সবজি ও ফলমূল রফতানিতে বাংলাদেশ: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

বাংলাদেশ ১৯৭৩ সাল থেকে শাকসবজি ও ফলমূল রফতানি শুরু করে। প্রথম বাজার ছিল যুক্তরাজ্য। তখন ১ হাজার ৭০০ ডলারের পণ্য রফতানি হয়। বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রফতানি বৃদ্ধি ও বৈচিত্র্যকরণের উদ্দেশ্যে ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেবলস অ্যান্ড অ্যালাইড প্রডাক্টস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফভিএপিইএ) প্রতিষ্ঠিত হয়। তাজা শাকসবজি, ফলমূল, পান ও সংশ্লিষ্ট পণ্য বিশ্ববাজারে

বাংলাদেশ ১৯৭৩ সাল থেকে শাকসবজি ও ফলমূল রফতানি শুরু করে। প্রথম বাজার ছিল যুক্তরাজ্য। তখন ১ হাজার ৭০০ ডলারের পণ্য রফতানি হয়। বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রফতানি বৃদ্ধি ও বৈচিত্র্যকরণের উদ্দেশ্যে ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেবলস অ্যান্ড অ্যালাইড প্রডাক্টস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফভিএপিইএ) প্রতিষ্ঠিত হয়। তাজা শাকসবজি, ফলমূল, পান ও সংশ্লিষ্ট পণ্য বিশ্ববাজারে রফতানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের একমাত্র সংগঠন বিএফভিএপিইএ। এ সংস্থার বর্তমানে ৫০০ জন সদস্য রয়েছে। যাদের মধ্যে ১৫০ জন নিয়মিত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাজা ফল ও সবজি রফতানি করে আসছেন।

বাংলাদেশে থেকে নানা ধরনের ফলমূল ও সবজি রফতানি হয়ে থাকে। এশিয়ান ফল সবজি ও সংশ্লিষ্ট পণ্যের জন্য বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দেশ। করলা, বেগুন, লাউ, ঢেঁড়স, বরবটি, কাঁচামরিচ, কাঁচা পেঁপে, পালংশাক, পটল, কাঁচকলা, মুলা, ঝিঙা, কচু, চিচিঙ্গা, কচুর লতি, মিষ্টি আলু, চালকুমড়া, তেজপাতা, কলার ফুল, ফুলকপিসহ আরো অনেক সবজি এবং ফল যেমন কাঁঠাল, আনারস, লিচু, আম, কামরাঙা, ড্রাগন ফল, কতবেল, আমড়া, খেজুর, আমলকী, জলপাই, লেবু (জরালেবু, আদালেবু, আলাচিলেবু, সাতকরা ইত্যাদি), পান পাতা, ধনেপাতা ও সদৃশ পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ। (বিএফভিএপিইএ, ২০০১) বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে ফলমূল ও শাকসবজি রফতানি হয়ে থাকে। যদিও ২০১২ সালের দিকেও ইউরোপ ছিল সবচেয়ে বড় রফতানির বাজার। কিন্তু বর্তমানে সবচেয়ে বেশি রফতানি হয় মধ্যপ্রাচ্যে। ইইউভিত্তিক অঞ্চলগুলো (ইউকে, ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, স্পেন, সুইডেন, গ্রিস ও আয়ারল্যান্ড) বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয় বৃহত্তম আমদানিকারক অঞ্চল এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো যেমন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, বাহরাইন ও কুয়েতে সর্বাধিক পরিমাণে তাজা শাকসবজি ও ফল রফতানি করা হয়। তবে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ অল্প পরিমাণে তাজা সবজি ও ফল রফতানি করছে। উত্তর আমেরিকার দুটি দেশের মধ্যে শুধু কানাডাই আমাদের ক্লায়েন্ট।

