‘ঘরে বসে যদি কেউ সাক্ষাত্কার নিতে চায় বা দেশে বসে কেউ লন্ডনের একটি লাইভ কনসার্ট দেখতে চায়, তাহলে তিনি কেবল সেটা দেখতে ও শুনতে পারবেন। এর বাইরে সেখানকার পরিবেশ, মানুষের অভিব্যক্তি বা আনন্দ উল্লাসের বিষয়গুলো দূর থেকে অনুভব করতে পারবেন না। দেখা ও শোনার পাশাপাশি ঘ্রাণ, স্বাদ ও অনুভবের বিষয়গুলো যদি দূর থেকেই পাওয়া যায়, তাহলে কেমন হয়? এটা করতে পারলে মানুষ দূরে থেকেও সরাসরি উপস্থিত থাকার মতো অনুভূতি পাবে। অনেক দূরে অবস্থান করেও মানুষের কাছাকাছি আসাটা সহজ হবে’, বলছিলেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের এমবিএর শিক্ষার্থী গালিব নাকিব রহমান।
এ আইডিয়ার রূপরেখা তৈরি করেছেন তিনি। নাম দিয়েছেন ‘ডেলফি’। এ আইডিয়া দিয়েই নাকিব রহমান ‘উরি আইডিয়া ফেস্ট’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। কয়েক মাস আগে নিজ ক্যাম্পাসে এ ফেস্টের পোস্টার দেখে রেজিস্ট্রেশন করেন তিনি।
‘ডেলফি’ নামের বিষয়ে নাকিব রহমান বলেন, প্রাচীন গ্রিসের একটি মন্দিরের নাম ছিল ডেলফি। প্রচলিত আছে, সেখানে ভবিষ্যদ্বাণী শোনা যেত। আমার কাজটিও যেহেতু ভবিষ্যতের প্রযুক্তি নিয়ে। তাই আমি এ নামটি বেছে নিয়েছি।
গত ৭ নভেম্বর উরি ব্যাংক বাংলাদেশের মহাব্যবস্থাপক ও কান্ট্রি ম্যানেজার জেওং হো চোই আইডিয়া ফেস্টের উদ্বোধন করেন। সে সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের সিওও এবং সিএফও জিন উ লি, রিজিওনাল হেড নিয়াজ উদ্দিন খান ও হিউম্যান ডিভিশনের প্রধান মো. সামসুল আরেফিন। প্রতিযোগিতার জন্য দেশের প্রথম সারির আটটি
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থী অনলাইনের মাধ্যমে বিনা মূল্যে রেজিস্ট্রেশন করেন। তবে আইডিয়া জমা পড়ে ২০৫টি। সেখান থেকে ১০টি আইডিয়া গ্র্যান্ড ফিনালের জন্য বাছাই করা হয়। সেগুলো নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়নকে ১ লাখ টাকা, রানারআপ ৫০ হাজার এবং দ্বিতীয় রানারআপের হাতে ২০ হাজার টাকার চেক, সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়। পাশাপাশি গ্র্যান্ড ফিনালে অংশ নেয়া ১০ শিক্ষার্থীর হাতে সনদ দেয়া হয়। এছাড়া সেরা ১০০ প্রতিযোগী এক বছর বিনা মূল্যে ডেইলি স্টার পত্রিকার সাবস্ক্রিপশন পাবেন। অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল দৈনিক বণিক বার্তা ও দ্য ডেইলি স্টার।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ক্রেতা পর্যন্ত পৌঁছানোর একটা বিজনেস আইডিয়া দিয়ে ‘উরি আইডিয়া ফেস্ট’ প্রতিযোগিতায় রানারআপ হয়েছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাগর মজুমদার। তিনি বলেন, আমার আইডিয়াটা ছিল ওয়ান স্টপ সলিউশন ফর এসএমই। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সাধারণত নিজেরা পণ্য বিক্রি করতে পারেন না। আমার এ ‘ই-বাজার’ প্লাটফর্মটি ব্যবসায়ীদের মিডলম্যান হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নিজেরাই ক্রেতার কাছে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।
শিশু, কিশোর ও নারীদের সচেতনতামূলক গেমের আইডিয়া দিয়ে প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সানজানা হক। তিনি বলেন, আমি একটা অ্যান্ড্রয়েড গেমের আইডিয়া দিয়েছিলাম। শিশু বা কিশোরীরা অনেক সময় যৌন হেনস্তার শিকার হয়, কিন্তু তারা সেগুলো বুঝতে পারে না। এমন