স্থবিরতা কাটিয়ে উঠছে রাবি শুরু হচ্ছে ক্লাস-পরীক্ষা

ঈদুল আজহার ছুটির পর গত ২৮ জুন থেকে কার্যত বন্ধ রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কার্যক্রম।

ঈদুল আজহার ছুটির পর গত ২৮ জুন থেকে কার্যত বন্ধ রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কার্যক্রম। পেনশন নীতিমালা বাতিল দাবিতে শিক্ষকদের কর্মবিরতির সঙ্গে যুক্ত হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। ১৭ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়। গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উপাচার্যসহ একে একে দায়িত্ব ছাড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন শিক্ষকরা। এতে ভেঙে পড়ে প্রশাসনিক কাঠামো। তবে সব স্থবিরতা কাটিয়ে আজ শুরু হচ্ছে ক্লাস-পরীক্ষা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার উপাচার্য পদে অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীবকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর পর থেকেই কিছুটা স্বস্তি এসেছে ক্যাম্পাসে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদগুলোতেও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ডিন কাউন্সিলের সভায় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও হিসাব পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় ড. সা’দ আহমেদকে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পান আবু হেনা মো. মোস্তফা কামাল। এ সভাতেই আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর ঘোষণা আসে।

এ বিষয়ে নবনিযুক্ত জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন মজুমদার বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা সংকট নিরসনে কাজ শুরু করেছি। উপাচার্যসহ প্রশাসনিক সব কর্মকর্তাকে নিয়ে মিটিং ডাকা হয়েছে। আমরা ধীরে ধীরে সংকটগুলো নিয়ে কাজ শুরু করব। তবে সেশনজটের বিষয়ে ডিপার্টমেন্টগুলো নিজস্ব উদ্যোগে ক্লাস-পরীক্ষা নিয়মিত চালু রেখে দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। আমরা প্রশাসনিকভাবে এ বিষয়ে সার্বিক পর্যবেক্ষণে রাখব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাদমান সাকিব বলেন, ‘আমরা চাচ্ছিলাম দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হোক। যেহেতু উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন তৎপর রয়েছে, তাই পুরোদমে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হওয়া প্রয়োজন। আশা করছি নতুন উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমকে গতিশীল করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘নতুন উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে এবং রেজিস্ট্রার ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকও নিযুক্ত করা হয়েছে। আমি মনে করি এখন ক্লাস-পরীক্ষা পুরোদমে চালু করা দরকার।’

আরও