শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাও ও স্মারকলিপি পেশ

সাতদিনের মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি বোর্ড পুনর্গঠন করার দাবি

গার্মেন্টস শ্রমিকদের নতুন মজুরি নির্ধারণে বোর্ড পুনর্গঠনসহ ৮ দফা দাবিতে শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাও ও স্মারকলিপি পেশ করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ভুক্ত সাতটি শ্রমিক সংগঠন। স্মারকলিপিতে ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নের গুরুত্ব ও যৌক্তিকতা তুলে ধরে নেতারা।

গার্মেন্টস শ্রমিকদের নতুন মজুরি নির্ধারণে বোর্ড পুনর্গঠনসহ ৮ দফা দাবিতে শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাও ও স্মারকলিপি পেশ করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ভুক্ত সাতটি শ্রমিক সংগঠন। স্মারকলিপিতে ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নের গুরুত্ব ও যৌক্তিকতা তুলে ধরে নেতারা।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকাল ১১ ঘটিকার সময় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঘেরাও পূর্ব শ্রমিক সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও বর্তমান বাজারের মূল্যস্ফীতি-মুদ্রাস্ফীতির চাপ শ্রমিকের জীবনে এনেছে বিরাট দুর্ভোগ। অব্যাহতভাবে দ্রব্যমূল্য হু হু করে বেড়ে জনজীবনে এ সংকট তৈরি করেছে। পোশাক শ্রমিকসহ মেহনতি মানুষের এ সংকটকালে মজুরি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুর রহমান।  

বক্তব্য রাখেন পরিষদের মহাসচিব সালাউদ্দিন স্বপন, ভাইস চেয়ারম্যান এম, দেলোয়ার হোসেন, মাহতাব উদ্দিন সহিদ, সুলতানা বেগম, যুগ্ম মহাসচিব বজলুর রহমান বাবলু, জনাব মাহবুব মোর্শেদ নাসিম, ফিরোজা বেগম, তাহমিনা রহমান, মো. ইলিয়াস হোসেন, আ. আজিজ, মোবারক খান, মোসা. রুমা প্রমুখ। পরিষদ আগামী সাতদিনের মধ্যে মজুরি বোর্ড পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় পোশাক শিল্পে ধর্মঘটসহ ধারাবাহিক মাঠ পর্যায়ের আন্দোলন আহবানের মত কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, দেশের গার্মেন্টস শ্রমিকরা ভয়াবহ করোনা মহামারিতে দেশের অর্থনীতি চাকা সচল রাখতে প্রতিটি শিল্পাঞ্চলে উৎপাদন বজায় রেখে যে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে। অথচ তাদের জীবন-যাত্রার ব্যয় অব্যাহত রাখতে নিম্নতম মজুরি নির্ধারণের লক্ষ্যে বোর্ড পুনর্গঠনে মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘসূত্রিতা শ্রমিক সমাজকে চরমভাবে ব্যথিত করেছে। দেশে মূল্যস্ফীতি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধিতে শ্রমিক তার পরিবার পরিজন নিয়ে ভয়াবহ সংকটে নিপতিত হয়েছে।

আটটি দাবির মধ্যে রয়েছে ৩০ দিনের মধ্যে মজুরি বোর্ড গঠন করে শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করা, নতুন মজুরি ঘোষণার আগে ৬০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা চালু, সোয়েটার ও পিস রেটে কর্মরত শ্রমিকদের কাজের আগে মজুরি নির্ধারণ, বাধ্যতামূলক অংশীদারিত্বমূলক প্রভিডেন্ট ফান্ড চালু করা ও মূল মজুরির ১০ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দেয়া, অবিলম্বে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে দ্রব্যমূল্য কমাতে হবে, শ্রমিক ও শ্রমিক শিল্প স্বার্থে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম কমাতে হবে, শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না এবং রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা। 

আরও