চবির নতুন ভিসির নিকট শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা

সম্প্রতি নিয়োগ পেল বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ক্যাম্পাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি। প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরপুর পাহাড়-বনানীঘেরা আলোচিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্হিয়া আকতার। গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী ক্যাম্পাসে নতুন ভিসির কাছে রয়েছে শিক্ষার্থীদের নানাবিধ প্রত্যাশা। শিক্ষার্থীদের সেসব প্রত্যাশার উল্লেখযোগ্য কিছু ফিচারে তুলে ধরেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুহাম্মাদ রিয়াদ উদ্দিন।

সম্প্রতি নিয়োগ পেল বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ক্যাম্পাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি। প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরপুর পাহাড়-বনানীঘেরা আলোচিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্হিয়া আকতার। গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী ক্যাম্পাসে নতুন ভিসির কাছে রয়েছে শিক্ষার্থীদের নানাবিধ প্রত্যাশা। শিক্ষার্থীদের সেসব প্রত্যাশার উল্লেখযোগ্য কিছু ফিচারে তুলে ধরেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুহাম্মাদ রিয়াদ উদ্দিন।

গ্রন্থাগারের আধুনিকায়ন:

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে রয়েছে কয়েক লক্ষাধিক বই। কিন্তু দুখের বিষয় হলো সেসব বইয়ের অধিকাংশ ধুলোবালিতে আস্তরিত ও আলোহীন অন্ধকারে নিমজ্জিত। গ্রন্থাগারে প্রয়োজনীয় বইগুলো খুঁজে পাওয়া সোনার হরিণের মতো। নেই সুনির্দিষ্ট কোনো ডাটাবেইজ। কথিত সাইবার সেন্টার ত্রুটিপূর্ণ, দুষ্প্রাপ্য সেকশনে যাওয়ার অনুমতি পেতে লাগে কয়েকমাস। বই নিয়ে নেই প্রবেশের সুযোগ। ওয়াশরুমগুলো নোংরা, জীবাণুতে পরিপূর্ণ। বর্তমানে ৯৮% শিক্ষার্থী আদিম আলয়ে গড়া এ গ্রন্থাগার বিমুখ। নতুন ভিসি মহোদয়ের সমীপে বৃহৎ এ গ্রন্থাগারের সংস্কার ও আধুনিকায়ন করে শিক্ষার্থীদের গ্রন্থাগারমুখী করার প্রত্যাশা।

মাফরুহা আমরীন চৌধুরী

রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চবি

সেশন:২০১৯-২০

আবাসন ও খাবারের মান বৃদ্ধিকরণ:

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলোর মাঝে আবাসন সংকট ও নিম্নমানের খাবার অন্যতম। বৈধভাবে হলের সিট বরাদ্দ ও আসন সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে আবাসন সমস্যা নিরসন, হলের ডাইনিং গুলোতে খাবারের মান বৃদ্ধিকরণ, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করা এখন খুবই জরুরি। এছাড়া, বিশেষ করে হলের রিডিংরুম গুলো সংস্কার এবং আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করে যুগোপযোগী ও আধুনিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা। হলগুলোতে গেস্টরুম এবং এক রুমে ৮/১০ জন শিক্ষার্থীদের (গণরুম) অমানবিক জীবনধারণের যে রীতি চলে আসছে বহুদিন ধরে তার অবসান করে নতুন ভিসি শিক্ষার্থীদের এই কাঙ্ক্ষিত সুবিধাগুলো নিশ্চিত করে সুন্দর, সুষ্ঠু এবং পড়াশোনার পরিবেশ ফিরিয়ে এনে শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু বিকাশে ভূমিকা রাখবেন বলে সেই প্রত্যাশা।

শাহজাহান সুজন

বাংলা বিভাগ, চবি

সেশন: ২০২১-২২

সেশনজটের নিরসন: 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পিছনে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হলো সেশনজট। সেশনজটের করালগ্রাস অসহিষ্ণু হয়ে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা ও গবেষণার স্পৃহা হারিয়ে ফেলে। এই সেশনজটের প্রধান কারণ বিভাগে দায়িত্বরত শিক্ষকদের দায়িত্বহীন আচরণ। শিক্ষকরা নিজ ক্লাস বাতিল করে বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও কোচিং সেন্টারে গিয়ে ক্লাস নেওয়া, যথাসময়ে নিজ ক্লাস সিলেবাস শেষ না করা, পরীক্ষা ও পরীক্ষার ফলাফলে বিলম্ব করা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের যথাযথ মনিটরিং- এর অভাব পরিলক্ষিত। নতুন ভিসি মহোদয়ের সমীপে প্রতিটি বিভাগে পর্যাপ্ত মনিটরিং এর মাধ্যমে সেশনজট নিরসনের প্রত্যাশা।

ছাবেকুন নাহার,

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, চবি

সেশন : ২০২০-২১

প্রশাসনিক কার্যক্রমে হয়রানি রোধ:

বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার কাজে প্রশাসনিক ভবনের কার্যক্রম অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসনিক কার্যক্রমে এনালগ ব্যাংকিয়ে ভোগান্তি দূর করা। ব্যাংক ড্রাফট করতে শিক্ষার্থীদের লাইন ধরে দাঁড়িতে থাকতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা। সেটাকে ডিজিটাল ব্যাংক সেবায় উন্নীত করা। মার্কসিট, সার্টিফিকেটসহ যাবতীয় কাজ এখনও সেকালে সিস্টেমে পড়ে আছে, এটাকে আধুনিকায়ন করা এবং প্রশাসনিক কাজে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য কমানো। প্রশাসনিক কাজে শিক্ষার্থীদের সেবাদানকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ নিয়োগ দেওয়া। প্রশাসনিক ভবনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা যেন উপাচার্যের পাওয়ার নিয়ে বসে থাকে  শিক্ষার্থীদের যথাযথ সেবাদানে অপারগতা প্রকাশ করে তারা, সে বিষয়ে নজর রাখা। তারা যেন কোন রকম ফাঁকি দিতে না পারে সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে রাখা। নতুন উপাচার্যের নিকট প্রশাসনিক কাজে শিক্ষার্থী হিসেবে আমার সেই প্রত্যাশা।

মো. শামীম হোসাইন 

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, চবি

সেশন: ২০২১-২২

আরও