কক্সবাজারে ডাকাতি প্রতিরোধে অভিযানে সেনা কর্মকর্তা নিহত

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ডাকাতের ছুরিকাঘাতে এক সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়ায় গতকাল ভোরে এ ঘটনা ঘটে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সূত্র জানায়, ডাকাতির খবর পেয়ে চকরিয়া সেনা ক্যাম্প থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযানে যায়। ভোর ৪টায় মাইজপাড়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সাত-আট

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ডাকাতের ছুরিকাঘাতে এক সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়ায় গতকাল ভোরে এ ঘটনা ঘটে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সূত্র জানায়, ডাকাতির খবর পেয়ে চকরিয়া সেনা ক্যাম্প থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযানে যায়। ভোর ৪টায় মাইজপাড়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সাত-আট সদস্যের একটি ডাকাত দল সেনা টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার নির্জন (২৩) ডাকাত দলের কয়েকজনকে তাড়া করেন। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা তানজিম সারোয়ার নির্জনের ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করে। এতে তার রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার নির্জনকে উদ্ধার করে মালুমঘাট মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার নির্জনের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল। তিনি পাবনা ক্যাডেট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষে ৮২তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সঙ্গে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি থেকে ২০২২ সালের ৮ জুন আর্মি সার্ভিস কোরে (এএসসি) কমিশন লাভ করেন।

ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলে আইএসপিআর জানিয়েছে। এছাড়া একটি দেশীয় বন্দুক, ছয় রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে বণিক বার্তার টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার নির্জনের বাড়িতে চলছে শোক। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে নিহত তানজিমের বাবা সারোয়ার জাহান মুষড়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, ‘সে-ই ছিল বাড়ির একমাত্র উপার্জন করার লোক। এ রকম মৃত্যু যেন আর কারো না হয়। আর যেন কোনো বাবাকে এভাবে আর্তনাদ করতে না হয়। আমি আমার ছেলে হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার চাই। আমি এই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার ও ফাঁসি চাই।’

চট্টগ্রাম থেকে সামরিক একটি হেলিকপ্টারে তানজিমের মরদেহ গতকাল বেলা সাড়ে ৩টায় টাঙ্গাইল হেলিপ্যাডে অবতরণ করে। পরে 

সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় করের বেতকা বাড়িতে। বাদ আসর বোয়ালী জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে বোয়ালী সামাজিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতুসহ সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

আরও