চট্টগ্রামের পাঁচ সংসদীয় আসনের ১২ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল

চট্টগ্রামে ভোটার এলাকার মোট ভোটারের এক শতাংশের স্বাক্ষর সম্বলিত প্রমাণপত্র জালিয়াতির অভিযোগে ৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ১২ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে বাতিল হওয়া প্রার্থীরা মনোনয়ন বৈধতার জন্য আপিল করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন এ নির্বাচনী কর্মকর্তা

চট্টগ্রামে ভোটার এলাকার মোট ভোটারের এক শতাংশের স্বাক্ষর সম্বলিত প্রমাণপত্র জালিয়াতির অভিযোগে আটজন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ১২ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে বাতিল হওয়া প্রার্থীরা মনোনয়ন বৈধতার জন্য আপিল করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন এ নির্বাচনী কর্মকর্তা।

চট্টগ্রামে ১৬ আসনে মোট ১৫১ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। এছাড়া সীতাকুণ্ডের বর্তমান সংসদ সদস্য দিদারুল আলম আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র জমা দিলেও দলীয় মনোনয়নের কোনো প্রমাণ দেখাতে না পারায় বাতিল করা হয়েছে।

আজ রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশন কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রথম দফায় যাচাই-বাছাইয়ের সময় এসব মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।

জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম-১ ও ২ আসনের মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে চট্টগ্রাম-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল হয়।৷ এছাড়া চট্টগ্রাম-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম নওশের আলী, মোহাম্মদ শাহজাহান ও রিয়াজ উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল হয়। সবার মনোনয়ন সঙ্গে জমা দেয়া এক শতাংশ ভোটারের তথ্যে গরমিল পাওয়া যায়। একই অভিযোগে চট্টগ্রাম-৩ আসনের নিজাম উদ্দিন নাছির ও আমিন রসূল নামে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নও বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

অন্যদিকে, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে চট্টগ্রাম-৪ আসনের চার প্রার্থী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, মোহম্মদ ইমরান, দিদারুল আলম, আখতার হোসেনের মনোনয়ন বাতিল হয়। চট্টগ্রাম-৫ আসনের দুই প্রার্থী নাছির হায়দার চৌধুরী বাবুল ও মোহাম্মদ শাহজাহানের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। তাদের বিরুদ্ধেও ভোটার সমর্থকদের ভুল তথ্য দেয়া প্রমাণ পাওয়া গেছে।

প্রথম দফা যাচাই-বাছাই শেষে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটার সমর্থকদের তালিকায় গরমিল থাকায় মনোনয়নগুলো বাতিল করা হয়। বাতিল হলেও প্রার্থীদের আপিলের সুযোগ রয়েছে।’

তিনি আরো জানান, কয়েকজন প্রার্থীর নথিপত্র পর্যাপ্ত না থাকায় তাদের সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে।

আরও