মুন্সিগঞ্জে ধলেশ্বরী তীরে উচ্ছেদ অভিযান

মুন্সিগঞ্জে ধলেশ্বরী নদীর তীর দখল করে গড়ে ওঠা অনুমোদনহীন স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএ।

মুন্সিগঞ্জে ধলেশ্বরী নদীর তীর দখল করে গড়ে ওঠা অনুমোদনহীন স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএ। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় ধলেশ্বরীর প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান। চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। শুরুতেই স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকার ১৮টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীর তীর দখলমুক্ত করা হয়।

বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে নদী দখলমুক্ত রাখতে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে মুন্সিগঞ্জে ধলেশ্বরীর তীর দখল করে গড়ে ওঠা প্রায় ৭৬টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের লক্ষ্যে শুরু হয়েছে এ অভিযান। পর্যায়ক্রমে নদীর তীর দখল করে গড়ে ওঠা সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। 

অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দেশের একটি প্রভাবশালী মহল নদীর তীর দখল করে নিচ্ছে। গড়ে তুলছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ছোট-বড় নানা ধরনের স্থাপনা। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে নানা ধরনের বাধা-বিপত্তিতে পড়তে হয়। অবৈধ দখলদাররা নদীকে পৈত্রিক সম্পত্তি কিংবা ক্রয়কৃত সম্পত্তি হিসেবে দাবি করে। এছাড়া উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার কাগজ তৈরি করে রাখে তারা। পরবর্তী সময়ে এসব দেখিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেয় তারা। তবে যেহেতু এসব কাগজ যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজন থাকে তাই অভিযানে ধীরগতি চলে আসে। তবু অবৈধ দখলদারদের বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করে যাচ্ছি উচ্চ আদালতের নির্দেশে।’

বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, যত বাধাই আসুক নদীর তীর দখলমুক্ত করতে সব ধরনের ঝুঁকি নিতে আমরা রাজি আছি। যেহেতু প্রথম দিনের অভিযানে অনেকে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার দোহাই দিয়ে বাধা দিয়েছেন, তাই এসব কাগজ যাচাই-বাছাই শেষে ভুল প্রমাণিত হলে সব ধরনের প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করা হবে। ’

আরও