সাতক্ষীরায় রসুনের দাম ঊর্ধ্বমুখী

সাতক্ষীরায় রসুনের দাম বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ না থাকায় মসলাপণ্যটির দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

সাতক্ষীরায় রসুনের দাম বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ না থাকায় মসলাপণ্যটির দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। 

সাতক্ষীরা জেলা সদরের সুলতানপুর বড় বাজারের কয়েকটি আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের দাম কেজিতে ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গতকাল এ বাজারের মসলা আড়ত মেসার্স শাওন এন্টারপ্রাইজে মসলাপণ্যটি পাইকারিতে বিক্রি হয়েছে কেজিতে ১৯৫-২০০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও যা ছিল ১৮০-১৮৫ টাকা। 

এদিকে সুলতানপুর বড় বাজারের অধিকাংশ খুচরা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গতকাল প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হয়েছে ২৩০-২৪০ টাকায়। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারিতে দাম বাড়ায় তার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।

তবে বাজারে রসুনের প্রয়োজনীয় সরবরাহ রয়েছে বলে মনে করছেন সাতক্ষীরার কৃষি বিপণন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও যারা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে রসুনসহ অন্যান্য মসলার দাম বেশি নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে গত তিন মাসে প্রায় ৩৩ কোটি টাকার রসুন আমদানি হয়েছে। গত তিন মাসে অর্থাৎ সদ্য বিদায়ী অর্থবছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে মসলাপণ্যটির আমদানি হয়েছে ২ হাজার ৫০ টন। এর মধ্যে এপ্রিলে ২৪৯ টন, মে মাসে ১ হাজার ৫২৩ টন ও জুনে ২৭৮ টন রসুন আমদানি হয়েছে। আমদানীকৃত এসব রসুনের মূল্য ছিল ৩২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার কৃষক আনোয়ার আলী বলেন, ‘বাজারে রসুনের সরবরাহ কমতি নেই। অথচ ব্যবসায়ীরা সরবরাহ কমের অজুহাতে দাম বেশি নিচ্ছেন। এটি দুর্বল বাজার মনিটরিংয়ের কারণে হচ্ছে।’

সাতক্ষীরার দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ বণিক বার্তাকে জানান, বাজারে কোনো মসলার সরবরাহ কম নেই। যেসব ব্যবসায়ী কৃত্রিম সরবরাহ সংকট দেখিয়ে রসুনের দাম বেশি নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

আরও