মিয়ানমারে সহিংসতায় টেকনাফ স্থলবন্দরে বাণিজ্য কমেছে

কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে এক সপ্তাহ ধরে আমদানি-রফতানি কমেছে। মিয়ানমারে চলমান সহিংসতার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে আজ মিয়ানমার থেকে শুঁটকি, আচার, নারকেল, মাছসহ অন্যান্য পণ্য আসার কথা রয়েছে। জানা গেছে, মিয়ানমারের রাখাইনের মংডু শহরের আশপাশের এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। পাশাপাশি

কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে এক সপ্তাহ ধরে আমদানি-রফতানি কমেছে। মিয়ানমারে চলমান সহিংসতার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে আজ মিয়ানমার থেকে শুঁটকি, আচার, নারকেল, মাছসহ অন্যান্য পণ্য আসার কথা রয়েছে। জানা গেছে, মিয়ানমারের রাখাইনের মংডু শহরের আশপাশের এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। পাশাপাশি আরাকান আর্মির যোদ্ধারা রাখাইনের রাজধানী সিথুয়ের প্রবেশমুখের পোন্নাগিউন শহরও দখলে নিয়েছে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে লড়াইয়ের তীব্রতা বেড়েছে বলে জানিয়েছে সীমান্তের একাধিক সূত্র। বেশকিছু দিন কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে দুই পক্ষের গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপ চলছে। এর মধ্যে জান্তা বাহিনী আকাশ ও জলপথেও বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে আক্রমণ চালাচ্ছে। দুই পক্ষের ছোড়া গোলার বিকট শব্দে মাঝেমধ্যে এপারে কেঁপে উঠছে।

মিয়ানমারে সংঘাতের আঁচ লেগেছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এবং কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তে। এ অবস্থায় সীমান্তঘেষাঁ বাসিন্দারা খেতখামার নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন বলে জানিয়েছেন হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে প্রায় সময় গোলাগুলি হচ্ছে। এখন অসুবিধায় পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। তবে গোলাগুলি হচ্ছে মিয়ানমারের অদূরে।’

টেকনাফ স্থলবন্দরে সপ্তাহ ধরে কিছুটা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। বন্দরে আমদানি-রফতানি কমেছে। মিয়ানমারের বন্দর থেকে পণ্য আমদানি করা যাচ্ছে না। অনেক ব্যবসায়ীর আমদানি করা পণ্য আটকে আছে।

টেকনাফ স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক ফারুক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ওমর ফারুক বলেন, ‘আজ থেকে পণ্য আসবে বন্দরে। এসব পণ্যের মধ্যে শুঁটকি, আচার, নারিকেল, কাঁচা মাছ ও কাঠ রয়েছে।’

বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, ফেব্রুয়ারিতে আমদানি খাতে ৩২৫টি বিল অব এন্ট্রির বিপরীতে রাজস্ব আয় হয়েছে ৪৩ কোটি ৬৮ লাখ ৩২ হাজার টাকা। আর রফতানি খাতে আয় হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। 

টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট টেকনাফ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যের চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সীমান্ত বাণিজ্য কমে গেছে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে মিয়ানমারেও বাংলাদেশী পণ্যের রফতানি কিছুটা বন্ধ আছে। এতে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।’

আরও