এবি ব্যাংকের বন্ডে বিএসইসির অসম্মতি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবি ব্যাংক পিএলসির ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবি ব্যাংক পিএলসির ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুসারে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে ‘এবি ব্যাংক সাব-অর্ডিনেটেড বন্ডস-ভি’ নামে নতুন বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। রিডিমেবল, নন-কনভার্টিবল, ফ্লোটিং রেটের বন্ডটির মাধ্যমে ব্যাংকটি ৫০০ কোটি টাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এবি ব্যাংকের নতুন বন্ড ইস্যুর আবেদন বাতিল করে দিয়েছে বিএসইসি।

তবে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য কমিশনে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবি ব্যাংক পিএলসি।

ব্যাংকটির আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে এবি ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮১ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৫৮ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২৯ টাকা ৫৪ পয়সা। চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪২ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৪৬ পয়সায়। 

২০২২ হিসাব বছরে ২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস ৮৩ পয়সা ও সমন্বিত এনএভিপিএস ২৯ টাকা ৯২ পয়সা। ২০২১ হিসাব বছরের জন্য ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার সুপারিশ করেছে এবি ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। এর মধ্যে ২ শতাংশ নগদ ও ৩ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৮৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪৭ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৫৯ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩০ টাকা ৭২ পয়সা।

ব্যাংকটির সর্বশেষ ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘এ প্লাস’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-টু’। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও রেটিং ঘোষণার দিন পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক অন্যান্য গুণগত ও পরিমাণগত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রত্যয়ন করেছে আরগুস ক্রেডিট রেটিং সার্ভিসেস লিমিটেড (এসিআরএলএস)।

১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবি ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার ৫০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৮৯৫ কোটি ৬৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ৭০১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৮৯ কোটি ৫৬ লাখ ৯৪ হাজার ৭৪৯। এর মধ্যে ৩১ দশমিক ২১ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, দশমিক ৫৭ শতাংশ সরকার, ২৩ দশমিক ২৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক ৫৪ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ৪৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে। গতকাল ব্যাংকটির শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৩০ পয়সায়। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৬ টাকা ৫০ ও ১৩ টাকা ৮০ পয়সা।

আরও