বেতন-ভাতা বাড়ছে ব্রিটিশ কর্মীদের

কর্মীদের বেতন বাড়ানোর কথা ভাবছেন ব্রিটিশ নিয়োগকর্তারা। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে কর্মীদের বেতন ৫ শতাংশ বাড়বে।

কর্মীদের বেতন বাড়ানোর কথা ভাবছেন ব্রিটিশ নিয়োগকর্তারা। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে কর্মীদের বেতন ৫ শতাংশ বাড়বে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক পেশাজীবীদের সংগঠন দ্য চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব পার্সোনেল ডেভেলপমেন্টের (সিআইপিডি) ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। সোমবার প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। সিপিআইডির প্রতিবেদন অনুসারে, ৫৫ শতাংশ নিয়োগকারী এ বছর কর্মীদের বেতন-ভাতা বাড়াতে চান। ১১ বছরে এ হার সর্বোচ্চ। ২০১২ সাল থেকে এমন জরিপ চালিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। গত তিন মাসে এ হার ছিল ৪ শতাংশ। তা সত্ত্বেও সম্ভাব্য মূল্যস্ফীতির তুলনায় অনেক কম থাকবে কর্মীদের বেতন। ব্রিটেনের শ্রমবাজার ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদের তুলনায় কর্মিসংখ্যা কম। এ কারণে কর্মী নিয়োগ ও ধরে রাখার ক্ষেত্রে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে নিয়োগকারীদের। তবে সংকট সমাধানে বেতন বৃদ্ধির এমন পরিকল্পনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, এভাবে বেতন বৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে। তবে মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমেছে দেশটিতে। ২০২২ সালের অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ১১ দশমিক ১ শতাংশ বাড়ে। ৪১ বছরের মধ্যে এ হার ছিল সর্বোচ্চ। তবে ডিসেম্বরে তা কমে ১০ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। কিন্তু মূল্যস্ফীতি এখনো সংকটজনক অবস্থায় আছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি।

জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান চাপ সামলানোর উদ্দেশ্যে বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে বেশ কয়েকবার ধর্মঘট ডেকেছে দেশটির নার্স, শিক্ষক ও গণপরিবহন কর্মীরা। নিয়োগকারীদের বেতন বৃদ্ধির ভাবনার পেছনে তা ভূমিকা রেখেছে বলে সিআইপিডির প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়।

আরও