চট্টগ্রাম বন্দরে ২০২৩ সালে কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩০ লাখ

চট্টগ্রাম বন্দরে বছর শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ আগেই ৩০ লাখ কনটেইনার পরিবহনের মাইলফলক অর্জন হয়েছে বলে দাবি করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দরে বছর শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ আগেই ৩০ লাখ কনটেইনার পরিবহনের মাইলফলক অর্জন হয়েছে বলে দাবি করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। এ সময় তিনি বন্দরের নতুন টার্মিনালে বিনিয়োগ ও অগ্রগতির হালনাগাদ তথ্যও তুলে ধরেন। 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কনটেইনারসহ সব ধরনের পণ্য পরিবহন হয়েছে ১১ কোটি ৮৫ লাখ টন। বিশ্ববাণিজ্যে মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশ বন্দর খাতে কনটেইনার ও পণ্য পরিবহন গত বছরের তুলনায় কমেনি। 

বে টার্মিনালে বন্দরের অর্থায়নে যে টার্মিনাল নির্মাণ হবে, সেখানে বিনিয়োগের প্রস্তাব পাওয়ার নতুন তথ্য জানান বন্দর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, বন্দরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এ টার্মিনাল নির্মাণের জন্য আবুধাবি পোর্ট গ্রুপ ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। এ বিনিয়োগ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। 

এর আগে বে টার্মিনালে মোট তিনটি টার্মিনাল নির্মাণ করার পরিকল্পনা ছিল। একটি টার্মিনাল শুধু বন্দরের অর্থায়নে করার কথা ছিল। বাকি দুটি টার্মিনালের একটি সিঙ্গাপুরের পিএসএ ইন্টারন্যাশনাল এবং একটি আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ড নির্মাণ ও পরিচালনার সিদ্ধান্ত রয়েছে। 

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ‘পিএসএ ইন্টারন্যাশনাল ও ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনায় আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে চুক্তি হতে পারে। এজন্য কাজ চলছে।’

 এ তিনটি ছাড়াও এখন নতুন করে বে টার্মিনালে তেল-গ্যাস পরিবহনের আরেকটি টার্মিনাল নির্মাণে বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। তেল-গ্যাস টার্মিনালে দেশী-বিদেশী সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ হতে পারে। তবে কারা এ বিনিয়োগ প্রস্তাব দিয়েছে তা প্রকাশ করেননি তিনি। 

বন্দর চেয়ারম্যান লালদিয়ার চরে ডেনমার্কের এপিএম টার্মিনালসের বিনিয়োগ নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এপিএম টার্মিনালসের বিনিয়োগের বিষয়ে আগামী ৩ জানুয়ারি প্লাটফর্ম সভা আহ্বান করা হয়েছে। আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে যাতে চুক্তি করা যায়, সেই লক্ষ্যেই কাজ এগিয়ে চলছে।’

পতেঙ্গা টার্মিনাল পরিচালনায় সৌদি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পর টার্মিনালের অগ্রগতি তুলে ধরেন বন্দর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘৪ ডিসেম্বর রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পর এখন চুক্তি বাস্তবায়নের কাজ চলছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে টার্মিনালটি চালু করবে সৌদি কোম্পানিটি। তবে পুরোদমে চালু করতে দেড়-দুই বছর সময় লাগবে। জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানো-নামানোর গ্যান্ট্রি ক্রেন নির্মাণ ও সংযোজনে এ সময় লাগবে। 

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম এগিয়ে চলছে উল্লেখ করে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, আগামী মার্চ-এপ্রিলে গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পের টার্মিনালের নির্মাণকাজ শুরু হবে। ২০২৪ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ শুরু হবে। এতে সাড়ে ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলারের বিদেশী বিনিয়োগ আসবে।

আরও