাফল বাংলাদেশের রফতানিমুখী আরএমজি খাতের বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে।

আরও