সীমিত পরিসরে কাপ্তাই হ্রদের জলকপাট খোলার সিদ্ধান্ত

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতার কাছাকাছি এসে পৌঁছেছে।

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতার কাছাকাছি এসে পৌঁছেছে। এজন্য কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট সীমিত পরিসরে খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। গতকাল রাত ১০টার দিকে বাঁধ খুলে দেয়ার কথা থাকলেও পরে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়ে সকাল ৮-৯টার মধ্যে নির্ধারণ করা হয়। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হবে কর্ণফুলী নদীতে।

এক জরুরি বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহেরের সই করা বার্তায় জানানো হয়, কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা গতকাল বেলা ৩টায় ১০৭ দশমিক ৬৬ এমএসএল (মিন সি লেবেল)। যা বিপৎসীমার কাছাকাছি হওয়ায় লেকের উজান ও ভাটি এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণে ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে উঠিয়ে দিয়ে পানি নিষ্কাশন করা হবে। জরুরি বার্তায় আরো বলা হয়, বর্তমানে হ্রদের পানিপ্রবাহ ও বৃষ্টিপাত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পানির লেভেল অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেলে জলকপাট খোলার পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে।

বর্তমানে পাঁচটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে ৩২ হাজার কিউসেক পানি প্রতি সেকেন্ডে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে। কাপ্তাই হ্রদে বাঁধ দেয়া অংশে ১২ দশমিক ২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১১ দশমিক ৩ মিটার প্রস্থের ১৬টি জলকপাট রয়েছে। এগুলো দিয়ে একসঙ্গে প্রতি সেকেন্ডে ৫ লাখ ২৫ হাজার কিউসেক পানি নির্গমন করতে পারে। হ্রদে ১০৯ এমএসএলের অধিক পানি পূর্ণ হলে জলকপাট দিয়ে তা নির্গমন করা হয়।

আরও