ভারত থেকে ২ লাখ ৩১ হাজার পিস ডিম এল বেনাপোল বন্দরে

দেশের বাজারে মূল্যবৃদ্ধি রোধে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে এল ২ লাখ ৩১ হাজার ৪০ পিস (১৩ হাজার ৯১০ কেজি) ভারতীয় মুরগির ডিম।

দেশের বাজারে মূল্যবৃদ্ধি রোধে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে এল ২ লাখ ৩১ হাজার ৪০ পিস (১৩ হাজার ৯১০ কেজি) ভারতীয় মুরগির ডিম। এর আগে প্রথম ৬১ হাজার ৯৫০ পিস মুরগির ডিম আমদানি করা হয় গত বছরের ৫ নভেম্বর।

বেনাপোল কাস্টমসের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান গতকাল বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরীক্ষণ শেষ করে ডিমগুলো যত দ্রুত সম্ভব খালাস দেয়া হবে বলে তিনি জানান।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, আমদানি করা এসব ডিমের ইনভয়েস মূল্য ১১ হাজার ২৭২ ডলার। প্রতি ডজন ডিমের মূল্য দশমিক ৫৬ ডলার। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশী টাকায় প্রতিটি ডিমের মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৫ টাকা। এছাড়া প্রতি ডজন ডিমের নির্ধারিত মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বাবদ ১ টাকা ৬৬ পয়সা যোগ হবে। সব মিলিয়ে প্রতিটি ডিমের আমদানি মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৭ থেকে সাড়ে ৭ টাকার মতো।

ঢাকার হাইড্রো ল্যান্ড সলুশান নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই চালানে ১৩ হাজার ৯১০ কেজি (২ লাখ ৩১ হাজার ৪০ পিস) ডিম আমদানি করেছে। এসব ডিম রফতানি করেছে ভারতের শ্রী লক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি ছাড় করার জন্য বেনাপোল কাস্টমস হাউজে কাগজপত্র দাখিল করেছেন স্থানীয় সিএন্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজ।

বেনাপোলের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডাক্তার বিনয় কৃষ্ণ মণ্ডল ডিমের পরীক্ষণ সম্পর্কে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের কাগজপত্র পেয়েছি। এখানে ডিম পরীক্ষার কোনো যন্ত্রপাতি নেই। ভারতীয় সার্টিফিকেটের ওপর ভিত্তি করে এখান থেকে ডিমের ক্লিয়ারেন্স দেয়া হবে।’ তাছাড়া দৃশ্যমান কোনো সমস্যা থাকলে সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।’

বেনাপোল কাস্টম হাউজের উপকমিশনার ওথেলো চৌধুরী বলেন, ‘ডিমের চালানটি সোমবার রাতে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। ডিম আমদানির ওপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমসের ভ্যাট-ট্যাক্স রয়েছে। সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদনের পর পরীক্ষণ করা হবে। এরপর খালাস দেয়া হবে।’

আরও