সাতক্ষীরায় হলুদের দাম বেড়েছে কেজিতে ৮০ টাকা

সাতক্ষীরায় গুঁড়া হলুদের দাম বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে মসলাজাত পণ্যটির দাম কেজিতে বেড়েছে ৭০-৮০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে হলুদের মোট চাহিদার একটি বড় অংশ ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। দেশটিতে সম্প্রতি সরবরাহ কমার পাশাপাশি শুকনা হলুদের দাম বেড়েছে। এতে কমেছে আমদানি। যার প্রভাব পড়েছে দেশীয় খুচরা বাজারে। গতকাল সাতক্ষীরা শহরের মসলা বাজার ঘুরে জানা গেছে এসব তথ্য।

সুলতানপুর বড় বাজারের হলুদ বিক্রেতা মেসার্স আরব স্টোরে গতকাল গুঁড়া হলুদ খুচরা বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৩০০ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল ২৩০ টাকা। প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী সাইদুর রহমান জানান, পাইকারিতে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। ‌এক-দেড় মাস আগে গুঁড়া হলুদের পাইকারি দর ছিল প্রতি কেজি ১৯০-২০০ টাকা, যা এখন কিনতে হচ্ছে ২৭০-২৮০ টাকায়।

সুলতানপুর বড় বাজারের পাইকারি বিক্রেতা মেসার্স আবির ভাণ্ডারে গতকাল গুঁড়া হলুদ পাইকারিতে বিক্রি হয়েছে ২৭৫ টাকা কেজি, যা এক মাস আগে ছিল ১৯০ টাকা। হঠাৎ দাম বাড়ায় কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী আব্দুল আজিজ জানান, দেশের মোট চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে ১২ মাসই শুকনা হলুদ আমদানি হয়। তবে সম্প্রতি আমদানি কমে যাওয়ায় মসলাজাত পণ্যটির দাম বেড়েছে।

শহরের ইটাগাছা মহল্লার বাসিন্দা কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে সরবরাহ থাকার পরও গুঁড়া হলুদের দাম বেড়েছে। এক মাস আগে যেখানে ২০০-২১০ টাকা কেজি কিনেছি, তা এখন ৩০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।’

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে কৃষিজাত পণ্য আমদানিকারক মেসার্স গনি অ্যান্ড সন্সের ব্যবস্থাপক অশোক কুমার জানান, সম্প্রতি ভারতের বাজারে শুকনা হলুদ সরবরাহ কমেছে। পাশাপাশি দামও বেড়েছে। ফলে দেড়-দুই মাস ধরে শুকনা হলুদ আমদানি কমে গেছে।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘ভারতে শুকনা হলুদের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের দেশীয় বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। হলুদ আমদানিতে এলসি মূল্য বাড়ায় গুঁড়া হলুদের দাম বেড়েছে। তার পরও বাজার স্বাভাবিক রাখতে নজরদারি করা হচ্ছে।’

সাতক্ষীরা জেলা সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, ২০২৩-২৪ মৌসুমে জেলায় হলুদ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা চার হাজার টন। আবাদ হয়েছে ৭০০ হেক্টর জমিতে। হলুদ চাষে সময় বেশি লাগায় কৃষক আগ্রহ হারাচ্ছেন। তার পরও প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চাষ হচ্ছে।

আরও