হাসপাতাল ছাড়লেও স্বাভাবিক জীবন নিয়ে সংশয়ে ফারুক

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হন ভ্যানচালক মো. ওমর ফারুক (৩৩)। ২৬ দিন রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হন ভ্যানচালক মো. ওমর ফারুক (৩৩)। ২৬ দিন রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আপাতত বাড়ি ফেরার অনুমতি পেলেও স্বাভাবিক জীবন নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন এ দিনমজুর।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা কোটা সংস্কার আন্দোলনে ১৮ জুলাই সারা দেশের মতো রংপুরও ছিল উত্তাল। সেদিন ভ্যান নিয়ে বের হন রংপুর সিটি করপোরেশনের শেখ পাড়ার বাসিন্দা ওমর ফারুক। বিকালের দিকে ভ্যানে ত্রুটি দেখা দেয়। মডার্ন মোড়ে মেকারের দোকানে ভ্যানের কাজ করাতে যাচ্ছিলেন ওমর ফারুক। কিছু বুঝে ওঠার আগে একটি বুলেট নাভির নিচ দিয়ে ঢুকে পেছন দিয়ে বের হয়ে যায়। তার রক্তাক্ত দেহ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। যখন জ্ঞান ফেরে তখন থেকে তার ঠিকানা হয় রমেক হাসপাতালে।

তার স্ত্রী জোহরা বেগম বলেন, ‘দুই সন্তানসহ পাঁচ সদস্যের পরিবার ওমর ফারুকের আয়ে চলে। অভাব-অনটন থাকলেও ১৮ জুলাইয়ের আগ পর্যন্ত আমরা ভালোই ছিলাম। বড় ছেলে জুনায়েত হাসান কিন্ডারগার্টেন স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে পড়ে। মেয়ে ফাওমিদার বয়স দুই বছর। চিকিৎসকরা তিন মাস পর আবার অপারেশন করার কথা বলেছেন।’

ফারুকের দীর্ঘদিনের চিকিৎসার খরচ জোগাতে কোনো কমতি রাখেননি স্বজনরা। ধারদেনাও হয়েছে অনেক। আবার দ্বিতীয় দফায় অপারেশনের খরচ কীভাকে আসবে তা নিয়ে চিন্তিত তার পরিবার। চিকিৎসা খরচের চেয়ে চিন্তা বেশি স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন কিনা। আবারো কি হাল ধরতে পারবেন পরিবারের?

জোহরা বেগম বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন ওমর ফারুক। অবশ্য ছাত্ররাই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন।’

আরও