২০২৩ সাল

ইউরোপীয় ইউনিয়নে কমেছে হাই-টেক আমদানি

২০২৩ সালে প্রায় ৪৮ হাজার কোটি ইউরোর হাই-টেক বা উচ্চ প্রযুক্তি সরঞ্জাম বা পরিষেবা আমদানি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো, যা আগের বছরের তুলনায় ১ শতাংশ কম। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে জোটটির পরিসংখ্যান অফিস ইউরোস্ট্যাট। খবর আনাদোলু।

এ সময় উচ্চ প্রযুক্তি আমদানিতে ইইউর ব্যয় ৪৭ হাজার ৮০০ কোটি ইউরো বা ৫২ হাজার ৭১০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।

ইউরোস্ট্যাট জানিয়েছে, গত বছর ইইউর উচ্চ প্রযুক্তির আমদানির অর্ধেকেরও বেশি এসেছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে। ১৫ হাজার ৫০০ কোটি ইউরো ও ১০ হাজার ৮০০ কোটি ইউরোর পণ্য বিক্রি করে দেশ দুটির হিস্যা ছিল যথাক্রমে ৩২ ও ২৩ শতাংশ।

অন্য হাই-টেক রফতানিকারকদের মধ্যে ছিল সুইজারল্যান্ড ও তাইওয়ান। ৩ হাজার ১০০ কোটি ইউরো ও ২ হাজার ৮০০ কোটি ইউরো আয় করা দেশ দুটির হিস্যা ছিল যথাক্রমে ৭ ও ৬ শতাংশ। এছাড়া ২ হাজার ইউরো ও ১ হাজার ৯০০ ইউরোর পণ্য রফতানি করেছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য ও ভিয়েতনাম।

ইইউবহির্ভূত দেশ থেকে বেশি এসেছে ইলেকট্রনিকস-টেলিকমিউনিকেশন পণ্য, মোট আমদানিতে যার পরিমাণ ৩৯ শতাংশ। এসব পণ্যের সবচেয়ে বড় উৎস ছিল চীন।

ভিয়েতনাম থেকে আমদানির প্রায় ৭৩ শতাংশ ছিল ইলেকট্রনিকস-টেলিকমিউনিকেশন পণ্য, যার মূল্য ১ হাজার ৪০০ কোটি ইউরো। তাইওয়ান ও চীনের রফতানির ৫৮ শতাংশই ছিল এ খাতে, যেখানে দেশ দুটি আয় করেছে যথাক্রমে ১ হাজার ৬০০ কোটি ও ৮ হাজার ৬০০ কোটি ইউরো।

কম্পিউটার, অফিস মেশিন ও ফার্মেসি পণ্য ছিল ইইউর উচ্চ প্রযুক্তির আমদানির ১৫ শতাংশ। এসব পণ্যের প্রধান উৎস ছিল চীন ও যুক্তরাষ্ট্র।

হাই-টেক রফতানির ক্ষেত্রে ২০২২ সালের তুলনায় ইইউর আয় ৩ শতাংশ বেড়ে ৪৬ হাজার ১০০ কোটি ইউরো হয়েছে। মোট রফতানির ২৮ শতাংশের ক্রেতা ছিল যুক্তরাষ্ট্র, দেশটি থেকে আয় হয়েছে ১২ হাজার ৮০০ কোটি ইউরো। চীনের ১১ শতাংশ হিস্যা থেকে এসেছে ৪ হাজার ৯০০ কোটি ইউরো। অন্যদিকে জাপান ও তুরস্ক থেকে আয় করেছে যথাক্রমে ১ হাজার ৫০০ কোটি ও ১ হাজার ৪০০ কোটি ইউরো।

ইইউ থেকে ইইউবহির্ভূত দেশে উচ্চ প্রযুক্তি রফতানির মধ্যে ৩০ শতাংশই ছিল ফার্মেসি পণ্য। এতে বড় ক্রেতা ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া রফতানি ২০ শতাংশ ইলেকট্রনিকস-টেলিকমিউনিকেশন ও ১৮ শতাংশ ছিল মহাকাশবিষয়ক পণ্য। এতেও ক্রেতা হিসেবে বড় অংশীদার ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।

আরও