ভারতে বেশির ভাগ চিনির মিল বর্তমানে চালু রয়েছে। এর পরও দেশটিতে আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদন আগের মৌসুমের তুলনায় কমে যেতে পারে। সম্প্রতি দেশটির ন্যাশনাল ফেডারেশন অব কো-অপারেটিভ সুগার ফ্যাক্টরিস লিমিটেড (এনএফসিএসএফ) এ পূর্বাভাস দিয়েছে। খবর চিনি মান্ডি।
উল্লেখ্য, এনএফসিএসএফ হলো চিনির মিলগুলোর প্রতিনিধিত্ব ও সহায়তাকারী একটি সংগঠন। এটি চিনির মিলগুলোর উন্নয়ন, সহায়তা প্রদান ও এ খাতের উন্নতি সাধনে কাজ করে।
এনএফসিএসএফ অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ মৌসুমে ভারতে চিনি উৎপাদন ২ কোটি ৭০ লাখ টন হতে পারে। এটি এর আগে ২ কোটি ৮০ লাখ টনের পূর্বাভাসের তুলনায় কম। ভারত ২০২৩-২৪ মৌসুমে মোট ৩ কোটি ১৯ লাখ টন চিনি উৎপাদন করেছিল।
সংস্থাটির প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, বছরের শুরু থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ৫০৭টি মিল আখ মাড়াই কার্যক্রম চালিয়েছে। এ সময় মিলগুলোয় ১৪ কোটি ৮২ লাখ ১৪ হাজার টন আখ থেকে চিনি উৎপাদন করেছে ১ কোটি ৩০ লাখ ৫৫ হাজার টন। আগের মৌসুমের একই সময় ৫২৪টি চিনির মিল ১৬ কোটি ১২ লাখ ৮৩ হাজার টন আখ মাড়াই করেছিল। সে সময় চিনি উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৫১ লাখ ২০ হাজার টন।
খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি মৌসুমে কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্রের চিনির মিলগুলো চালু হতে দেরি হয়েছে। এছাড়া উত্তর প্রদেশে রেড রট রোগের কারণে আখের ফলন কমে গেছে।
চলতি মৌসুমে আখ থেকে চিনি উৎপাদনের হারও কমেছে। ১৫ জানুয়ারি এ হার ছিল ৮ দশমিক ৮১ শতাংশ, যা গত মৌসুমে ছিল ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
এদিকে চলতি মাসের প্রথম প্রান্তিকে মহারাষ্ট্রে ১৯৬টি মিল ৪ কোটি ৮৯ লাখ ২০ হাজার টন আখ মাড়াই করে ৪৩ লাখ ৫ হাজার টন চিনি উৎপাদন করেছে। উত্তর প্রদেশে ১২২টি চিনির মিল ৪ কোটি ৭৩ লাখ ৪৮ হাজার টন আখ মাড়াই করেছে। এ সময় অঞ্চলটিতে চিনি উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৪২ লাখ ৮৫ হাজার টন। তৃতীয় বৃহত্তম উৎপাদনকারী রাজ্য কর্ণাটকে গত মৌসুমের তুলনায় তিনটি বেশি চিনির মিল চালু হয়েছে। বর্তমানে ৭৭টি চিনির মিল চালু রয়েছে। এ অঞ্চলে বর্তমানে ৩ কোটি ১৮ লাখ ৮২ হাজার টন আখ মাড়াই করে ২৭ লাখ ১০ হাজার টন চিনি উৎপাদন করেছে মিলগুলো।