বিএফভিএপিইএর উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম

বিএফভিএপিইএ বাংলাদেশের উৎপাদক, রফতানিকারক ও বৈশ্বিক বাজারের আমদানিকারকদের সেবা প্রদানকারী হিসেবে কাজ করছে। বিদেশী আমদানিকারক দেশগুলোর চাহিদা মোতাবেক উন্নতমানের শাকসবজি, ফলমূল ও সংশ্লিষ্ট পণ্য পরিবেশন করা এবং তাজা পণ্য রফতানি করার মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে সংস্থাটি। এছাড়া আমদানিকারক দেশের ভূমিকা ও নিয়ম মেনে বাংলাদেশ থেকে উদ্যানজাত তাজা পণ্য রফতানি বৃদ্ধিতে নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করতে সহযোগিতা করে আসছে। বাংলাদেশ থেকে এসব পণ্য রফতানি বাড়ানোর মাধ্যমে গ্রামীণ দরিদ্র জনগণের পাশাপাশি বাংলাদেশের কৃষি ও উদ্যান চাষীদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে। যার মাধ্যমে গ্রামীণ আয় বাড়ছে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। 

রফতানিতে কৃষি উৎপাদনের বহুমুখীকরণের জন্য সংস্থাটি কাজ করে আসছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের শাকসবজি রফতানিকারকদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে এবং এটি দেশে রফতানি কার্যক্রমকে আরো বাড়াবে। তাজা ফল ও সবজির রফতানি বেশির ভাগই রফতানিকারকদের মাধ্যমে বিএফভিএপিইএর সাধারণ প্লাটফর্মের অধীনে ‘বিক্রয় চালানের ভিত্তিতে’ করা হয়। সংস্থাটি আকাশ, সমুদ্র ও সড়কপথে ফলমূল, শাকসবজি এবং সহযোগী পণ্য রফতানিতে নিয়োজিত রফতানিকারকদের স্বার্থের প্রচার ও সুরক্ষা প্রদান করার জন্য কাজ করে। 

ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ডের মতো প্রতিযোগীদের তুলনায় আমাদের রফতানির গুণগত মান উন্নত করা এবং আরো বেশি কৃষি ব্যবসা, বিনিয়োগ ও রফতানির সুযোগ অন্বেষণ করতে রফতানিকারকদের সাহায্য ও প্রচার করার জন্যই বিএফভিএপিইএ কাজ করছে। আবার উদ্যানজাত ফসল রফতানিতে শৃঙ্খলা আনয়ন এবং রফতানি উন্নয়ন ও বৈচিত্র্যকরণের জন্য উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে এ সংগঠন নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে।

বিএফভিএপিইএ রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও ডেভেলপমেন্ট পার্টনারের সঙ্গে কাজ করে থাকে। বিএফভিএপিইএ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য মন্ত্রণালয় যারা বাংলাদেশের তাজা ফল ও সবজি রফতানির সঙ্গে জড়িত, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ইপিবিসহ অন্যান্য বেসরকারি সংস্থা, কৃষি বেসরকারি বীজ কোম্পানি, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনে নেটওয়ার্কিং করে। এছাড়া গ্রামীণ তাজা ফল ও শাকসবজি চাষাবাদ করে এমন ব্যক্তি বা চুক্তিভিত্তিক চাষী গোষ্ঠীর পাশাপাশি দরিদ্র নারীদের সঙ্গে নেটওয়ার্কিং করে। এছাড়া যাদের উচ্চমূল্যের শাকসবজি বা ফলমূল উৎপাদন করার ছোট জমি রয়েছে, তাদের জমিতে গ্রামীণ মূল স্তরের দরিদ্র মানুষদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়ার মাধ্যমে নেটওয়ার্কিং করা। এসব ব্যতীত সংস্থাটি গ্রুপ পরিদর্শন, ব্যক্তিগত পরিদর্শনের মাধ্যমে আমদানিকারক দেশগুলোর সম্ভাব্য ক্রেতার সঙ্গে নেটওয়ার্কিং করে এবং উদ্যানজাত তাজা পণ্যের রফতানিকে শক্তিশালী ও উন্নত করার জন্য কাজ করে। 

