পঞ্চগড়ে নিখোঁজ ইউনিয়ন আনসার কমান্ডারের মরদেহ উদ্ধার

পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায় তালমা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া মোস্তাফিজুর রহমান (২৬) এর মরদেহ নিখোঁজ হওয়ার ৪২ ঘন্টা পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকাল ৮টায় উপজেলার পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের গোঁফাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন তালমা নদীর পাড়ে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে স্বজনেরা গিয়ে মোস্তাফিজুরের লাশ শনাক্ত করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায় তালমা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া মোস্তাফিজুর রহমানের (২৬) মরদেহ নিখোঁজ হওয়ার ৪২ ঘণ্টা পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকাল ৮টায় উপজেলার পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের গোঁফাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন তালমা নদীর পাড়ে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা গিয়ে মোস্তাফিজুরের লাশ শনাক্ত করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নিহত মোস্তাফিজুরের বাড়ি পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের ফকিরপাড়া এলাকায়। তিনি ওই এলাকার কবীর হোসেনের ছেলে। রাজমিস্ত্রির কাজের পাশাপাশি পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের ইউনিয়ন আনসার কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন মোস্তাফিজুর। তার দুই বছর বয়সী সন্তান রয়েছে।

এর আগে গত রোববার (৭ জুলাই) দুপুর ২টায় উপজেলার পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের ফকিরপাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় তালমা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে মোস্তাফিজুর নিখোঁজ হন।

পরিবারের বরাত দিয়ে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল ইমরান খান বলেন, গত রোববার দুপুরে স্থানীয় যুবক রানাকে (২৩) সঙ্গে নিয়ে বাড়ির পাশের তালমা নদীতে মাছ ধরতে যান মোস্তাফিজুর রহমান। মাছ ধরার এক পর্যায়ে ফিকা জাল হাতে নিয়ে নদী পার হয়ে অন্য পাড়ে যেতে শুরু করেন দুজনে। তবে নদীতে পানি  বেশি থাকায় রানা ফিরে এলেও অপর পাড়ের কাছাকাছি চলে যান মোস্তাফিজুর। এক পর্যায়ে নদীর পানিতে তলিয়ে যান তিনি। পরে কিছুদূরে গিয়ে তাকে হাত উচিয়ে থাকতে দেখা গেলেও পরবর্তীতে আর তার দেখা মেলেনি। পরে স্থানীয় যুবকরা নদীতে নেমে উদ্ধারের চেষ্টা করলেও পানির স্রোত বেশি থাকায় নদীতে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি।

এরপর পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস ও সদর থানায় খবর দেয়া হয়। তবে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি না থাকায় তারা উদ্ধার কাজে অংশ নিতে পারেনি। পরে রংপুর থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যের একটি ডুবুরি দল গতকাল সোমবার (৮ জুলাই) সকাল সাতটা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। বেলা পৌনে একটা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মোস্তাফিজুরকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে তারা উদ্ধার অভিযান স্থগিত করে চলে যায়।

তবে স্থানীয় পাথরশ্রমিকরা নদীতে নেমে গতকাল রাত পর্যন্ত নদীর বিভিন্ন স্থানে মোস্তাফিজুরকে খোঁজাখুঁজি করেন। মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে গোঁফাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে তালমা নদীতে একটি মরদেহ ভেসে যেতে দেখেন স্থানীয় কয়েকজন। পরে তারা মরদেহটি উদ্ধার করে নদীর বালুচরে রাখেন। পরিবারের সদস্যরা গিয়ে মরদেহটি মোস্তাফিজুরের বলে নিশ্চিত করে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান। মঙ্গলবার দুপুরে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় বলেন, নদীতে মাছ ধরতে নেমে নিখোঁজ তরুণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও