করকে বোঝা মনে করার মানসিকতা থেকে বের হতে হবে —এনবিআর চেয়ারম্যান

দেশের মানুষের প্রতি করকে বোঝা মনে করার মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। গতকাল দুপুরে রংপুর চেম্বারের আয়োজনে রংপুর বিভাগীয় শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

দেশের মানুষের প্রতি করকে বোঝা মনে করার মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। গতকাল দুপুরে রংপুর চেম্বারের আয়োজনে রংপুর বিভাগীয় শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। 

এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমদানিনির্ভরতা, সিজন পরিবর্তন ও সিন্ডিকেটের কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও করের বোঝাটাই সবার কাছে মাথাব্যথার কারণ—এ মানসিকতা থেকে সবাইকে বের হয়ে আসতে হবে।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘করদাতা কাউকে কাউকে বলতে শোনা যায়, যারা কর দেন তাদের ওপর শুধু করের বোঝা চাপতে থাকে এবং নতুন করদাতা বৃদ্ধি করা হয় না—এ কথা সত্য নয় । ২০২০ সালের জুনে রিটার্ন দাখিলকারী করদাতা ছিলেন ২১ লাখ। কিন্তু সাড়ে তিন বছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে করদাতা হয়েছে ৩৬ লাখ এবং ভ্যাটদাতা দুই লাখ থেকে উন্নীত হয়েছে পাঁচ লাখে। এছাড়া ধীরে ধীরে করজাল ও ভ্যাটের আওতা বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি আয়কর ও ভ্যাট প্রদানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়েছে।’

রংপুর চেম্বারের সভাপতি মো. আকবর আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক নীতি) মো. মাসুদ সাদিক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর নীতি) একেএম বদিউল আলম। 

প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রেজা হুমায়ুন ফারুক চৌধুরী, নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এসএম শফিকুল আলম ডাবলু, রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. রেজাউল ইসলাম মিলন, রংপুর উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আনোয়ারা ফেরদৌসি পলি, লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি মো. মোড়ল হুমায়ুন কবীর, গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহসভাপতি মো. আব্দুর রশীদ, কুড়িগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মাহমুদ নবী মুন্না, রংপুর চেম্বারের সাবেক সভাপতি মো. আবুল কাশেম প্রমুখ।

চেম্বার নেতারা ব্যবসা থেকে করযোগ্য আয় নিরূপণের ক্ষেত্রে চাকরি থেকে করযোগ্য আয়ে বৈষম্য নিরসন, আয়কর আইন ২০২৩-এর ৭৩ ধারা মোতাবেক ৩ কোটির পরিবর্তে ২০ কোটি টাকার ওপরে টার্নওভার নির্ধারণ, ট্রাইব্যুনালে আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে ২ শতাংশ এবং হাইকোর্টে রেফারেন্স মামলার আবেদনের জন্য ৫-১০ শতাংশ কর পরিশোধ করা, করদাতার ন্যূনতম সীমা ১০ কোটি এবং ফার্ম বা ব্যক্তি সংঘের ক্ষেত্রে ৩ কোটি টাকায় উন্নীতকরণ এবং করহার দশমিক ২০ শতাংশ করা, ব্যক্তি করদাতাদের জীবনের সংশ্লিষ্ট ব্যয়কে আয়কর রিটার্ন দাখিলে বাধ্যতামূলক না করা, আমদানিকারক ও উৎপাদক পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর ধার্য করাসহ বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন।

আরও