দৈনিক রফতানি চাহিদা

বর্তমানে আমদানিকারক দেশের ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের দেশের রফতানিকারকদের চাহিদা ৬০০-৭০০ টন। কিন্তু সে অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে রফতানি হচ্ছে না। বর্তমানে দৈনিক গড় রফতানির পরিমাণ ২০০-২৫০ টন। বাংলাদেশী রফতানিকারকরা এখনো জাতিগত বাজারকেন্দ্রিক রফতানি কার্যক্রম পরচিালনা করে। সেগুলো বিশ্বের বিভিন্ন এথনিক মার্কেটে যাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ বিশ্বের উচ্চতর মার্কেটগুলোতে প্রবেশ করতে পারেনি। 

ইউরোপে তাজা সবজি ও ফলমূল রফতানির শর্ত

ইউরোপীয় ইউনিয়ন রফতানিকারক দেশগুলোর জন্য একটি নির্দেশিকা প্রণয়ন করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইইউ কাউন্সিলের নির্দেশের মাধ্যমে কঠোর প্রবিধান ঘোষণা করেছে, স্পষ্টভাবে তাদের ফাইটোস্যানিটারি (এসপিএস) প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছে। ইইউ কমিশনের নির্দেশনা নিচে দেয়া হলো: 

১. সবজি ও ফল উৎপাদনের এলাকা যেন থ্রিপস পালমি, কালো মাছি, সাদা মাছি, জাবপোকা এবং সবজি ও ফলের মাছি পোকা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত থাকে। এবং সেই মর্মে নিশ্চিত হতে হবে।

২. উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনায় (জিএপি) রফতানিযোগ্য সবজি ও ফল এবং গুড হাইজিন প্র্যাকটিসেস (জিএইচপি) সঠিকভাবে অনুসরণ করতে হবে। 

৩. প্যাকেটে সবজির নাম ও উৎপত্তির দেশ লিখতে হবে।

৪. সঠিক উপায়ে সর্টিং, গ্রেডিং, প্যাকিং, লেবেলিং ও প্লান্ট কোয়ারেন্টাইনের অফিসার কর্তৃক ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট সংগ্রহের মাধ্যমে রফতানি করতে হবে। 

৫. আমের ক্ষেত্রে অ্যানথ্রাকনোজ ও আমের মাছি পোকা থেকে মুক্ত হতে হবে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় তাজা সবজি ও ফল রফতানির শর্ত

১. শাকসবজি ও ফলের উৎপাদনে অবশ্যই উত্তম কৃষিচর্চা (জিএপি), গুড হাইজিন প্র্যাকটিস (জিএইচপি) অনুসরণ করতে হবে। 

২. মাইক্রোবিয়াল দূষণ যেমন সালমোনেলা, ই কোলাই থেকে মুক্ত থাকতে হবে এবং প্যাথোজেনিক ছত্রাক যেমন অ্যানথ্রাকনোজ থেকেও মুক্ত থাকতে হবে। 

৩. কীটনাশক ব্যবহারের অবশিষ্টাংশ (এমআরএল) অবশ্যই মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে না ফেলে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। 

৪. আর্গন, ক্রোমিয়াম, পারদ, সিসা ইত্যাদি ভারী ধাতু থেকে মুক্ত থাকতে হবে। 

৫. যথাযথ লেবেলিংসহ প্যাকেজিং অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে।

জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক সুযোগ থাকলেও ইরাডিকেশনের অভাবে এখনো রফতানি করতে পারেনি। বাংলাদেশ এটা নিয়ে কাজ করছে কীভাবে রফতানি চালু করা যায়। আশা করা যায় এক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ সেখানে রফতানি করতে পারবে। আমাদের নতুন বাজারের জন্য কাজ করতে হবে। পাশাপাশি আমাদের ইউরোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও মধ্যপ্রাচ্যের উচ্চ সুপারমার্কেট শপে রফতানি করার জন্য কৃষিভিত্তিক তাজা পণ্য প্রস্তুত করতে হবে। 

