কক্সবাজার-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম

পাঁচ বছরের ব্যবধানে স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই আয় বেড়েছে কয়েকগুণ

পাঁচ বছরে আগে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম ও তার স্ত্রী শাহেদা বেগমের নামে মাত্র পাঁচ লাখ আট হাজার টাকার কৃষিজমি ছিল। কিন্তু এ কয়েক বছরের ব্যবধানে নিজের নামে ১৫০ দশমিক ৩৪ শতক জমির মূল্য ৬৩ লাখ ১৫ হাজার ৬২৫ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৬১৯ শতক জমির মূল্য দেখিয়েছেন ৫০ লাখ ৩ হাজার ৩২০ টাকা

পাঁচ বছরে আগে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম ও তার স্ত্রী শাহেদা বেগমের নামে মাত্র পাঁচ লাখ আট হাজার টাকার কৃষিজমি ছিল। কিন্তু এ কয়েক বছরের ব্যবধানে নিজের নামে ১৫০ দশমিক ৩৪ শতক জমির মূল্য ৬৩ লাখ ১৫ হাজার ৬২৫ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৬১৯ শতক জমির মূল্য দেখিয়েছেন ৫০ লাখ ৩ হাজার ৩২০ টাকা।

গত নির্বাচনে জাফর আলমের ওপর নির্ভরশীলদের কোনো আয় না থাকলেও ২০২৩ সালে বার্ষিক ২১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা আয় করেন তার আত্মীয়-স্বজনেরা।

২০১৮ সালে স্ত্রী শাহেদার নামে ১০ ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ টাকা হলেও নিজের নামে কোনো স্বর্ণ ছিল না বলে জানান জাফর আলম। তবে এবার ২০২৩ সালে নিজের নামে ১০ ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ টাকা দেখালেও স্ত্রীর নামে ৩০ ভরি ও নির্ভরশীলদের নামে আরো ৩০ ভরিসহ মোট ৬০ ভরি স্বর্ণের কোনো দাম দেখাননি। তার দাবি, এসব স্বর্ণ বিয়ের সময়ে পাওয়া।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ আসনের এ স্বতন্ত্র প্রার্থীর জমা দেয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এ আসনে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হন জাফর আলম। তবে ২০২৪ সালের নির্বাচনে আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়ায় তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।

২০১৮ সালের ও ২০২৩ সালে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম এবার আয় দেখিয়েছেন এক কোটি ২৭ লাখ ১৪ হাজার ৭৯ টাকা। এর মধ্যে কৃষিতে আয় ৪৯ লাখ ২৩ হাজার টাকা। পাঁচ বছর আগে কৃষি খাতে আয় ছিল ১৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ কৃষিতে পাঁচ বছরের ব্যবধানে আয় বেড়েছে সাড়ে তিনগুণ বেশি। গতবার নিজের একটি গাড়ির মূল্য ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেখালেও এবারের হলফনামায় দুটি গাড়ির দাম দেখিয়েছেন এক কোটি ২৩ লাখ টাকা। এদিকে গত হলফনামায় যৌথ মালিকানায় নিজের কোনো আয় উল্লেখ না করলেও ২০২৩ সালে দেয়া হলফনামায় এ খাতে আয় দেখিয়েছেন এক কোটি ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

এদিকে জাফর আলমের নিজের নামে ১৫ লাখ টাকার বাড়ি, ১০ লাখ ১০ হাজার টাকার মূল্যের মৎস্য খামার, এক কোটি ৮৬ লাখ ৭৪ হাজার ৬০০ টাকার একটি নির্মাণাধীন ভবন, স্ত্রীর নামে ১৮ লাখ টাকার এফডিআর আছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। কিন্তু ২০১৮ সালের হলফনামায় এসবের কিছুই ছিল না। এমনকি গতবার ব্যাংকে কোনো দেনা না থাকলেও এবার ইসলামী ব্যাংকে ৭০ লাখ টাকার ঋণ দেখানো হয়েছে।

আরও