ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে জিরা আমদানি বেড়েছে

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে জিরা আমদানি বেড়েছে। বাজারে ভালো চাহিদা থাকায় পণ্যটির আমদানি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে জিরা আমদানি বেড়েছে। বাজারে ভালো চাহিদা থাকায় পণ্যটির আমদানি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ভোমরা শুল্কস্টেশনের রাজস্ব বিভাগ থেকে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) এ বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি হয়েছে ৫১১ টন। যার মূল্য ছিল ২১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে এ স্থলবন্দর দিয়ে ১২ কোটি ৮ লাখ টাকা মূল্যের ৩৫০ টন জিরা আমদানি হয়েছিল। এ হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে পণ্যটির আমদানি বেড়েছে ১৬১ টন।

ব্যবসায়ীরা জানান, আমদানি বাড়ায় দেশের বাজারে জিরার দাম কিছুটা কমেছে। গতকাল সাতক্ষীরা সুলতানপুর বড় বাজারের কয়েকটি মসলা বিপণন আড়তে দেখা গেছে, প্রকারভেদে পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

ভোমরা স্থলবন্দরের অন্যতম মসলাপণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান জানান, দেশের বাজারে ভালো চাহিদা থাকায় জিরা আমদানি ২০-২৫ শতাংশ বেড়েছে। আমদানি বাড়ায় বাজারে এর দামও কিছুটা কমেছে।

সুলতানপুর বড় বাজারের মসলা বিক্রি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রউফ স্টোরে গতকাল ভারত থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি জিরা ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তুরস্ক ও সিরিয়া থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি জিরা যথাক্রমে ৮৯০ ও ৮৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে ভারত, তুরস্ক ও সিরিয়া থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি জিরার দাম ছিল যথাক্রমে ৭৫০, ৯৫০ ও ৯০০ টাকা।

সাতক্ষীরা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এসএস আব্দুল্লাহ বলেন, ‘‌জিরার দাম আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। তবে অন্যান্য মসলাপণ্যের দাম যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।’

আরও