মিরসরাইয়ে দখল হয়ে যাচ্ছে ডাকঘরের জমি

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার সাতটি ডাকঘর রয়েছে। এর মধ্যে তিনটির জমি দখল হয়ে গেছে।

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার সাতটি ডাকঘর রয়েছে। এর মধ্যে তিনটির জমি দখল হয়ে গেছে। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে বাজার ও দোকান। মাঝে উচ্ছেদ প্রক্রিয়া চললেও আবার নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় দখলমুক্ত করা যাচ্ছে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

বিভাগীয় ডাকঘর সূত্রে জানা গেছে, মিরসরাইয়ের ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় সাতটি ডাকঘর রয়েছে। এসব ডাকঘরের ৩২টি উপ-ডাকঘরও রয়েছে। সাতটি ডাকঘরের মধ্যে ছয়টির নিজস্ব ভবন রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বিশ্বদরবার ডাকঘরটি নিজস্ব জমিতে। এছাড়া আবুতোরাব ডাকঘরটি ভাড়া কার্যালয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে। অন্য পাঁচটি ডাকঘরের নিজস্ব জমি রয়েছে। এর মধ্যে করেরহাট ডাকঘরে জমি রয়েছে ১৮ শতাংশ। যার তিন শতক দখল হয়েছিল। কয়েক বছর আগে দুই শতক জমি উদ্ধার করা গেলেও এখনো এক শতক বেদখল রয়েছে বলে জানিয়েছেন করেরহাট পোস্ট মাস্টার মো. নওয়াজ শরীফ।

সরজমিনে করেরহাট ডাকঘরে গিয়ে দেখা যায়, ছোট একটি ডাকঘরে চলছে কার্যক্রম। পাশে একটি পরিত্যক্ত ভবন পড়ে রয়েছে। ভবনের পাশে ডাকঘরের জমি দখল করে গড়ে উঠেছে বাজার।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এক পোস্ট কর্মকর্তা জানান, দখলমুক্ত করতে গেলে শুরু হয় হামলা। প্রভাবশালীরা দখল করে রাখায় উচ্ছেদ করতে কষ্ট হচ্ছে।

জোরারগঞ্জ ডাকঘরের মাস্টার মো. মোতালেব জানান, তাদের ডাকঘরে ১৩ শতক জমি রয়েছে। তবে ১৩ শতক জমির মধ্যে তাদের দখলে রয়েছে ১১ শতক। এখনো দুই শতক জমি বেদখল রয়েছে। কিছু দিন আগে জমি দখলমুক্ত করতে প্রক্রিয়া শুরু হলেও আবার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।

এদিকে মিরসরাই বিভাগীয় ডাকঘরে গিয়ে দেখা যায়, তাদের অনেক জমি বেদখল। তবে কী পরিমাণ জমি মিরসরাই ডাকঘরের আওতায় রয়েছে কিংবা কতটুকু জমি বেদখল হয়েছে তা সঠিক জানা যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরসরাই ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের ডাকঘরটি আগে এখানে ছিল না। আগের জমিটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ নিয়ে গিয়ে আমাদের মিরসরাই সদরে জায়গা দিয়েছে। তাই কী পরিমাণ জমি তারা ডাকঘরকে দিয়েছে, তার সঠিক তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে আমাদের কিছু জমি দখল হয়েছে।’

তবে কী পরিমাণ হয়েছে তার সঠিক তথ্য দিতে পারেননি তিনি। নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, মিরসরাই ডাকঘরের প্রায় ১০ শতাংশ জমি দখল হতে পারে।

আরও