যুক্তরাজ্যের বাজারে যুক্ত হচ্ছে রেনাটার দুই ওষুধ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি রেনাটা পিএলসির দুটি ওষুধ যুক্তরাজ্যের বাজারে যুক্ত হচ্ছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুসারে, যুক্তরাজ্যের বাজারে সারট্রালাইন ১০০ এমজি ও প্রোপিলথিওরাসিল ৫০ এমজি ট্যাবলেটের প্রথম চালান সফলভাবে পাঠানো হয়েছে। উচ্চমানের এ পণ্যগুলো বাংলাদেশের রাজেন্দ্রপুরে রেনাটার ইউকে-এমএইচআরএ অনুমোদিত কারখানায় তৈরি হয়েছে।

রেনাটা-ইউকের ব্র্যান্ডিংয়ের অধীনে ও লোকাল কমার্শিয়ালাইজেশন টিমের মাধ্যমে এ ওষুধগুলো শিগগিরই যুক্তরাজ্যের গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যাবে। বাংলাদেশে এ ওষুধগুলো স্থানীয় ব্র্যান্ড সেরোনেক্স (সারট্রালাইন) ও পিটিইউ (প্রোপিলথিওরাসিল) নামে পরিচিত।

এর আগে রেনাটার ক্যাবারগোলিন নামের ০.৫ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট ইউরোপে অনুমোদন পেয়েছে। ইইউ ডিসেন্ট্রালাইজড প্রসিডিউরের (ডিসিপি) অধীনে এ অনুমোদন পায় কোম্পানিটি। কোম্পানিটির নতুন এ ওষুধ ইউরোপের আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, পর্তুগাল, ইতালি, ডেনমার্ক, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে ও স্পেনের বাজারে অনুমোদন পেয়েছে। এটি প্রাথমিকভাবে হাইপারপ্রোল্যাক্টিনেমিয়া ও পারকিনসন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।

১৯৭৯ সালে পুঁজিবাজারে আসা রেনাটা পিএলসি ১৯৭২ সালে মার্কিন ওষুধ জায়ান্ট ফাইজারের একটি কোম্পানি হিসেবে বাংলাদেশে যাত্রা করে। ১৯৯৩ সালে ফাইজার স্থানীয় শেয়ারহোল্ডারদের কাছে তাদের মালিকানা বিক্রি করে চলে যায় এবং কোম্পানির নাম ফাইজার (বাংলাদেশ) লিমিটেডের বদলে হয় রেনাটা লিমিটেড। বর্তমান নাম রেনাটা পিএলসি। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২৮৫ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১১৪ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২ হাজার ৯১২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি ৪৬ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯০। এর মধ্যে ৫১ দশমিক ২৯ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ২০ দশমিক ৭১ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ২১ দশমিক ৪১ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

ডিএসইতে গতকাল রেনাটা পিএলসির শেয়ার সর্বশেষ ৭০২ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ার ৬০৮ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১ হাজার ২১৭ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করেছে।

আরও