উদ্যান পালন খাতের সামগ্রিক সম্ভাবনা বিভিন্ন কীটপতঙ্গের (ফলের মাছি এবং সাদা মাছিসহ) আক্রমণের কারণে ব্যাহত হয়। তাই আন্তর্জাতিক মান পূরণে দেশের মধ্যে এসপিএস ক্ষমতা বিকাশের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রয়োজন। এছাড়া নজরদারির দক্ষতা বাড়াতে ও সম্মতির জন্য অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। ফাইটোস্যানিটারি মান ও পদ্ধতির সমন্বয় সাধনের জন্য সীমান্ত পরিদর্শন কার্যক্রমসহ কীটপতঙ্গ নজরদারি এবং শনাক্তকরণের ক্ষমতা জোরদার করতে হবে। ঝুঁকি মূল্যায়নের সক্ষমতা বিকাশ, নিয়ন্ত্রক সমস্যা ও বাণিজ্য সম্পর্কিত অন্যান্য বাধা কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশকে তার আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে হবে।

ফল ও সবজি রফতানির চ্যালেঞ্জ

সবজি ও ফলমূল রফতানিতে বাংলাদেশের রফতানিকারকদের নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়। 

 ভরা মৌসুমে শাকসবজি ও ফল রফতানির জন্য সীমিত স্থান রয়েছে।

 আমাদের প্রতিযোগী দেশ যেমন ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ডের তুলনায় দূরত্ব প্রায় সমান সত্ত্বেও বিদেশী উড়োজাহাজগুলোতে ভাড়া বেশি।

 উৎপাদন স্তরে ও বিমানবন্দরেও শীতল চেইন ব্যবস্থা নেই। যার ফলে পণ্যে ছত্রাক বাড়ার কারণে পণ্যের সতেজতা কমে যাচ্ছে।

 পচনশীল পণ্য বহনের জন্য বিশেষ কোনো এয়ার কার্গো উড়োজাহাজ নেই। 

 বাংলাদেশে স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজিংয়ের জন্য উপকরণের প্রয়োজন। এসব উপকরণের জন্য বাংলাদেশে এখনো কোনো শিল্প স্থাপন করা হয়নি। 

 যদিও স্বয়ংক্রিয়তা চালু করা হয়েছে কিন্তু এখনো রফতানির প্রক্রিয়াকরণের সময় অনেক কমাতে হবে, যা পণ্যের সতেজতা রক্ষায় সাহায্য করে।

 এয়ারপোর্ট কাস্টমস এবং বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে অন্যান্য ক্লিয়ারেন্স এলাকায় কোনো শীতল চেইন ব্যবস্থা না থাকায় ফসল কাটার পরবর্তী ব্যবস্থাপনা দুর্বল।

 ভারত, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের মতো দেশেও রফতানিযোগ্য শাকসবজি ও ফলের সতেজতা ধরে রাখতে কোনো প্রযুক্তি চালু করা হয়নি। 

বিএফভিএপিইএর সদস্যরা বিভিন্ন দেশের শর্তানুযায়ী পণ্য রফতানির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তারা উত্তম কৃষিচর্চা মেনেই পণ্য রফতানির জন্য কাজ করছে। বিশ্ববাজারে যাওয়ার জন্য গ্লোবাল সার্টিফিকেশনের জন্য অ্যাসোসিয়েশন কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে আমের জন্য একটি গ্লোবাল সার্টিফিকেশন পেয়েছে। আশা করি আগামীতে গ্লোবাল সার্টিফিকেশনের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক বেশি আম রফতানি হবে। এভাবে সামনের দিনগুলোয় ফলমূল ও সবজি রফতানিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। 

লেখক: উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ফ্রyটস ভেজিটেবলস অ্যvন্ড অ্যvলvইড প্রডvক্টস এক্সপোর্টvর্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফভিএপিইএ)

আরও