২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে ওয়াশ খাতে ন্যায্য বরাদ্দের আহ্বান

নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) মোকাবেলায় এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজিএস) অর্জনের পথ সুগম করতে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) খাতে আরো সামঞ্জস্যপূর্ণ ও ন্যায্য বাজেট বরাদ্দের আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) মোকাবেলায় এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজিএস) অর্জনের পথ সুগম করতে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন হাইজিন (ওয়াশ) খাতে আরো সামঞ্জস্যপূর্ণ ন্যায্য বাজেট বরাদ্দের আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ওয়াটারএইড, ইউনিসেফ, পিপিআরসি, ফানসা-বিডি, ডব্লিউএসএসসিসি-বি, এফএসএম নেটওয়ার্ক, স্যানিটেশন অ্যান্ড ওয়াটার ফর অল এবং ওয়াশ অ্যালায়েন্সের যৌথ উদ্যোগে গতকাল আয়োজিত এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলন থেকে আহ্বান জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেন, ওয়াটারএইড ইউনিসেফের সহযোগিতায় পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) করা এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পানি, স্যানিটেশন হাইজিন (ওয়াশ) খাতে অর্থায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ বেশ প্রশংসনীয়। কারণ ওয়াশ খাতে ২০০৭-০৮ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটে অর্থ বরাদ্দ ক্রমান্বয়ে বেড়েছে। সময় হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১০ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা হয়েছে। অর্থবছরের বাজেটে খাতে আর্থিক বরাদ্দের ধারা ঊর্ধ্বমুখী, যা ১১ দশমিক শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে স্যানিটেশনে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল, এর বিপরীতে হাইজিনের ক্ষেত্রে বরাদ্দ ছিল অপর্যাপ্ত। 

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ পিপিআরসির চেয়ারম্যান . হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, কভিড-১৯ মোকাবেলায় এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের বিষয়টি বিবেচনায় ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে হাইজিনকে গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে অগ্রাধিকার দিতে হবে। দরিদ্র প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ওয়াশ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজিএস) অর্জনের গতিকে ত্বরান্বিত করার এখনই উপযুক্ত সময়।

আরও