ডেঙ্গু জ্বরে একদিনে পাঁচজনের মৃত্যু

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আক্রান্ত হয়েছে আরো ৯২৭ জন। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছে ১৮২ জন। তাদের মধ্যে ৮৯ জন পুরুষ ও ৯৩ জন নারী। মোট আক্রান্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৩৬৫ জন। দেশে এক বছরে তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখল বাংলাদেশ। এর আগে ২০২৩ সালে ১ হাজার ৭০৫ জন মারা গিয়েছিল ডেঙ্গুতে, যা এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু। তার আগে ২০২২ সালে ২৮১ জন ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল এ রোগে।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে দুজন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় একজন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে দুজন মারা গেছে।

এ বছর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৭ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বরিশালে ২০, চট্টগ্রামে ২২, খুলনায় ১০, ঢাকায় ছয় ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে। এ বছর রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।

নতুনদের নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ৩৬৫ জনে। গত একদিনে ভর্তি রোগীর মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪৪১, ঢাকা বিভাগে ১৬৪, চট্টগ্রামে ৪৯, বরিশালে ৫৫, খুলনায় ৭৬, ময়মনসিংহে ৩৮, রাজশাহীতে, রংপুরে ৩০, বরিশালে ১০২ ও সিলেট বিভাগে নয় রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে ৩ হাজার ৬৭৯ জন রোগী।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে সেপ্টেম্বরে। ওই মাসে ১৯ হাজার ২৪১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়, এ সময় ৮৩ জনের মৃত্যু হয়। অক্টোবরের প্রথম চারদিনে মারা গেল ১৯ জন।

এছাড়া জানুয়ারিতে হাসপাতালে ভর্তি হয় ১ হাজার ৫৫ জন, মারা যায় ১৪ জন; ফেব্রুয়ারিতে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৩৩৯ জন, মারা যায় তিনজন; মার্চে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৩১১ জন, মারা যায় পাঁচজন; এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৫০৪ জন, মারা যায় দুজন; মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৬৪৪ জন, মারা যান ১২ জন; জুনে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৭৯৮ জন, মারা যায় আটজন; জুলাইয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ২ হাজার ৬৬৯ জন, মারা যায় ১২ জন; আগস্টে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৬ হাজার ৫২১ জন, মারা যায় ২৭ জন।

আরও