সদ্য প্রকাশিত মাধ্যমিক (এসএসসি) পরীক্ষায় রাজধানীর সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ বরাবরের মতো এবারো সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে। প্রতিষ্ঠানটির মালিবাগ, বারিধারা ও মিরপুর শাখার কোনো শিক্ষার্থী এবারো অকৃতকার্য হয়নি। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এ ধারা অব্যাহত রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে উত্তরা শাখা নতুন চালু হওয়ায় এবারের পরীক্ষায় এ শাখা থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় কোনো শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেনি।
জানা গেছে, এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় সাউথ পয়েন্ট থেকে ৪৫২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। যাদের সবাই পাস করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে সর্বমোট ২৯৬ জন। আর বাংলা মাধ্যমে মোট ২৭৬ জন অংশগ্রহণকারীর সবাই পাস করেছে। যার মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫৯ জন। ইংরেজি মাধ্যমের পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৭৬ জন, যেখানে শতভাগ পাসসহ জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩৭ জন শিক্ষার্থী।
অন্যদিকে বারিধারা শাখা থেকে ১৩৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল। যাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০০ জন। আর বাকি সবাই পেয়েছে ‘এ’ গ্রেড। অন্যদিকে শাখাটির বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মোট ১০৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯৫ জনই জিপিএ-৫ পেয়েছে। ইংরেজি ভার্সনের অবস্থা আরো ভালো। এদের বিজ্ঞান শাখার ৩৬ শিক্ষার্থীর সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে। অর্থাৎ শতভাগ জিপিএ-৫। এই শাখায় জিপিএ-৪ দশমিক ৫-এর নিচে কোনো গ্রেড নেই। মালিবাগ শাখার শিক্ষার্থীরাও ভালো করেছে। এদের ২৪৮ অংশগ্রহণকারীর ১৭৬ জনই জিপিএ-৫ পেয়েছে। ইংলিশ ভার্সনে বিজ্ঞান শাখার ৯৭ অংশগ্রহণকারীর ৮৬ জনই জিপিএ-৫ পেয়েছে।
শুধু এসএসসি, এইচএসসিতেই নয় জেএসসি, পিইসি ও বৃত্তিতেও এই প্রতিষ্ঠানের রয়েছে ঈর্ষণীয় ফলাফল। এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের থানাভিত্তিক গ্রেডিং ফলাফলে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা-২০১৯-এ প্রকাশিত থানাভিত্তিক গ্রেডিং ফলাফলে ‘সাউথ পয়েন্ট’
গুলশান থানায় শীর্ষস্থান অর্জন করে।
গত ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত পিইসি, জেএসসি উভয় পরীক্ষায়ই সাউথ পয়েন্ট বিগত বছরগুলোর মতো ভালো ফলাফল করেছে। এই দুই পরীক্ষায় সাউথ পয়েন্টের পরীক্ষার্থী ছিল ১ হাজার ৩৫৪ জন। এর মধ্যে শতভাগ পাসসহ জিপিএ-৫ পায় ৮৫৬ জন। যা মোট পরীক্ষার্থীর শতকরা ৬৩ ভাগ।
ভালো ফলাফলের ধারাবাহিকতা রক্ষার পেছনের কারণ সম্পর্কে সাউথ পয়েন্টের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হামিদা আলী বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের গতানুগতিক পুঁথিগত শিক্ষাদানের পরিবর্তে সৃজনশীল পদ্ধতিতে মূল পাঠ্যের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় অভ্যস্ত করে জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার্জনে সহায়তা করে থাকি। আর এটিই ভালো ফলাফলের মূল কারণ। একই সঙ্গে তিনি সৃজনশীল শিক্ষার সঙ্গে খেলাধুলার সুবিধাসংবলিত উন্মুক্ত ক্যাম্পাসের বিষয়টিকেও অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।