ভোমরা স্থলবন্দর

আমদানি কমলেও পণ্যের উচ্চমূল্যে বেড়েছে রাজস্ব আহরণ

চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে রাজস্ব আহরণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়েছে। বন্দরসংশ্লিষ্টরা জানান, পণ্য আমদানি কমলেও রাজস্ব আয় বেড়েছে। এর কারণ ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধির কারণে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি।

চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে রাজস্ব আহরণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়েছে। বন্দরসংশ্লিষ্টরা জানান, পণ্য আমদানি কমলেও রাজস্ব আয় বেড়েছে। এর কারণ ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধির কারণে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। 

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম আট মাস অর্থাৎ জুলাই-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ বন্দরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৪৯৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এ লক্ষ্য সামনে রেখে আট মাসে আয় হয়েছে ৫০৮ কোটি ৪০ লাখ ৩ হাজার ৯৪৭ টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ কোটি ৮১ লাখ টাকা বেশি। 

অন্যদিকে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম আট মাসের তুলনায় রাজস্ব বেড়েছে ১২৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ওই সময় রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭০৯ কোটি ১ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আয় হয় ৩৮০ কোটি ৫৫ লাখ ৩০ হাজার ৬১৭ টাকা। 

ভোমরা বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এসএম মাকসুদ খান জানান, এ বন্দর অন্য যেকোনো বন্দরের তুলনায় খুবই সম্ভাবনাময়। তবে ব্যবসায়ীদের সব ধরনের পণ্য আমদানি করতে দেয়া হলে সরকারের রাজস্ব আয় আরো অনেকাংশে বাড়ত। পূর্ণাঙ্গ বন্দর হলেও এখানে ব্যবসায়ীদের সব ধরনের পণ্য আমদানি করতে দেয়া হয় না। মাত্র ৭৪টি পণ্য আমদানির অনুমতি রয়েছে। 

রাজস্ব বাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বে থাকা কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার মো. এনামুল হক বণিক বার্তাকে জানান, সরকারের নির্দেশনার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের পণ্য আমদানি-রফতানিতে কোনো ধরনের হয়রানি যেন না হয়, সে দিকটাও সর্বোচ্চ নজরে রাখা হচ্ছে। 

আরও